নারায়ণগঞ্জে নিহত মেধাবী ছাত্র তানভীর মুহাম্মদ ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কয়েকজন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ওসমান পরিবারের টাকা খেয়ে ত্বকী হত্যা মামলার তদন্তকাজ বাধাগ্রস্ত করতে চাইছেন। এসব দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার প্রধান লক্ষ্য, খুনের দায় থেকে যেভাবেই হোক ওসমান পরিবারকে বাঁচানো।
নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়া শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে গতকাল শুক্রবার বিকেলে আয়োজিত গণজমায়েতে রফিউর রাব্বি এই অভিযোগ করেন। ত্বকী হত্যার নির্দেশদাতা ও হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করার দাবিতে সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের উদ্যোগে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে বিভিন্ন সংগঠন খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে যোগ দেয়।
ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক, নাগরিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের নেতা রফিউর রাব্বি বলেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে উদাত্ত আহ্বান জানাই, তিনি যেন ত্বকী হত্যার নির্দেশদাতা নাসিম ওসমান ও শামীম ওসমান এবং মূল খুনি আজমেরী ওসমান ও অয়ন ওসমানকে দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেন। তিনি যেন খুনি জল্লাদ ভূমিদস্যুদের মনোনয়ন না দেন। নারায়ণগঞ্জের মানুষ ত্বকী হত্যার সুষ্ঠু বিচারের জন্য রাষ্ট্রের দিকে তাকিয়ে আছে। ’
জাতীয় পার্টির সাংসদ নাসিম ওসমানের উদ্দেশে রফিউর রাব্বি বলেন, ত্বকীকে খুনের পরপরই ১৩ মার্চ বিকেল চারটা ৪১ মিনিট থেকে নাসিম ওসমান তাঁর মুঠোফোন থেকে আজমেরী ওসমানের মুঠোফোনে প্রায় পাঁচ মিনিট কথা বলেন। ওই সংলাপেই স্পষ্ট হয়ে ওঠে, কারা কীভাবে ত্বকীকে খুন করেছে।
আজমেরী ওসমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ইউসুফ হোসেন লিটন ত্বকী হত্যা মামলায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি না দিলেও ৬ মার্চ (যেদিন ত্বকীকে খুন করা হয়) তাঁর মুঠোফোনের অবস্থান ছিল আজমেরীর টর্চার সেল। বাবা, মা ও সন্তানকে আজমেরী মেরে ফেলবে—এই ভয়ে লিটন ত্বকী হত্যা মামলায় জবানবন্দি দেয়নি। তবে একটি মাদক মামলায় দেওয়া জবানবন্দিতে লিটন ত্বকীর খুনি হিসেবে যাঁদের নাম বলেছেন, তাঁরা সবাই ওসমান পরিবারের ঘনিষ্ঠ।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ত্বকী মঞ্চের সদস্যসচিব নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি কবি হালিম আজাদ, জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. শহীদুল্লাহ, জেলা সিপিবির সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, জেলা ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন, স্থানীয় দৈনিক খবরের পাতার সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান, জেলা বাসদের সমন্বয়ক নিখিল দাস, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের জেলা সভাপতি শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সভাপতি এ বি সিদ্দিক, সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি প্রদীপ ঘোষ, জেলা খেলাঘরের সভাপতি রথীন চক্রবর্তী, গণসংহতি আন্দোলনের জেলার সমন্বয়ক অঞ্জন দাস ও শহর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আহম্মেদ আলী রেজা।
গণজমায়েত শেষে একটি বিশাল মিছিল বের করা হয়।
মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।