সুনামগঞ্জের বিভিন্ন দলের প্রয়াত ও জনপ্রিয় রাজনীতিবিদদের কবর জিয়ারত করে ভিন্নরকম নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন জাতীয় পার্টি থেকে মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিছবাহ। পরে তিনি নদীর উত্তর পাড়ে গণসংযোগে ব্যস্ত সময় কাটান। তার এই ভিন্ন প্রচারণা অনেকেরই দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তার সঙ্গে জাতীয় পার্টির নেতারাসহঅনেক তরুণকে প্রচারণায় অংশ নিতে দেখা গেছে। রবিবার সকালে অ্যাডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিছবাহর বাসায় দলীয় নেতা-কর্মীরা জড়ো হন। এ সময় জাতীয় পার্টির সঙ্গে সম্পৃক্ত নন কিন্তু রাজনীতিসচেতন সংস্কৃতি কর্মী ও সমাজসেবীদেরও তার সঙ্গে প্রচারণায় অংশ নিতে দেখা গেছে। তাদের মধ্যে ছিলেন মরহুম ইকবাল হোসেন চৌধুরীর দুঃসময়ের সাথী জাপা নেতা জসীম উদ্দিন লাল, মোহাম্মদ আলী খুশনুর, যুব ইউনিয়ন সভাপতি মোজাম্মেল হক মুনিম, মরমি কবি হাছন রাজার প্রপৌত্র দেওয়ান সাজাওয়ার রাজা সুমন, ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সৈয়দ তারেক হাছান দাউদ প্রমুখ। বাসা থেকে বের হয়েই তিনি সরাসরি সুনামগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির প্রয়াত নেতা ও সাবেক মন্ত্রী মেজর ইকবাল হোসেন চৌধুরী ও তার স্ত্রী সাবেক সংসদ সদস্য বেগম মমতাজ ইকবালের কবর জিয়ারত করেন। পরে তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য দেওয়ান ওবায়দুর রেজা চৌধুরী, সুনামগঞ্জের জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ ও ক্রীড়া সংগঠক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির জাহানুর, জনপ্রিয় পৌর চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা মনোয়ার বখত নেক ও দেশ-বিদেশে জোছনাবাদী কবি হিসেবে পরিচিত রোল মডেল রাজনীতিবিদ কবি মমিনুল মউজদীনের কবর জিয়ারত করেন। জেলার শীর্ষ রাজনীতিবিদদের কবর জিয়ারত করায় অনেকেই তার প্রশংসা করেন। আগের দিন তিনি তার সদরের গ্রামের বাড়িতে পিতা-মাতার কবর জিয়ারত করে গ্রামবাসীর কাছে দোয়া চান। এদিকে মেজর ইকবালের কবর জিয়ারত শেষে তার বাসায় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন পীর ফজলুর রহমান মিছবাহ। এ সময় তিনি নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আমি এ মাটিরই সন্তান। আমি সুনামগঞ্জের জনপ্রিয় রাজনীতিবিদদের কবর জিয়ারত করে কথা দিচ্ছি_ আমি সব লোভ, হিংসা ও দুর্নীতির ঊধের্্ব থেকে নিরাভরণ থাকব। অতীতে যেভাবে আমি এই মাটির সন্তান হিসেবে নানা আন্দোলনে ছিলাম ভবিষ্যতেও থাকব। তিনি বলেন, গরিব হতে পারি, অসৎ নই, ভিরু কাপুরুষ নই। মমিন মুসলমানের সন্তান হতে পারি, অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বেড়ে উঠেছি। বন্ধুরা পথের সাথীকে পথেই চিনে নিও, পথেই সঙ্গে রেখ, হৃদয়ে দিও সামান্য ঠাঁই। আমি তোমাদেরই লোক। অন্যদিকে একই আসনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এম এনামুল কবীর ইমন সিলেট থেকে জেলা পরিষদ প্রশাসকের গাড়িতে করে যুবলীগের কর্মীদের মোটরসাইকেল শোডাউন করে শহরে হাত নেড়ে নেড়ে প্রবেশ করেন। আজ তারা মনোনয়ন দাখিল করবেন। এদিকে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের চাপের মুখে জেলা সাধারণ সম্পাদক নুরুল হুদা মুকুট আজ মনোনয়নপত্র দাখিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এমনকি জানা গেছে, বর্তমান সংসদ ও জেলা সভাপতি আলহাজ মতিউর রহমানও মনোনয়নপত্র জমা দেবেন।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী ইমনের শোডাউনে কোনো সিনিয়র নেতাদের দেখা না গেলেও যুবলীগের একদল কর্মীদের দেখা গেছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।