ব্রিটিশ কারি অ্যাওয়ার্ড ২০১৩-এর আসরটি ঝলমল করছিল। এবারের অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের আকর্ষণ শতগুণ বেড়ে যায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের উপস্থিতিতে। ব্রিটিশ কারি অ্যাওয়ার্ড বলেই এটা সম্ভব, তাই অবাক হননি কেউ। ব্রিটেনের অন্যতম প্রেস্টিজিয়াস অ্যাওয়ার্ড-যাকে স্বয়ং বিবিসি স্বীকৃতি দিয়েছে কারি শিল্পের অস্কার নামে সেটার আয়োজক যখন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিখ্যাত রেস্টুরেইটার এনাম আলী, তখন তো বাঙালিদের গর্বের একটা জায়গা তৈরি হয়েই যায়। সোমবারের সন্ধ্যাটা তাই বাটারসি পার্কের কাছে স্মরণীয় হয়েই থাকবে।
ব্রিটিশ কারি অ্যাওয়ার্ডের ৯ম আসরে যেমন এসেছিলেন ব্রিটেনের সেরা টেলিভিশন তারকা, তেমনি এসেছিলেন মন্ত্রীসহ প্রথম সারির রাজনীতিবিদ। আর যাদের স্বীকৃতি প্রদানের জন্য এমন আয়োজন, মানে ব্রিটেনের সেরা রেস্টুরেন্টের মালিক তারা তো ছিলেনই। ক্যামেরন কারি শিল্পের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে বলেছেন, কারি শিল্প ব্রিটিশ জীবনধারার অন্যতম অপরিহার্য একটি অংশ। ব্রিটিশ অর্থনীতিতে এ শিল্পের বিরাট ভূমিকা। এবার নিজে উপস্থিত থাকতে পেরে ধন্য হওয়ার বিষয়টি জানাতেও কার্পণ্য করেননি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে কারি শিল্প এবং পুরস্কার আয়োজন নিয়ে কথা বলেছেন ব্রিটিশ কারি অ্যাওয়ার্ডের প্রবর্তক এনাম আলী এমবিই এবং অনুষ্ঠান প্রযোজক ও নির্দেশক জাস্টিন আলী। ব্রিটিশ জনপ্রিয় তারকা উপস্থাপক ক্রিস টারান্ট ও ব্রিটিশ মডেল মিলিন্ডা ম্যাসেঞ্জারের সঞ্চালনায় পুরো অনুষ্ঠান ছিল প্রাণবন্তময়। বাঙালির ঘরোয়া খাবারের আদলে ুৈরি কোরমা, বিরিয়ানি, রোস্ট আর সবজি খেয়ে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলেছেন দুই হাজার অতিথি। যুক্তরাজ্য জুড়ে ব্রিটিশ কারি অ্যাওয়ার্ড ২০১৩-এর মনোনয়ন পাওয়া ৩,৫০০ রেস্টুরেন্ট থেকে ৫৬টি রেস্টুরেন্ট চূড়ান্ত পর্বে আসে। দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলকে ভাগ করে মোট ১২টি ক্যাটাগরিতে ১৮টি সেরা রেস্টুরেন্টকে পুরস্কার দেওয়া হয়।
ব্রিটিশ কারি অ্যাওয়ার্ডের প্রযোজক জাস্টিন আলী জানালেন নবম আসরের নেপথ্য কথা। বললেন, সারা বছর আমরা পরিশ্রম করি একটি অনন্য সন্ধ্যা এবং মানুষের ভালোবাসায় বহুল কাঙ্ক্ষিত অনুষ্ঠান উপহার দিতে। এ অ্যাওয়ার্ডের প্রতি মানুষের আস্থা আমাদের দায়িত্ব বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। ব্রিটিশ কারি অ্যাওয়ার্ডের স্বপ্নদ্রষ্টা এনাম আলী এমবিই প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, 'শুরু থেকেই আমাদের মূল লক্ষ্য অনুষ্ঠানের মান এবং স্বচ্ছ নির্বাচন প্রক্রিয়ার দিকে। কারি শিল্পের প্রতি মানুষের ভালোবাসার ফসল এই পুরস্কার।
পুরস্কার প্রাপ্তিতে শুধু ব্যক্তিই লাভবান হবেন না, প্রতিষ্ঠানের ব্যবসাকেও নিয়ে যাবেন অন্যরকম উচ্চতায়। আমাদের সততা, স্বচ্ছতা আর তার বিনিময়েই অনুষ্ঠানটি আপামর মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। '
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।