বাংলা আমার দেশ হেফাজত দাবি করে তারা কোনও রাজনৈতিক সংগঠন নয়, তাদের সংগঠনের কোনও রাজনৈতিক অভিলাষ নেই। ভাল কথা, মৌলবিবাজারের আদি হেফাজতের নেতারা শুরু থেকেই নিজেদের রাজনীতি থেকে বহু দূরে রেখে ইসলামের প্রচার প্রসারে নিয়োজিত রয়েছেন। রাজনৈতিক দল না হলেও হাটহাজারীর নেতারা যে ভাষায় কথা বলেন, যে ভাষায় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে হুমকি দেন তার সঙ্গে জামায়াতিদের এতটুকু অমিল নেই। ৬ এপ্রিলের লংমার্চে জামায়াতের আনুষ্ঠানিক সমর্থনকে তারা মোবারকবাদ জানিয়েছেন। ৬ এপ্রিলের মহাসমাবেশ থেকে হেফাজতের নেতারা যে ১৩ দফা দাবি ঘোষণা করেছেন তার অধিকাংশ জামায়াতের একান্ত নিজস্ব দাবি, জামায়াতের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র বিএনপিও যার সঙ্গে একমত নয়।
হাটহাজারীর হেফাজতের ১৩ দফা দাবিতে বলা হয়েছে
১. সংবিধানে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিতে মহান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুনঃস্থাপন করতে হবে।
২. আল্লাহ, রাসুল (সা.) ও ইসলাম ধর্মের অবমাননা এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে কুৎসা রোধে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে আইন পাস করতে হবে।
৩. শাহবাগ আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী নাস্তিক-মুরতাদ এবং প্রিয় নবী (সা.)-এর শানে কুৎসা রটনাকারী ব্লগার ও ইসলামবিদ্বেষীদের সব অপপ্রচার বন্ধ করে তাদের গ্রেফতারপূর্বক কঠোর শাস্তিদানের ব্যবস্থা করতে হবে।
৪. রাসুলপ্রেমিক প্রতিবাদী আলেম-ওলামা, মাদরাসার ছাত্র এবং তৌহিদি জনতার ওপর হামলা, দমন-পীড়ন, নির্বিচার গুলিবর্ষণ এবং হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে হবে।
৫. অবিলম্বে গ্রেফতার করা সব আলেম-ওলামা, মাদরাসা ছাত্র ও তৌহিদি জনতাকে মুক্তিদান, দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং দুষ্কৃতকারীদের বিচারের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দিতে হবে।
৬. জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সব মসজিদে মুসল্লিদের নির্বিঘেœ নামাজ আদায়ে বাধাবিপত্তি ও প্রতিবন্ধকতা অপসারণ এবং ওয়াজ-নসিহত ও ধর্মীয় কার্যকলাপে বাধাদান বন্ধ করতে হবে।
৭. কাদিয়ানিদের সরকারিভাবে অমুসলিম ঘোষণা এবং তাদের প্রচারণা ও ষড়যন্ত্রমূলক সব অপতৎপরতা বন্ধ করতে হবে।
৮. ব্যক্তি ও বাকস্বাধীনতার নামে সব বেহায়াপনা, অনাচার, ব্যভিচার, প্রকাশ্যে নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণ, মোমবাতি প্রজ্বলনসহ সব বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হবে।
৯. মসজিদের নগরী ঢাকাকে মূর্তির নগরীতে রূপান্তর এবং দেশব্যাপী রাস্তার মোড়ে ও কলেজ-ভার্সিটিতে ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপন বন্ধ করতে হবে।
১০. ইসলামবিরোধী নারীনীতি, ধর্মহীন শিক্ষানীতি বাতিল করে শিক্ষার প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত ইসলামি শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে।
১১. সারাদেশের কওমি মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষক, ওলামা-মাশায়েখ এবং মসজিদের ইমাম-খতিবকে হুমকি-ধমকি ও ভয়ভীতি দানসহ তাদের বিরুদ্ধে সব ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে।
