সাধারণ নির্বাচনের মাত্র তিন মাসেরও কম সময় আগে বাংলাদেশে অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতি ধারালো ছুরির ফলার দিকেই এগুচ্ছে। বর্তমান সংসদের মেয়াদ আগামী বছর ২৪ জানুয়ারি শেষ হবে। পরবর্তী নির্বাচন সামনে রেখে সহিংসতা ক্রমশ বাড়ছে। রাজনৈতিক গতি-প্রকৃতিও নতুন রূপ নিচ্ছে। বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধী দলগুলো নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছে। দেশব্যাপী গত ২৭-২৯ অক্টোবর বিরোধী দল আহূত তিন দিনব্যাপী হরতালে আন্দোলনকারী জনতা ও পুলিশের মধ্যে সহিংস সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন।
সরকার এর আগে তীব্র বিক্ষোভ ও সহিংসতার মুখে গত ১৯ অক্টোবর রাজধানী ঢাকার সড়কে অনির্দিষ্টকালের জন্য সমাবেশ ও মিছিলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। বিএনপি ক্যাডারদের সম্ভাব্য বিক্ষোভ প্রতিহত করতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রসহ নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ ও এলিট এন্টিক্রাইম বাহিনী র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) মোতায়েন করা হয়। ঢাকায় এই নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে বিরোধী দলগুলো গত ২০ অক্টোবর সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে। বাগেরহাটের কোরামারা গ্রামে এদিন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কর্মীদের সঙ্গে বিএনপি কর্মীদের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হন। এর পর ২৫ অক্টোবর দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ কর্মীদের সঙ্গে বিএনপি কর্মীদের সংঘর্ষে মারা যান সাতজন, আহত হয়েছেন কয়েকশ।
র্যাব এর মধ্যে গত ৭ অক্টোবর নগরী সংলগ্ন আশুলিয়া থেকে হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশের (হুজি-বি) চার নেতা ও ক্যাডারকে গ্রেফতার করেছে। তাদের কাছ থেকে ৩২ রাউন্ড গুলিসহ একটি বিদেশি পিস্তল, সাব মেশিনগান বা এসএমজির এক হাজার ১৩৫ রাউন্ড গুলি, পাঁচটি ডেটোনেটরস, এক কেজি শক্তিশালী বিস্ফোরক পদার্থ এবং সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়। পর দিন ৮ অক্টোবর র্যাব চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রাহানপুর বাজার থেকে ধর্মীয় চরমপন্থি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) তিন নেতাকে গ্রেফতার করে। সেখান থেকে দুটি কম্পিউটারের সিপিইউ, মনিটর, ২৬টি সিডি ও কথিত জিহাদী বই উদ্ধার করা হয়। প্রকৃতপক্ষে, হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির মুফতি ইজহারুল ইসলাম পরিচালিত চট্টগ্রামের একটি মাদ্রাসায় বিস্ফোরণের পর সরকারের সংশ্লিষ্টদের তোড়জোড় শুরু হয়। পুলিশ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ৮ অক্টোবর জানান, নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা দেশে সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা করছে।
বিরল একটি ঘটনা ঘটে গত ২৬ অক্টোবর। ওই দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী খালেদা জিয়াকে ফোন করেন। প্রায় ৩৭ মিনিটের আলাপে জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে কথা বলার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসনকে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসা গণভবনে দাওয়াত দেন। খালেদা জিয়া অবশ্য এ আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেন। প্রধানমন্ত্রীকে তিনি বলেন, 'আপনি যদি নীতিগতভাবে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের শর্ত মানেন, তাহলেই আমরা আলোচনায় বসতে রাজি। একই সঙ্গে ৬০ ঘণ্টার হরতালসহ আন্দোলন কর্মসূচিও প্রত্যাহার করব।'
আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথে না গিয়ে বিএনপি তার মিত্র জামায়াতে ইসলামী ও তাদের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির, হেফাজতে ইসলামসহ অপরাপর সমমনা পক্ষকে নিয়ে দেশজুড়ে সহিংসতায় লিপ্ত রয়েছে। সাউথ এশিয়া টেররিজম পোর্টাল (এসএটিপি) গ্রন্থিত তথ্যানুযায়ী, গত ২১ জানুয়ারি যুদ্ধাপরাধের বিচারের প্রথম রায় ঘোষণার পর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত অন্তত ১৯৪ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ১০২ জন সাধারণ মানুষ, ৯২ জন জামায়াত-শিবিরের ক্যাডার এবং নয়জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য।
