আর ভালা লাগে না, ইসটুডেন থাকতে কত সুখে আছিলাম!!
নিজস্ব মতিবেদক
সমগ্র বিশ্বের অত্যাচারিত ও নিপীড়িত জাফর গোষ্ঠীর স্বার্থ সংরক্ষনের মহান ব্রত নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ‘নিপীড়িত জাফর ঐক্য’।
বুধবার রাজধানীর একটি বেসরকারী হাসপাতালের ওয়েটিং রুমে আয়জিত অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আত্মপ্রকাশ করে এই সংগঠনটি।
নিপীড়িত জাফর ঐক্যের প্রতিষ্ঠাতা আমীর ও সাবেক স্বৈরাচার রাস্ট্রপতি পল্লীবন্ধু রহস্যপুরুষ আলহাজ্জ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মালিকানাধীন জাতীয় পার্টির বিদ্রহী নেতা কাজী জাফর আহমেদ হাসপাতালের চাকাযুক্ত খাটে শুয়ে এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
কাজী জাফর বলেন, নীতীর প্রশ্নে আমি মেডাম খালেদা জিয়ার নেয় আপোষহীন। শেখের ফেমিলি খতম করার পর আমি আমার নীতী সমুন্নত রাখার জন্য ততকালীন জনপ্রিয়তম দল ইউপিপি তেগ করিয়া একাত্তরের রেম্ব জেনারেল জিয়ার শিক্ষা মন্ত্রী হইছিলাম।
জেনারেল জিয়ারে খতম করার পর আমি আমার নীতী সমুন্নত রাখতে রহস্যপুরুষ জেনারেল এরশাদের প্রধান মন্ত্রী হইছিলাম। জেনারেল এরশাদ একটি অভিশাপ ও হারামজাদা। দুই দশক চলে গেল এখনও সে খতম হইতেছে না। তাই আপাতত তারে জীবীত রাখিয়াই আমি আমার নীতী সমুন্নত রাখতে জাতীয় পার্টি তেগ করিয়া অন্য কুথাও যাব।
আক্ষেপ করে কাজী জাফর বলেন, যাওয়ার মত কুন ভাল জেনারেল নাই, দেশের অবস্থা এতই খারাপ।
থাকার মধ্যে আছে এক জেনারেল ইব্রাহীম, যে কুন কামের নহে। তাহার কাছে যাওয়া অপেক্ষা নিমুনিয়ায় মৃত্যু বরন করা উত্তম।
নিপীড়িত জাফর ঐক্যের নায়েবে আমীর ও সংগীত শিল্পী শাকিলা জাফর বলেন, আশির দশকে পল্লীবন্ধু রহস্যপুরুষ আলহাজ্জ এরশাদ ছিলেন রাস্ট্রপতি। দড়ির মত পাকান ছিল তার পেশী। তার শিরায় শিরায় গিরায় গিরায় ছিল শুদু পেশী আর পেশী।
পেশীর জুরেই তিনি আমায় মেনেজ করেন। কয়েকটি বছর তার পেশীর নিপীড়নেই আমার জীবন কেটেছে।
দির্ঘ শ্বাস ফেলে শাকিলা জাফর বলেন, তারপর দেশে গনতন্ত্র হল। দিনগুলি মোর সোনার খাচায় রইল না। পল্লীবন্ধু রাস্ট্রপতি হিসাবে কারাগারে ঢুকলেন।
তারপর বাইর হইলেন রওশনপতি হিসাবে। এরপর কতিপয় বিদিশা ফিদিশা নামক নস্টা নারীর পাল্লায় পড়িয়া তিনি পাড়ায় বখাটে হিসাবে পরিচয় কামাইলেন। কিন্তু আবার তিনি রাস্ট্রপতি হবেন বলিয়া শুনলাম। অর্থাত পুনরায় আমার নিপীড়নের কাল নজদিক। তাই আমি নিপীড়িত জাফর ঐক্যের নায়েবে আমীর হিসাবে যোগ দিছি।
‘নিপীড়িত জাফর ঐক্যের’ ভাঁড়প্রাপ্ত মহানায়েব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অনুষ্ঠানে বলেন, আমি বিখ্যেত সেনাপতি ও প্রাচীন যুগের রেম্ব জেনারেল মীর জাফরের বংশধর। তাই সেই কেপাসিটিতে নিপীড়িত জাফর ঐক্যের ভাঁড়প্রাপ্ত মহানায়েব হিসাবে আসিয়া পড়লাম। আমার উপর কি পরিমান অত্যাচার নিপীড়ন হয়, তার তালিকা দিয়া আমার বক্তব্য দির্ঘায়িত করতে চাই না। শুধু বলতে চাই, আমিও তুমাদেরই একজন।
কাজী বংশ অপেক্ষা মির্জা বংশ অধিক বড়, এ কথা স্মরন করিয়ে দিয়ে ফখরুল বলেন, যদিও আমি মির্জা বাড়ির গৌরব, তথাপি আমায় আমীরের পরিবর্তে ভাঁড়প্রাপ্ত মহানায়েব করা হইছে।
এ থেকেই বুঝা যায়, জাফররা বংশের পর বংশ ধরিয়া কি নিপীড়নের মধ্যে আছে। আমি কি সারাটি জীবন খালি ভাঁড়প্রাপ্তই রয়ে যাব? কখনও কি প্রমশন হবে না?
আবেগঘন কণ্ঠে ফখা ইবনে চখা বলেন, কাজী জাফরের উপর পল্লীবন্ধুর নিপীড়ন কুন মতেই মেনে নেওয়া যায় না। কাজী জাফর নীতীর প্রশ্নে আপোষহীন, তার উপর তার হইছে নিমুনিয়া। এই অসুস্থ লোকটারে হারামজাদা পল্লীবন্ধু জাতীয় পার্টি হতে বহিস্কারের মতলবে আছে। আর শাকিলা জাফরের উপর তার নিপীড়ন সে আর শাকিলা জাফর বাদে আর কেহই মানিয়া নিতে পারে না।
সকল প্রকার নিপীড়নের হাত থেকে সকল জাফরের মুক্তি চাই।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মুহম্মদ জাফর ইকবাল এই সংগঠনের আওতায় পড়েন কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে হাসতে হাসতে মির্জা ফখরুল বলেন, জাফর ইকবালের সংগে আমাদের কুন সমঝতা নাই। তার উপর নিপীড়ন হইলে আমরার কি?
গনদাবীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে জাফর ইকবালকে পদত্যেগের আহোভান করে ফখা ইবনে চখা বলেন, অনাচার কর যদি, জাফর ইকবাল ছাড় গদি। সিলেটে জুলুম পাপ, ক্ষমা চেয়ে নাহি মাফ। যারা তার ধামাধারী, তাদের গায়ে ককটেল মারি।
নাই কুন পরিত্রান, জাফর ইকবাল ছলি যান।
অনুষ্ঠান শেষে শাকিলা জাফর ‘তুলা রাশির মেয়ে’ ও মির্জা ফখরুল ইসলাম ‘যে দেশে গরু খায় বার মাস সবুজ ঘাস’ শীর্ষক গান পরিবেশন করেন।
এ বেপারে পল্লীবন্ধুর প্রতিক্রিয়া জানতে তার সংগে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, জাফর ঠিক বলেছে। চিনির প্রশ্নে তার কুন আপোষ নাই।
চিনি নয়, কাজী জাফর নিজেকে ‘নীতী’র প্রশ্নে আপোষহীন দাবী করছেন, এ কথা জানালে পল্লীবন্ধু হাসতে হাসতে বলেন, আহ, শাকিলা!
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।