১২. রেডিও-টেলিভিশনসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় দাড়ি, টুপি ও ইসলামি কৃষ্টি-কালচার নিয়ে হাসি-ঠাট্টা এবং নাটক-সিনেমায় খল ও নেতিবাচক চরিত্রে ধর্মীয় লেবাস পোশাক পরিয়ে অভিনয়ের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের মনে ইসলামের প্রতি বিদ্বেষমূলক মনোভাব সৃষ্টির অপপ্রয়াস বন্ধ করতে হবে।
১৩. পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশব্যাপী ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডে এনজিও, কাদিয়ানিদের অপতৎপরতা এবং খ্রিস্টান মিশনারিদের ধর্মান্তরকরণসহ সব অপতৎপরতা বন্ধ করতে হবে।
জামায়াতের নায়েবে আমীর দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর বিভিন্ন ওয়াজ শোনার অভিজ্ঞতা যাদের আছে, তাদের এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, উপরোক্ত ১৩ দফার মূল দাবিগুলো জামায়াতের দলীয় দাবি, যা বিশেষ মতলবে বিশেষ সময়ে থলের ভেতর থেকে বের করা হয়, অন্য সময়ে থলের ভেতর লুকিয়ে রাখা হয়।
১৩ দফার একটি দাবি হচ্ছে আল্লাহ, রাসুল (সাঃ) ও ইসলাম ধর্মের অবমাননার জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে আইন অর্থাৎ ‘ব্লাশফেমি আইন’ পাশ করতে হবে।
জামায়াতে ইসলামীর বর্তমান আমীর মতিউর রহমান নিজামী ১৯৯৩ সালে জাতীয় সংসদে এই একই দাবি জানিয়ে একটি বিল জমা দিয়েছিলেন, যা তৎকালীন বিএনপি সরকার গ্রহণ করেনি। এর কয়েক মাস আগে ১৯৯২-এর নবেম্বরে জামায়াতে ইসলামী কাদিয়ানিদের কাফের ঘোষণার দাবি জানিয়ে, বিভিন্ন স্থানে নিরীহ আহমদীয়া স¤প্রদায়ের মসজিদ, পাঠাগার, দফতর ধ্বংস করেছিল।
জামায়াত যখন কোণঠাসা হয় তখনই তারা ‘কাদিয়ানিদের কাফের ঘোষণা’ কিংবা ‘ব্লাশফেমি আইন পাশ’ করার জন্য হইচই করে। কিন্তু এই জামায়াত যখন ক্ষমতায় থাকে তখন এসব বিষয়ে টু শব্দটিও করে না। যে নিজামী ১৯৯৩ সালে জাতীয় সংসদে ‘ব্লাশফেমি আইন’ প্রণয়নের দাবি জানিয়েছিলেন ২০০১-এর পর খালেদা জিয়ার কৃপায় মন্ত্রী হয়ে এ বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটে বসেছিলেন।
একইভাবে জামায়াত আহমদীয়াদের উপর হামলা, হত্যা, নির্যাতন অব্যাহত রাখলেও ক্ষমতায় থাকাকালে তাদের কাফের ঘোষণার উদ্যোগ নেয়নি। কারণ জামায়াত জানে বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশে বা বিদেশে এসব দাবি কাউকে গেলানো যাবে না; বাড়াবাড়ি করলে আম ও ছালা দুই-ই যাবে।
হেফাজতের ১৩ দফার প্রথম দাবি হচ্ছে জিয়াউর রহমান ৫ম সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে ‘সর্বশক্তিমান আল্লাহ্র উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস...’-এর যে কথা সংযোজন করেছিলেন, যা উচ্চতর আদালত অবৈধ ঘোষণ করে বাতিল করে দিয়েছে সেগুলো আবার সংযোজন করতে হবে।
বাংলাদেশ অথবা পৃথিবীর অন্য সব দেশের সোয়াশ কোটি মুসলমান সব সময় মহান আল্লাহ্র উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস রাখেন। তাদের নতুন করে এই বিশ্বাস স্থাপনের জন্য জবরদস্তি করা ধর্মের নামে বাড়াবাড়ি ছাড়া আর কিছু নয়; যে বাড়াবাড়ির বিরুদ্ধে কোরাণ, হাদিস এবং মহানবীর (সাঃ) বিদায় হজ্বের ভাষণে কঠোর সতর্কবাণী উচ্চারিত হয়েছে।
জামায়াত ও জিয়াপ্রেমে দিওয়ানা হাটহাজারীর হুজুরদের কাছে কোরাণ, হাদিস এবং আল্লাহ্ ও রাসুলের (সাঃ) সতর্কবাণীর কি কোনই মূল্য নেই?
