বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে সরকারের জারি করা নীতিমালা অনুসরণ না করা হলে ভুক্তভোগীরা আবেদন নিয়ে আদালতে যেতে পারবেন বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলের আংশিক মঞ্জুর করে, বিষয়টির নিষ্পত্তি করে এ রায় দেন। আদালত বলেছেন, বিষয়টি চলমান পর্যবেক্ষণে থাকবে।
রায়ের বিষয়টি জানিয়ে আবেদনকারীর কৌঁসুলি আশরাফুল হাদী প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, এর ফলে নিম্নমাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে অনুসরণীয় নীতিমালা-২০১১ অনুসরণ করতে হবে। ২০১১ সালের ১৪ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় ওই নীতিমালাটি জারি করে।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধূরী এবং বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) উপপরিচালক ফরিদা ইয়াসমিন আবেদনকারী হয়ে ২০১২ সালের ৯ জানুয়ারি রিটটি করেন।
রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রুল জারির পাশাপাশি অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনা দেন আদালত। একই সঙ্গে নীতিমালার বাইরে বাড়তি অর্থ আদায় কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়। ঘটনা তদন্ত করে বাড়তি অর্থ কেন ফেরত দেওয়া হবে না এবং বাড়তি অর্থ আদায়কারীদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
রুলে নীতিমালার আলোকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না, তা-ও জানতে চাওয়া হয়।
এ ছাড়া নীতিমালা দ্রুত কার্যকরের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা-ও রুলে জানতে চাওয়া হয়।
রিট আবেদনে শিক্ষাসচিব, অর্থসচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, দেশের নয়টি সাধারণ ও মাদ্রাসা বোর্ডের চেয়ারম্যান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ ১৪ জনকে বিবাদী করা হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।