যাদের হাতে দলীল প্রমাণ কম তারা গালি দেয় বেশি
ধর্ম ব্যবসা একটা বেশ লাভজনক ব্যবসা । বিনা পুজির , হাই মার্জিন । কিছু ইনভেষ্টমেন্ট লাগে, কিছু মিথ্যা প্রচার প্রচারণা, ধকাবাজি এই জাতীয় কিছু । আর সব ব্যবসার মত এই ব্যবসায়ও ব্র্যান্ডিং এর কিছু বিষয় থাকে ।মুসলিম সমাজে " ঈদে -এ-মিলাদুন্নবী " বেশ চালু একটা ব্র্যান্ড ।
মুসলমানদের অতি অনুসরণীয় সহিহ বুখারী - মুসলিমের হাদীসে আছে নিকৃষ্টতম কাজ ধর্মের মাঝে কিছু উদ্ভাবন, প্রত্যেক এরূপ উদ্ভাবন বেদাত, প্রত্যেক বেদাত পথভ্রষ্টতা, প্রত্যেক পথ ভ্রষ্ট জাহান্ণামী হাদীসের শত শত কিতাব, ইতিহাসের লক্ষ- হাজার পৃষ্ঠা কোনখানে " ঈদে -এ-মিলাদুন্নবী " নেই, এই শব্দটিই নেই!
" ঈদে -এ-মিলাদুন্নবী " পালন কারীদের কাছে অতি বিনয়ের সাথে জানতে চাইছি, এটি পালনের ইতিহাসটা কি একটু দয়া করে বলবেন কি ? ঠিক কবে থেকে শুরু হল ? কিভাবে ? এটি পালনের পদ্ধতিটাই বা কি ? কোরাণ -হাদীসে এটি পালনের জন্য কত সোয়াব আছে ঘোষণা করা হয়েছে ? এটা কত দিন ধরে পালন করতে হয় ? ১ দিন? ১ মাস ? না ৫৬ দিন ? রসুলের ঘরের লোকজন কিভাবে পালন করতেন ?
আর প্রায় ডজন খানেক পোষ্টে এটা দাবী করার পরও কোন বেদাতী কোন রেফারেন্স দিতে পারল না!
পারবে কি করে , " ঈদে - এ -মিলাদুন্নবী " শব্দটাই আরবী না! আর হাদীসের কিতাবগুলো তো আরবীতে লিখা । বেদাতীদের কাছে বহুবার জানতে চেয়েও এই শব্দটার আরবী কি জানতে পারবেন না ! আর যে তরজমা তারা দিবে ( যদি আদৌ দেয় ) সেটাকেও পাবেন না কোরাণ - হাদীসে কোথাও ! পাবেন না ইসলামী আইনের লোক কিতাবে, পাবেন না শখানেক তাফসীরের কিতাবে ।
রাজারবাগীর ইসলাম বিকৃতির আরেক নমুনা " পৃথিবীর ইতিহাসে এই প্রথম ৫৬ দিন ব্যাপী ঈদ-এ-মিলাদুন্ণবী" উদজাপন । নিজারাই দিচ্ছে নিজেদের সৃষ্ট বেদাতের প্রমান । পৃথিবীর ইতিহাসে আবু বকর ওমর ওসমান আলী সহ কোন সাহাবী যা পরেননি, তাই করছে রাজারবাগীরা!
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।