দলীয় নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে আগামী শনিবার জেলা ও উপজেলায় বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি।
আজ বুধবার রাতে দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়।
এর আগে টানা পাঁচ দিন পর নিজ বাসভবন থেকে বেরিয়ে আজ গুলশানে দলীয় কার্যালয়ে যান বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া।
বৈঠক শেষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, পরবর্তী কর্মসূচি ১৮-দলীয় জোটের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করা হবে।
তিনি বলেন, বিরোধী দলের নেতাদের নির্যাতন, গ্রেপ্তার ও পুলিশের আগ্রাসী ভূমিকা সংলাপের পথ বন্ধ করে দিয়েছে। সরকারের মন্ত্রীরা যা বলছেন, তাতে সংকট তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করছি সরকারের মন্ত্রীরা পদত্যাগ নিয়ে জাতির সঙ্গে তামাশা করছেন। যখন জাতি উদ্বিগ্ন তখন তারা হাতিরঝিলে আতশবাজির উত্সব করছে। এর মাধ্যমে জাতির সঙ্গে বিদ্রুপ করা হয়েছে।
’
পাঁচ দিন পর বাসা থেকে বের হলেন খালেদা
টানা পাঁচ দিন পর নিজ বাসভবন থেকে বেরিয়ে আজ গুলশানে দলীয় কার্যালয়ে যান বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আজ রাত আটটা ১০ মিনিটে তিনি বাসভবন থেকে বেরিয়ে গুলশান কার্যালয়ে যান।
গত শুক্রবার হরতাল ঘোষণার পর বিএনপির পাঁচ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং খালেদা জিয়ার বাসভবনের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সে সময় দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রশ্ন তুলেছিলেন খালেদা জিয়া গৃহবন্দি নাকি নজরবন্দি।
রাত সাড়ে নয়টার দিকে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গুলশান কার্যালয়ে যান।
এর পরে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আর এ গণি, আ স ম হান্নান শাহ, মাহবুবুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান ও শমসের মোবিন চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবিহউদ্দিন আহমেদ, রিয়াজ রহমান সেখানে যান। তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করেন খালেদা জিয়া।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার গুলশান কার্যালয়ে যান খালেদা জিয়া। ওই দিনই স্থায়ী কমিটির বৈঠকে রোববার থেকে টানা ৭২ ঘণ্টার হরতাল দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরদিন শুক্রবার ১৮-দলীয় জোটের মহাসচিব পর্যায়ের বৈঠক শেষে হরতালের ঘোষণা দেওয়া হয়।
পরে সেদিন সন্ধ্যায় বিএনপির শীর্ষ তিন নেতাকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে হরতাল আরও ১২ ঘণ্টা বাড়িয়ে ৮৪ ঘণ্টা করা হয়। এরপর রাতেই বিরোধীদলীয় নেতার বাসা ও কার্যালয়ে পুলিশি পাহারা বাড়ানো হয় এবং পানি ও গ্যাসসংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে বলে বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়। এর পর থেকে খালেদা জিয়া তাঁর বাসভবনেই ছিলেন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।