দেখা যাচ্ছে, জামায়াতে ইসলামী ক্রমশ বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধী ১৮ দলীয় জোটকেই ছিনতাই করে ফেলছে। অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হলো, আসন্ন সংসদ নির্বাচন নয়, বিরোধী দলগুলোর আন্দোলন যুদ্ধাপরাধের বিচারের ইস্যুমুখী করতে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে জামায়াত। বহু প্রতীক্ষিত এই বিচারের রায় কার্যকরে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করাই তাদের উদ্দেশ্য। যদিও ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্প্রতি জোটের একটি জনসভায় মঞ্চ দখল ও সামনের দিকে অবস্থান নেওয়া নিয়ে জামায়াত-শিবির ক্যাডার ও বিএনপি কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি-মারামারি পর্যন্ত হয়। এই কদর্য সংঘাতের পাশাপাশি আরও একটি বিষয় ছিল লক্ষণীয়। জামায়াত-শিবির কর্মীরা শুধু তাদের নেতাদের বক্তব্যের সময়ই সেদিন উল্লাস-উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। ইংরেজি দৈনিক দি ডেইলি স্টারের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আগেভাগে গিয়ে জনসভাস্থলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য শিবিরের প্রতি দলের হাইকমান্ডের কড়া নির্দেশ ছিল। জোটগতভাবে আহূত এ কর্মসূচি পালনের সময় দেশের আরও অনেক স্থানেও একই ধরনের ঘটনা ঘটে।
নিজের দল এভাবে পশ্চাৎপদে পড়লেও, শেখ হাসিনা সরকারকে সম্পূর্ণ অবৈধ ও অসাংবিধানিক উল্লেখ করে খালেদা জিয়া তীব্র আক্রমণ করে চলেছেন। বস্তুত, সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সপ্তাহে দেশের ১৪ জেলার ১৪০০ মানুষের ওপর ডেইলি স্টার ও এশিয়া ফাউন্ডেশন পরিচালিত এক জনমত জরিপে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপে ভোটারদের সন্তুষ্টির বিষয়টি ওঠে আসে। এর মধ্যে রয়েছে কৃষি, বিদ্যুৎ উৎপাদন, জনসেবা ও আইনের শাসন। তবে এরপরও জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৫৫ শতাংশই জানান, তারা বিএনপিকে ভোট দেবেন। অন্যদিকে মাত্র ২৮ শতাংশ বলেন, তারা ভোট দেবেন আওয়ামী লীগকে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানেরা গত ২৮ অক্টোবর এক অভিনব কর্মসূচি পালন করেন। 'আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান' এই সংগঠনের ব্যানারে তারা রক্ত দিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে তাদের ভাষায় 'কলঙ্কমুক্ত' করেছেন। তাদের অভিমত, খালেদা জিয়া স্বাধীনতার স্মৃতিবিজড়িত এই স্থানে দাঁড়িয়ে দণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি চেয়ে একে কলঙ্কিত করেছেন। কর্মসূচিটি এমন যে, সংগঠনের নেতারা ডাক্তারের সাহায্যে শরীর থেকে রক্ত বের করে পানিতে মিলিয়ে তা দিয়ে উদ্যানের একটি অংশ পরিষ্কার করেন। ঢাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান হলো সেই স্থান, যেখানে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ শেখ মুজিবুর রহমান তার ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। এটা সেই স্থান, যেখানে ওই বছর ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আত্দসমর্পণ করে।
তীব্র রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ গত ৩ নভেম্বর আলবদর নেতা আশরাফুজ্জামান খান ওরফে নায়েব আলী এবং চৌধুরী মাঈনুদ্দিনকে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ড দেন। তাদের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনা ১১টি অভিযোগের সবই প্রমাণিত হয়েছে। ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়জন শিক্ষক, ছয়জন খ্যাতিমান সাংবাদিক এবং তিনজন চিকিৎসককে অপহরণ ও হত্যার দায়ে তাদের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। মাঈনুদ্দিন আলবদরের অপারেশন ইনচার্জ ও আশরাফ চিফ এঙ্িিকউটর ছিলেন এবং ঢাকায় বুদ্ধিজীবী হত্যায় তারা প্রত্যক্ষভাবে অংশ নেন। এই ১৮ জনকে অপহরণ-হত্যাসহ ১১ দফার মানবতাবিরোধী অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে গত ২৪ জুন অভিযোগ গঠন করা হয়। দুই আসামির অনুপস্থিতিতে গত ১৫ জুলাই বিচার শুরু হয়েছিল। মাঈনুদ্দিন লন্ডন ও আশরাফ এখন নিউইয়র্কে বসবাস করছেন।
