আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফের উত্তপ্ত গার্মেন্ট শিল্প

ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে গার্মেন্ট শিল্প। গতকালও মজুরি বোর্ড কর্তৃক ঘোষিত নির্ধারিত মজুরি প্রত্যাখ্যান করে নূ্যনতম মজুরি ৮ হাজার টাকা করার দাবিতে বিক্ষোভ করেছে শ্রমিকরা। বিভিন্ন স্থানে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে উভয় পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এ সময় শ্রমিক-পুলিশসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে।

আশুলিয়া প্রতিনিধি জানায়, নূ্যনতম মজুরি মালিক পক্ষ মেনে নিলেও তা প্রত্যাখ্যান করে নূ্যনতম মজুরি ৮ হাজার টাকা করার দাবিতে সকালে আশুলিয়ার নরসিংহপুর, জামগড়া, জিরাবো এলাকার বেশ কয়েকটি তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা কাজে যোগ না দিয়ে কর্মবিরতি পালন করে। একপর্যায়ে শ্রমিকরা আবদুল্লাপুর-বাইপাইল মহাসড়কে বিক্ষোভ ও বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। শ্রমিক সূত্র জানায়,মজুরি বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত নূ্যনতম মজুরি ৫ হাজার ৩০০ টাকা দিলেও মালিক পক্ষ এ টাকার মধ্যেই তাদের হাজিরা বোনাস ও খাবারেব টাকা দেবে। শ্রমিকরা নূ্যনতম মজুরি ৮ হাজার টাকার দাবি জানায়। এদিকে বিক্ষোভ চলাকালে শিল্পপুলিশ শ্রমিক কলোনিতে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। শিল্পপুলিশ-১ এর পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, শ্রমিক অসন্তোষের কারণে শিল্পাঞ্চলের কমপক্ষে ২০টি কারখানায় এক দিনের জন্য সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। নিরাপত্তার জন্য কারখানার সামনে জলকামান ও সাঁজোয়া যানের টহল অব্যাহত রয়েছে।

গাজীপুর প্রতিনিধি জানায়, কাজের রেট ও হাজিরা বোনাস বৃদ্ধিসহ ১০ দফা দাবিতে কোনাবাড়ীতে বিক্ষোভ করেছে বেশকিছু সোয়েটার কারখানার শ্রমিক। শ্রমিকরা কারখানা ভাঙচুর, অগি্নসংযোগ, কোনাবাড়ী-কাশিমপুর আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে। এতে বেশ কিছু কারখানা রবিবারের জন্য ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। এ সময় পুলিশ-শ্রমিক সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ শ্রমিক আহত হয়। পুলিশ ও শ্রমিক সূত্রে জানা গেছে, সকাল থেকেই ১০ দফা দাবিতে কোনাবাড়ীতে কয়েকটি সোয়েটার কারখানার শ্রমিকরা কাজে যোগ না দিয়ে বিক্ষোভ করে। এ সময় কয়েকটি কারখানায় ভাঙচুর চালায় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে শ্রমিকরা। এ সময় পুলিশ বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের সরিয়ে দিতে গেলে শ্রমিকদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

টঙ্গী প্রতিনিধি জানায়, বেতন বৃদ্ধির দাবিতে সকালে টঙ্গীর কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ, ভাঙচুর ও সড়ক অবরোধ করে। টঙ্গী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, কারখানার নিরাপত্তার স্বার্থে গাজীপুর এলাকার এসপিএম সোয়েটার, ক্লাসিক গার্মেন্ট, গালফ নিটিং, মিক সোয়েটার, বিউটি ফ্যাশন, সাতাইশ এলাকার তানাজ ফ্যাশন, ই এইচ ফেব্রিঙ্ ও ভিয়েলাটেঙ্সহ চেরাগআলী, মুদাফা, ভাদাম দেওড়া এলাকার প্রায় শতাধিক কারখানায় ছুটি ঘোষণা করে। শ্রমিক ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সকাল ৯টায় টঙ্গীর সাতাইশ রোডের মাসকো কটন পোশাক কারখানার শ্রমিকরা বেতন বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। একপর্যায়ে শ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ ও মিছিল নিয়ে সাতাইশ রোডে কমপক্ষে ৫০টি পোশাক কারখানা বন্ধ করে দিয়ে ভিয়েলাটেঙ্ কারখানায় যায়। কিন্তু ভিয়েলাটেঙ্রে শ্রমিকরা তাদের কথায় কর্ণপাত না করলে উত্তেজিত শ্রমিকরা ভাঙচুর করে। এ সময় ভিয়েলাটেঙ্রে শ্রমিকরাও বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ইটপাটকেল ছুড়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এতে প্রায় অর্ধশত শ্রমিক আহত হয়েছে। ভিয়েলাটেঙ্ কারখানার কর্মকর্তা মো. পারভেজ আহমেদ বলেন, ছুটি ঘোষণার পর শ্রমিকরা বের হওয়ার সময় বহিরাগত শ্রমিকরা তাদের শ্রমিকদের ওপর হামলা করে।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.