শূন্যতা
গ্রামীনফোনের আউটসোর্স (?) এমপ্লোইরা ট্রেড ইউনিয়নের লাইসেন্স পেলেন_ _ _
নিচের লিখাটি একটি লিফলেট আকারে গ্রামীফোনের সকল আউটসোর্স (?) এমপ্লোইদের মাঝে বিতরণ করা হয়_ _ _
_____________________________________________
''এলোরে এলো, ট্রেড ইউনিয়ন এলো''
আস্সালামুআলাইকুম,
আপনাদেরকে লাল গোলাপের উষ্ণ শুভেচ্ছা জানাচ্ছি ও পরম দয়ালু আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। আমরা গ্রামীনফোন লিমিটেডের নিপিড়িত-লাঞ্ছিত অবহেলিত বঞ্চিত শ্রমিক। আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ আমাদের ন্যায্য দাবি-দাওয়া আদায় এবং বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে একটি সাংগঠনিক প্রক্রিয়া তথা ট্রেড ইউনিয়নের প্রয়োজনীয়তা ভীষন ভাবে উপলব্দি করি। সেই লক্ষ্যে ০৬/০১/২০১৩ ইং তারিখে মাননীয় শ্রম পরিচালক বরাবর ট্রেড ইউনিয়নের জন্য আবেদন করি, শ্রম পরিচালক মহোদয় আবেদনটি প্রত্যাখ্যান করেন। গত ২৪/০৩/১৩ ইং তারিখে আমরা শ্রম পরিচালক মহোদয়ের বিপক্ষে মাননীয় ১ম শ্রম আদালতে আপীল করি।
উক্ত আপীল উভয় পক্ষের শুনানী শেষে বিজ্ঞ ১ম শ্রম আদালত শ্রমিক এর পক্ষে গত ২৯/০৮/২০১৩ ইং তারিখে রায় দেন। উক্ত রায় আমলে না নিয়ে শ্রম পরিচালক মহোদয় শ্র এ্যাপিল্যান্ট ট্রাইবুনালে আপীল মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় দুই পক্ষের উপস্থিতিতে বিজ্ঞ শ্রম এ্যাপিল্যান্ট ট্রাইবুনাল আপিল মামলা খরিজ করে দেন এবং পূর্ববর্তী রায় বহাল রাখেন। অতঃপর আমরা ০৬/১০/২০১৩ ইং তারিখে রেজিষ্টেশন পাওয়ার জন্য শ্রম পরিচালক বরাবরে আবেদন করি। সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে গত ১১/১১/২০১৩ ইং তারিখে আমাদের ট্রেড ইউনিয়ন আলোর মুখ দেখে।
যা ''গ্রামীনফোন লিমিটেড শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন-বাংলাদেশ'' নামে রেজিষ্ট্রি হয়। যাহার ট্রেড লাইসেন্স নং- বি-২১৬১। সকল বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে এক নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হলো টেলি কমিউনিকেশন গজতে। যে ইতিহাস আমাদের দুর্নিতিমুক্ত প্রতিষ্ঠান দিবে, যে ইতিহাস অন্যায়-জুলুম, অত্যাচার-নির্যাতন মুক্ত প্রতিষ্ঠান দিবে। সর্বপরি শ্রমিকের ন্যায় সঙ্গত স্বার্থ রক্ষা করবে।
ধন্যবাদান্তে
সভাপতি
মো: আনিসুর রহমান চৌধুরী (খোকন)
সাধারন সম্পাদক
মোঃ কামরুল হাসান
_____________________________________________
[বিশেষ দ্রষ্টব্য:
হেডলাইনে আউটসোর্স এর পরে ব্রাকেটে প্রশ্নবোধক চিহ্ণের একটি বিশেষ কারন রয়েছে। বর্তমানে গ্রামীন ফোনের আউটসোর্স এমপ্লোইরা কোর্টের রায় অনুযায়ী গ্রামীফোনের পারমানেন্ট এমপ্লোই। কিন্তু গ্রামীনফোন কতৃপক্ষ এখনো তা মেনে নিতে অস্বিকার করছে। আর এর দরুন দিনকে দিন গ্রামীনফোনের আউটসোর্স এমপ্লোইদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে এবং তারা এর প্রতিকারের জন্য নিয়মিত প্রতিবাদ জানিয়ে কাজ না হওয়াই আন্দোলনের পথ বেছে নেবার চিন্তা ভাবনা করছে। যা বাংলাদেশ গ্রামীনফোন লিমিটেডের ইমেজের জন্য খুবই ক্ষতিকর একটি ব্যাপার হয়ে দাড়াবে।
]
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।