ট্রাইব্যুনাল-২ এর আগে গত ৯ অক্টোবর বিএনপি নেতা আবদুল আলীমকে (৮৩) আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন। আলীম জয়পুরহাট পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য এবং ১৯৭৯, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। জিয়াউর রহমান ১৯৭৮ সালে তাকে মন্ত্রিসভার সদস্য করেন। আলীম ১৭টি অভিযোগের মধ্যে নয়টিতে দোষী সাব্যস্ত হন। ১৯৭১ সালের ২৬ এপ্রিল জয়পুরহাট জেলার কড়ই কাঁদিপুর, চকপাড়া, সোনাপাড়া, পালপাড়া, মুন্সীপাড়া, মে মাসের শেষ দিকে জেলার ক্ষেতলালের উত্তরহাট শহর ও হারুনজা হাটে গণহত্যা, ১৪ জুন পশ্চিম আমাত্রা এলাকায় ১৫ যুবককে হত্যা এবং অক্টোবরে খানজানপুর কুঠিবাড়িতে তিন মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যার অপরাধে তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন ট্রইব্যুনাল।
২০১০ সালের ২৫ মার্চ এ বিচার কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ পর্যন্ত নয়টি রায় দিয়েছেন। আবদুল আলীম বিএনপির দ্বিতীয় দণ্ডপ্রাপ্ত নেতা। তার আগে গত ১ অক্টোবর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। আলীমের সাজা ঘোষণার দিনই ট্রাইব্যুনাল-১ এ ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এম এ জাহিদ হোসেন (৭০) ওরফে খোকন রাজাকারের বিরুদ্ধে ১১ ঘটনায় অভিযোগ গঠিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে গণহত্যা, নির্যাতন, অপহরণের মতো বিস্তর অপরাধ। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সহযোগী রাজাকার বাহিনীর স্থানীয় নেতা হিসেবে তিনি ফরিদপুরে যুদ্ধাপরাধের বিভিন্ন ঘটনায় জড়িত ছিলেন। এতে সেখানে অন্তত ৫০ জন নিহত ও আটজন গুরুতর আহত হন। দুই নারীকে ধর্ষণ, সাতজনকে তাদের বাড়ি থেকে বিতাড়ন ছাড়াও হিন্দুদের জোরপূর্বক ধর্মান্তর, বহু বাড়িঘর ও মন্দিরে অগি্নসংযোগেরও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত হাইপ্রোফাইল নেতাদের মধ্যে খোকন ১৪তম। তার আগে ১৩ নেতার মধ্যে ১১ জন জামায়াতের এবং দুজন বিএনপি নেতা।
অধিকন্তু, যুদ্ধাপরাধে দণ্ডপ্রাপ্তদের ভোটার না করার বিধান রেখে গত ৬ অক্টোবর জাতীয় সংসদ ভোটার তালিকা (দ্বিতীয় সংশোধন) বিল-২০১৩ পাস করেছে। এর ফলে কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশ কোলাবরেটরস (স্পেশাল ট্রাইব্যুনালস) অর্ডার-১৯৭২ অথবা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দণ্ডিত কিংবা কোনো আদালতে মানসিক ভারসাম্যহীন হিসেবে সাব্যস্ত এবং বাংলাদেশের নাগরিক না হলে ভোটার তালিকা থেকে বাদ যাবেন। আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বিলটি সংসদে উত্থাপন করলে কণ্ঠভোটে পাস হয়।
বিএনপি চেয়ারপারসন যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ নিয়েছেন- অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৮ অক্টোবর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশে আবারও জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতির শাসন কায়েম হবে। তিনি বলেন, 'বিএনপি সন্ত্রাস, লুটপাট ও দুর্নীতি নিয়ে আসে, আর আওয়ামী লীগ আনে শান্তি ও উন্নয়ন।' তিনি এও বলেন, 'একাত্তরে যারা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছিল, আমি বিশ্বাস করি, আমরা তাদের বিচার কাজ শেষ করতে সমর্থ হব। বিএনপি তাদের রক্ষা করতে পারবে না।' প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৯ অক্টোবর তার বাসভবনে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, 'আগামী নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতে ইসলামী-হেফাজতে ইসলাম ক্ষমতায় এলে দেশ থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারীদের নিশ্চিহ্ন করে দেবে এবং ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে।'
প্রকৃতপক্ষে, উগ্রবাদ ও সন্ত্রাস দমন ছাড়াও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে শেখ হাসিনা সরকারের অসামান্য অর্জন রয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক অনিশ্চয়তাও মহীরুহ আকার ধারণ করেছে এবং তার ইতিবাচক কার্যক্রম সমন্বিত নির্বাচনী সুবিধায় রূপান্তরে তেমন কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। যুদ্ধাপরাধের বিচার ও একতরফা নির্বাচনের আয়োজন ইস্যুতে বিরোধীদের নানা তৎপরতা হাসিনা সরকারের সফলতা ম্লান করে দিতে পারে। সেই সঙ্গে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড এবং ধর্মীয় উগ্রবাদীদের মেরুকরণের বিষয়টি বিপজ্জনক ওই পক্ষের পুনঃঅভ্যুদয় প্রশ্নে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
লেখক : গবেষণা সহযোগী, ইনস্টিটিউট ফর কনফ্লিক্ট ম্যানেজমেন্ট, ভারত
[ইংরেজি থেকে অনূদিত]
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।