NOTHING IS IMPOSIBLE
আল্লাহ এই দুনিয়া সৃষ্টি করেন মূলত আল্লাহর প্রিয় হাবিব সাল্লাল্লাহ আল্যহে ওয়ালিহি ওয়াসাল্লাম এর মাধ্যমে নিজেকে প্রকাশ করে প্রিয় নবী শান-মান সমগ্র জাহানে বুলন্দ করার জন্য ।
নবী আদম আল্যহিস সালাম থেকে নবী ঈসা আল্যহিস সালাম পর্যন্ত সকল নবী বলেন
আমার পর আর এক জন নবী আসবেন এবং নিজ নিজ উম্মাত দের হিদায়েত দেন যদি সে সময় তুমরা জীবিত থাক, সে নবীর উম্মাত হয়ে যেও।
সর্ব শেষ নবী যখন এই দুনিয়া তে আগমন করেন “ যিনি সমগ্র জাহানের রহমত , আল্লাহর প্রিয় হাবিব সাল্লাল্লাহ আল্যহে ওয়ালিহি ওয়াসাল্লাম।
যার আগমনের পর আর কোন নবী বা রাসুল এই দুনিয়াতে আসবেন না।
যে রাসুল সাল্লাল্লাহ আল্যহে ওয়ালিহি ওয়াসাল্লাম কে প্রকাশ করার জন্যই এত আয়োজন তিনি হলেন “আল্লাহর নুর, সৃষ্টির মুল উৎস , অদ্বিতীয় – অতুলনীয় , দৃশ্য –অদৃশ্য, আদি-অন্ত, সর্ব তথের মূল কেন্দ্র” ।
ইসলাম এর সুশীতল পথ ও প্রিয় নবীর শান-মান চির বুলান্দ করার জন্য সৃষ্টির পর থেকে প্রত্যেক নবী-রাসুল যার যার অবস্থান থেকে কাজ করেন।
প্রিয় নবীর বাহ্যিক প্রত্যাবর্তনের পর সে ধারা এসে বরতায় সাহাবায়ে কেরাম গনের উপর, খলাফায়ে রাসেদিন, আহলে বায়েত, তাবেঈন, ইমামগন ও যুগে যুগে যে আওলিয়া কেরাম গন আগমন করেন উনাদের উপর।
আমরা সকলে অবগত আচ্ছি যে, এই পাক-উপ মহাদেশে কোন নবী বা রাসুল গনের বাহ্যিক ভাবে আগমন হয়নি কিন্তু নবী রাসুল গনের নির্দেশ মোতাবেক এই পাক-উপ মহাদেশে সে সম্মানিত কাজ করেন যারা উনারাই হলেন মহান আওলিয়া কেরাম।
যাদের আগমন এর কারনে আলোকিত হল মানব জীবন , সৃষ্টি যেন ফিরে পেল নতুন প্রাণ ।
সমস্ত আওলিয়া কেরাম গনের সিরমনি গাওস পাক (রাহ) থেকে - খাজা বাবা (রাহ), বাবা শাহাজালাল (রাহ), বাবা শাহাপরান (রাহ), নাসির উদ্দিন সিপাহসালা (রাহ), শাহাজাহানি (রাহ), বাবা আমানত শাহ (রাহ), বাবা বদার শাহ (রাহ), গিয়াস উদ্দিন (রাহ), বাবা মিস্কিন শাহ (রাহ), বাবা কালু শাহ (রাহ), বাবা মোহসেন আওলিয়া (রাহ) আর ও অনেক আওলিয়া কিরাম গনের শুভ আগমনে মূলত আমরা পেয়েছি সততের সঠিক দিক দর্শন ।
তাই আজ আমাদের যদি ইসলাম, আল্লাহ ও তার রাসুল পাক এর শান-মান বুঝতে চাই ও ইসলাম এর সঠিক শিক্ষা পেতে চাই তাহলে আওলিয়া কিরাম গনের কোন বিকল্প নাই।
আওলিয়া কিরাম গনের মাজার শরীফ দর্শন করা উচিত ।
যাহা আমাদের জন্য হবে কল্যাণকর।
বাংলার পপ সম্রাট মরহুম আযাম খান তার একটা গান এ বলেন
‘ আল্লাহর শান নবী কে দিয়ে,আল্লাহ গেলেন গায়েব হয়ে
