আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থার নেপথ্যে

থেমে যাবো বলে তো পথ চলা শুরু করিনি।

অতীতে কোন সরকারই একতরফা নির্বাচন করে টিকে থাকতে পারে নাই। জামাতি সুশীল পত্রিকা অন্য দিগন্ত স্বাভাবিক ভাবেই উল্লেখ করছে ১৯৭৩ সালের নির্বাচনের কথা। তারা ভুলেও মুখে আনে না ১৯৮৬ সালের জাতীয় বেঈমান হওয়ার সেই প্রহসনের নির্বাচনের প্রসঙ্গ। অন্যদিকে বিএনপি-পন্থী পত্রিকায় বার বার আসে ১৯৭৩, ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালের নির্বাচনের প্রসঙ্গ।

কেননা এই নির্বাচনগুলোর ফলাফল ছিল ক্ষমতয়াসীনদের বিপক্ষে। কিন্তু এই দুই পক্ষই এড়িয়ে যায় ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারীর প্রহসনের নির্বাচন বা ২০০৭ সালে ইয়েসউদ্দীনের কর্তৃত্বে সাজানো নির্বাচনের প্রসঙ্গগুলো। কিন্তু সাধারণ চোখে তাকালে আমরা দেখি যে আজ পর্যন্ত সকল দলের অংশগ্রহনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলে সেই নির্বাচন গ্রহনযোগ্য হয় নাই। সে জন্য আগামি নির্বাচনে সকল দলের অংশগ্রহনে অনুষ্ঠিত না হলে সেই নির্বাচন অবশ্যই বৈধতা পাবে না। এর পেছনে কারণ আছে।

ভারত এই বারে সরাসরি এবং অনেকটাই স্পষ্ট করেই বলেছে যে তারা [ভারত] হাসিনা সরকারকেই চায় আগামিতে এই দেশের শাসক হিসাবে। কিন্তু আমেরিকানদের অভিপ্রায় কিন্তু তা নয়। তারা চাইছে বিগত দিনের মত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক, এবং সকল দল অংশগ্রহন করে নির্বাচনকে গ্রহন যোগ্য করে তুলুক সবার কাছে। এরসাথে যুক্ত হয়েছে জাতিসংঘের একটি সংজ্ঞাঃ তারা বলছে, কোন দেশের নির্বাচন জাতিসংঘ বৈধ বলে গ্রহন করবে যদি সেই নির্বাচনে সরকারী এবং প্রধান বিরোধী দল অংশগ্রহন করে। লক্ষ্যণীয়, জাতীয় পার্টিকে প্রধান বিরোধী সাজানোর প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে বেশ কিছু দিন ধরেই।

এর উদ্দেশ্য হল জাতিসংঘের সেই সংজ্ঞা পূরণ করা! সেইসাথে ক্ষমতার হাত বদলের জন্য যে সংগ্রাম চলছে, তাতে প্রধান দুই দলই মরিয়া হয়ে খেলতে নেমেছে। বিভিন্ন জনমত জরিপ থেকে আভাস পাওয়া যাচ্ছে যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা নির্দলীয় সরকার -- যে নামেই আসুক না কেন -- এমন কোন সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে বর্তমান ক্ষমতাসীন দল হেরে যাবে। সে জন্য ভারত উদ্বিগ্ন। তারা তাদের সহজাত মিত্র আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে দূরে যেতে দিতে চাচ্ছে না। এখন ক্ষমতা বদলের আগে কিছু দিনের রক্তক্ষয় এবং প্রাণহানিকে মেনে নিয়েই আগামী নির্বাচনের ভিত রচিত হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা।

সে ক্ষেত্রে নির্বাচনকালীন সরকার কি ধরনের হবে, তার ধারণা এখনো স্পষ্ট না। সেই সরকার কি ২০০৭-০৮ সালের মত পরোক্ষ-সেনাশাসন হবে কিনা, তাও কেউই অনুমান করতে পারছেন না। তবে পরিস্থিতি যে কোন পক্ষেরই অনুকূলে না, তা দুই পক্ষই বুঝতে পারছে। আর সে কারণেই প্রধানমন্ত্রীর কুর্সির দিকে হাত বাড়িয়ে আছে দুই দলই। বিএনপি এই দৌড়ে পিছিয়ে আছে, কেননা হাসিনা কুর্সিতে বসা।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.