কানাডা প্রবাসী বাংলাদেশের নাগরিক জুলফিকার আলী ভূইয়াকে পদ্মা সেতু দুর্নীতি মামলায় তলব করবে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। আগামী সপ্তাহে হাইকমিশনের মাধ্যমে তলবের এ নোটিস কানাডায় তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে পাঠাবে দুদকের তদন্ত দল। কানাডিয়ান পুলিশ পদ্মা সেতু মামলায় তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর কানাডার পুলিশ বাংলাদেশের সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী ও জুলফিকার আলীর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয়। দুদক সূত্র জানায়, বর্তমানে কানাডায়ও নেই জুলফিকার। সে দেশের পুলিশও তাকে খুঁজছে। গত কয়েক দিনে জুলফিকার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নিয়েছে দুদক। সংস্থাটি আরও জানতে পেরেছে বাংলাদেশে তার কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের তথ্য-উপাত্ত এখন দুদকের হাতে। গতকাল তার ছবি সংগ্রহ করা হয়েছে। ঢাকার মিরপুরে গার্মেন্ট কারখানা ও লালমাটিয়ায় কারিগরি ফার্ম রয়েছে। জানতে চাইলে দুদক কমিশনার সাহাবুদ্দিন চুপ্পু বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, জুলফিকার আলী ভূইয়ার বিরুদ্ধের সব অভিযোগ যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। তাকে তলব করার প্রক্রিয়া চলছে।
দুদকের তদন্ত দলের সদস্যরা আরও জানতে পেরেছেন, গত ১২ বছর ধরে জুলফিকার আলী কানাডায় অবস্থান করছেন। জুলফিকারের জন্ম পাকিস্তানে। তার পৈতৃক বাড়ি কুমিল্লার চান্দিনায়। এসএনসি-লাভালিনের ঢাকার এজেন্ট ছিলেন জুলফিকার। কানাডার টরেন্টোয় মিসিসাগার এলাকায় তার জমি ও বাড়িঘর রয়েছে। এসব কারণে কানাডা ও পাকিস্তানে নিয়মিত যাতায়াত করেন তিনি। গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর দুদক পদ্মা সেতু দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের ঘটনায় মামলা করেছে। মামলায় কেভিন ওয়ালেসও রয়েছেন।
এসএনসি-লাভালিনের সাবেক আরও দুই কর্মকর্তা রমেশ শাহ ও মোহাম্মদ ইসমাইলের অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করছে কানাডিয়ান পুলিশ-আরসিএমপি। তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা এখন কানাডার আদালতে চলছে। এ দুজনের বিরুদ্ধে দুদকও মামলা করেছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।