যে কোনও সভ্য দেশের সংবিধানে ধর্ম-ভাষা-বর্ণ-জাতি নির্বিশেষে সকল মানুষের সমান অধিকার থাকে। বাংলাদেশে এখনও প্রায় দুই কোটি হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান, আদিবাসী ও নৃগোষ্ঠী রয়েছে। জাতিসংঘ কর্তৃক ঘোষিত আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ঘোষণা অনুযায়ী, বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী, এমন কি ইসলাম ধর্ম অনুযায়ীও অন্য ধর্মের মানুষকে ইসলামে বিশ্বাস স্থাপনে আমরা জবরদস্তি করতে পারি না। হাটহাজারীর হেফাজতকারীরা কি ভুলে গেছেন পবিত্র কোরাণ আল্লাহ্ তাঁর রাসুল (সাঃ)-কে বলেছেন, ‘তোমার প্রতিপালক ইচ্ছা করিলে পৃথিবীতে যাহারা আছে তাহারা সকলেই অবশ্যই ঈমান আনিত। তবে কি তুমি মুমিন হইবার জন্য মানুষের উপর জবরদস্তি করিবে?’ (সুরা ঃ ইউনুস, আয়াত ঃ ৯৯)
পবিত্র কোরাণে আল্লাহ্ আরও বলেছেন, ‘যাহারা দীন (ইসলাম) সম্পর্কে নানা মতের সৃষ্টি করিয়াছে এবং বিভিন্ন দলে বিভক্ত হইয়াছে তাহাদের কোন দায়িত্ব তোমার নয়; তাহাদের বিষয় আল্লাহ্র এখতিয়ারভুক্ত।
’ (সুরা ঃ আন’আম, আয়াত ঃ ১৫৯)
তিরমিযী শরিফে উল্লেখিত আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণিত হাদিসে বলা হয়েছে, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন ঃ ইহুদীরা একাত্তর অথবা বাহাত্তর ফেরকায় (দলে) বিভক্ত হয়েছিল এবং খৃস্টানরাও অনুরূপ সংখ্যক ফেরকায় বিভক্ত হয়েছিল। আর আমার উম্মাত বিভক্ত হবে তিয়াত্তর ফেরকায় (দা, না, ই, হা)।
‘এ হাদীসটি হাসান ও সহীহ। এ অনুচ্ছেদে সাদ, আবদুল্লাহ ইবনে আমর ও আওফ ইবনে মালেক (রাঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ’ (জামে আত-তিরমিযী, চতুর্থ খণ্ড, পৃঃ ৩৯৪)
কে মুসলমান আর কে মুসলমান নয় এ নিয়ে ফতোয়া দেয়ার অধিকার আল্লাহ কোনও সরকার বা মাদ্রাসাকে দেননি।
১৯৫৩ সালে জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতা আবুল আলা মওদুদী ‘কাদিয়ানি সমস্যা’ নামে একটা বই লিখে পাকিস্তানের লাহোরে সা¤প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধিয়েছিলেন। এই দাঙ্গায় আহমদীয়া মুসলিম জামাতের কয়েকশ মানুষকে হত্যা করা হয়। সামরিক আদালতে বিচারে মওদুদীকে তখন এর জন্য মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছিল। দাঙ্গার কারণ অনুসন্ধানের জন্য বিচারপতি মুনীরের নেতৃত্বে একটি কমিশন গঠন করা হয়েছিল, যা মুনীর কমিশন নামে খ্যাত। এই কমিশন মন্তব্য করেছে কে মুসলমান আর কে মুসলমান নয় এটা নির্ধারণের দায়িত্ব সরকার বা কোন সংগঠন যদি নেয় তাহলে সমাজে সমূহ বিপর্যয় সৃষ্টি হবে।
