আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ডের পূর্ণাঙ্গ রায় লেখা শেষ

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশের রায় লেখা শেষ হয়েছে।
আজ রোববার সন্ধ্যায় অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ও ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউটরদের প্রধান সমন্বয়কারী এম কে রহমান প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘কাদের মোল্লার ফাঁসির পূর্ণাঙ্গ রায় লেখা শেষ হয়েছে। জানতে পেরেছি বিচারপতিরা রায় লেখা শেষ করেছেন। আশা করি, আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শেষে দু-এক দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হবে। ’
এ দিকে কাদের মোল্লার আইনজীবী তাজুল ইসলাম বলেন, ‘পূর্ণাঙ্গ রায় পাওয়ার পরপরই ৩০ দিনের মধ্যে রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করব।


কাদের মোল্লার দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের ওপর শুনানি শেষে চলতি বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে কাদের মোল্লাকে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের রায় দেন আপিল বিভাগ। ওই দিন রায়ের সংক্ষিপ্ত অংশ ঘোষণা করা হয়। প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ (৪: ১) সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে এ রায় ঘোষণা করেন। অপর বিচারপতিরা হলেন বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী। এ ক্ষেত্রে কাদের মোল্লাকে দোষী সাব্যস্ত করার ব্যাপারে আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতি একমত হলেও মৃত্যুদণ্ডের বিষয়ে এক বিচারপতি ভিন্নমত দেন।

সংক্ষিপ্ত আদেশে তা জানানো হয়নি।
আদালত সূত্র জানায়, রায় লিখেছেন তিনজন বিচারপতি।  

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ গত ৫ ফেব্রুয়ারি কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। এ রায়ের পর তাঁর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে তরুণসমাজের ডাকে শাহবাগে গড়ে ওঠে গণজাগরণ মঞ্চ। পরে দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিলের সমান সুযোগ রেখে ১৭ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) সংশোধন বিল, ২০১৩ জাতীয় সংসদে পাস হয়।

আগে আইনে সরকারের দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ ছিল না। গত ৩ মার্চ সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। আর সাজা থেকে অব্যাহতি চেয়ে পরদিন আপিল করেন কাদের মোল্লা। গত ১ এপ্রিল থেকে শুনানি শুরু হয়।

সাঈদীর আপিল শুনানি

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে করা আপিলের ওপর শুনানিতে তদন্ত কর্মকর্তার জেরা উপস্থাপন অব্যাহত রয়েছে।

আজ রোববার প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ ১৭তম দিনের মতো শুনানি গ্রহণ করেন। আজ শুনানিতে সাঈদীর পক্ষে আইনজীবী এস এম শাহজাহান রাষ্ট্রপক্ষের ২৮তম ও শেষ সাক্ষী তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিনের জেরা উপস্থাপন করেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান এবং আসামিপক্ষে আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক উপস্থিত ছিলেন।

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। রায়ে সাঈদীর বিরুদ্ধে আনা ২০টি অভিযোগের মধ্যে আটটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়।

তবে দুটি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ায় অন্য অভিযোগগুলোতে আলাদা করে কোনো দণ্ড দেওয়া হয়নি। রায়ের পর ২৮ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষ আপিল করে। ২৪ সেপ্টেম্বর আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়।

 

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.