সেই শান হাত নিয়ে , এলেন বাবা আযমিরে”
কেও ফিরে না খালি হাঁতে গেলে বাবার দরবারে ।
এই দুনিয়াতে যত আওলিয়া কেরাম গনের আগমন ঘটেছে মানব জাতির কল্যাণের জন্য খাজা বাবা মুইন উদ্দিন চিশতী (রা)তার অন্যতম ।
আজ আমি যে বিষয় নিয়ে লিখবো একটু মনোযোগ দিয়ে পরবেন ও বুঝার চেষ্টা করবেন,
আশা করি আল্লাহ ওঃ তার রাসুল সাল্লাল্লাহ আলইহে ওয়াসাল্লাম আমাদের কে কবুল করবেন।
খাজা বাবা মুইন উদ্দিন চিশতী (রা)৫৩৬ হিজরি ১১৩৮ ইং ইরানের বিখ্যাত শহর সিজিস্তান এর একটি পরিবারে আগমন করেন। ভাষা গত পরিছয় ফার্সি , ভোগলিক পরিছয় ইরানী এখন প্রস্ন হল ভাষা, বর্ণ , গোত্র ,লিঙ্গ, সীমারেখা ভিত্তিতে যদি আমাদের আত্ত পরিচয় দেই তাহলে খাজা বাবা মুইন উদ্দিন চিশতী (রা) কেন তার সব কিছু ত্যাগ করে জীবনের মায়া না করে, একটি সম্পূর্ণ অচেনা দেশে এসে নিজেকে বিলীন করে দিলেন?
উনি । চাইলে কি পারতেন না আরাম এর জীবন যাপন করতে??
খাজা বাবা মুইন উদ্দিন চিশতী (রা)কেবল আমাদের কথা ছিন্তা করে আল্লাহ ওঃ তার রাসুল সাল্লাল্লাহ আলইহে ওয়াসাল্লাম এর ভালবাসায় প্রিয় নবীর নির্দেশে সকল কিছুর ত্যাগ করে মুসলিম জাহানের ও মানবতার কল্যাণের জন্য সুদুর ইরান থেকে এই উপমহাদেশে আগমন করেন।
যখন এই উপমহাদেশের শাসন ক্ষমতা ছিল কুফুরি শাসক পৃথ্বী রাজ এর হাতে
সেই পৃথ্বী রাজ থেকে যুদ্ধ করে আমাদের কে এনে দেন ইসলাম এর সঠিক দিসা।
এতে প্রমানিত হয় যে ভাষা, বর্ণ , গোত্র ,লিঙ্গ, সীমারেখা , বস্তুবাদি মতবাদের ভিত্তিতে আমাদের পরিচয় হতে পারে না।
কোন বেক্তি যদি ভাষা, বর্ণ , গোত্র ,লিঙ্গ, সীমারেখা ভিত্তিতে নিজের পরিচয় দেয় তাহলে খাজা বাবার পরিচয় এর বিপরিত হয়ে যাবে আর যদি তা হয়ে যায় তাহলে সে বাক্তি নিজেকে আর মুসলিম দাবি করতে পারবে না।
এক জন মানুষের মাতৃ ভাষা থাকতেই পারে, দেশ এর পরিচয় ও থাকতে পারে কিন্তু মুল পরিচয় একটাই আর তা হল আমরা জাতিতে মুসলমান আর আমাদের জাতীয়তা মুসলিম ।
পৃথিবীর সকল মুসলিম দের জন্য এটা প্রয়োজন ।
এক জন মানুষ যখন মারা যায় “ কবরে শয়ন করানোর সময় একটি আয়েত পরতে হয় যার অর্থ হল
“ আল্লাহর দেয়া দ্বীন ওঃ রাসুল সাল্লাল্লাহ আলইহে ওয়াসাল্লাম এর দেয়া জাতীয়তায় তাকে কবরস্ত করা হচ্ছে”
তাই তো কবি বলেন
খাওজা হিন্দ ও দারবার হায় আলি তেরা
কয়ি মাহরুম নাহি মাঙংন ওয়ালা তেরা
বর্তমানে চার দিক যে মারা মারি টাড়একটাই আর তা হল আমরা নিজে দের সঠিক পথ থেকে দূরে সরিয়ে নিচ্ছি ।
।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।