পবিত্র কোরাণে আল্লাহ্ রাসুলের (সাঃ) সমালোচনা বা ব্লাশফেমির জন্য জাগতিক শাস্তির বিধান নেই, আছে আল্লাহপ্রদত্ত কঠিন শাস্তি, যা কেয়ামতের পর ভোগ করতে হবে। ব্লাশফেমির জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিধান এসেছে ইহুদি ও খৃষ্টান ধর্ম থেকে, যার প্রয়োগ এখন পশ্চিমের কোথাও নেই। পাকিস্তানে ব্লাশফেমি আইনের বিরুদ্ধে শুধু নাগরিক সমাজ নয়, সেখানকার রাজনৈতিক নেতা এমনকি মন্ত্রীরাও সোচ্চার। পাকিস্তানে ব্লাশফেমি আইনের প্রতিবাদ করার জন্য মৌলবাদীরা ২০১১ সালে পাঞ্জাবের গভর্ণর সালমান তাসির ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শাহবাজ ভাট্টিকে হত্যা করেছে।
পুরনো বাংলা প্রবাদ আছে বিশেষ ধরনের লোক ধর্মের কথা শুনতে চায় না।
হাটহাজারীর জঙ্গী হেফাজতওয়ালাদের কোরাণ হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে লাভ নেই, তারা তা শুনবেন না। যারা এখনও তাদের ইসলামের হেফাজতকারী মনে করেন তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, আল্লাহ্ সব মানুষকে জ্ঞান বুদ্ধি দিয়েছেন। কোরাণ হাদিসের বহু বাংলা তরজমা ইসলামিক ফাউন্ডেশন এবং অন্যান্য ইসলামী গবেষণা কেন্দ্র থেকে তফসির সহ প্রকাশিত হয়েছে। আপনারা কোরাণ হাদিস পড়ে জানুন ইসলাম কী বলে।
ইসলাম যে শান্তির ধর্ম, জ্ঞান অšে¦ষণের ধর্ম, ভিন্ন ধর্মের সঙ্গে সহ অবস্থানের ধর্ম এসব কথা জামায়াতি ও হাটহাজারীর হেফাজতিদের কোনও লেখায় পাবেন না।
জেহাদের নামে প্রতিপক্ষকে কতল ছাড়া অন্য কোন ইসলাম তাদের মগজে নেই। ইসলামের আধ্যাত্মিক সৌন্দর্য অনুভব করতে হলে সুফী সাধকদের রচনা পড়–ন এবং প্রার্থনা করুন, আল্লাহ্ যেন মওদুদীবাদী জামায়াত এবং তাদের নিত্যনতুন সহযোগীদের কবল থেকে ইসলাম ধর্ম এবং বনি আদমদের হেফাজত করেন।
সরকারকে আমরা বলতে চাই হাটহাজারী নয়, শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ তথা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হেফাজত করা আপনাদের দায়িত্ব। হাটহাজারীর হেফাজতিদের মুক্তিযুদ্ধকালীন কর্মকাণ্ড এবং পরবর্তীকালে জামায়াত জঙ্গী সম্পৃক্ততা সম্পর্কে তদন্তের জন্য পাকিস্তানের মুনীর কমিশনের মতো উচ্চ পর্যায়ের কমিশন গঠন করুন। যে সব আলেম ওলামা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তথা ’৭২-এর সংবিধানে আস্থা রাখেন তাদের সংগঠিত ও সহযোগিতা করুন।
কারণ এই আলেমরা বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকেই বলছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কখনও ইসলামের প্রতিপক্ষ নয়, বরং ধর্মনিরপেক্ষতা ও গণতন্ত্রের চেতনা ইসলামের সমার্থক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স¤প্রতি মদিনা সনদের কথা বলেছেন। মদিনার সনদ হচ্ছে বিশ্বের প্রথম ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান, যার রচয়িতা স্বয়ং হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)। মওদুদীবাদী জামায়াতিরাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ভাস্বর ’৭২-এর সংবিধানকে ইসলামের প্রতিপক্ষ বানিয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।