সেই চিরবিদ্রো.... যে লড়াই , কখনো শেষ হয়না....
আজ আমরা এক সংকটের যুগসন্ধিক্ষনে দাড়িয়ে।
এখন সকল ঘটনার দেখার প্রেক্ষাপটে পাল্টে যাচ্ছে সব। কোন এঙ্গেল অব ভীউতে মূল্যায়িত হচ্ছে?
সবাই জনগনের নামে বলছে?
কিন্তু জনতা কি বলছে?
তা কেউ মূ্যলায়িত করছে না। তারা যে জানছে না তা নয়
বরং মানতে রাজি নয়। ব্যক্তি দল এবং স্বার্থের কারণে।
যদিও তারা দেশ দেশ করে- কিন্তু দেশের চেয়ে দল বড় আর দলের চেয়ে ব্যখ্তি বড়! এই বাস্তবতা আমরা পদ্শা সেতু দিয়ে বুঝে ছি।
আজ মূখোমূখি দুই পক্ষ
একদিকে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে সংবিধান সংশোধন করে আদালতের আদেশ অমান্য করে দেশকে এই সংকটে ফেলানো সরকার পক্ষ!
অন্যদিকে ৫ বছর দৌড়ের উপর থাকা, পুলিশ অবরুদ্ধ প্রধান কার্যালয় বিহীন, ব্যাপক জনসমর্থন থাকার পরও ৫ বছরের জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট হাজারো ইস্যু পাবার পরও কার্যকর বিরোধীতা এবং আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে নিয়ন্ত্রনে ব্যর্থ বিরোধী দল!!
সরকারের শুরুতেই বিডিআর ম্যাসাকার থেকে শুরু করে ৫ বছরের চলমান সকল অঘটন ঘটন পটিয়সি তাদের অতি আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছিল। শাহবাগ হয়ে শাপলার নিয়ন্ত্রেন ঘটনা তাতে আরো সাহসের হাওয়া লাগিয়েছে।
কিন্তু সমস্য হয় সিটি নির্বাচনে।
একের পর এক যখন ভরাডুবি হতে থাকে, এবং সবশেষ গাজিপুরেও ইজ্জতের শেষ ত্যানাট খসে যায়- তখন বোধোদয় হয় -জনসমর্থনের উল্টো হাওয়ায়।
আত্মবিম্বাসের পাল ছিড়ে যায় হঠাৎ করেই।
হাজার প্রপাগান্ডা, হাজার মিডিয়া, চ্যানেলেও শেষ রক্ষা না হয়ে ৫-০ তে হোয়াইট ওয়াশ তাদের ক্রেজি করে তোলে।
যার ফলশ্রুতিতে যে কোন মূল্যে ক্ষমতায় টিকে থাকার বাসনাটা তীব্র থেকে আরো তীব্র হয়ে মেনিয়ায় বদলে যায়!!
তার জন্য প্রয়োজন এবং প্রযোজ্য সকল কাজই একের পর এক করতে থাকে-তোয়াক্কা হীন। যা খুশী তাই এবং আমার ইচ্ছা আমি করছি-পারলে ঠেকাও টাইপ মানসিকতায়-যা তাদের বক্তৃতা বিবৃতি এবং মতপ্রকাশে প্রতিষ্ঠিত।
তারা কোন কথা মানকতে রাজি না।
কিন্তু মূখে বলছে- সংলাপ সংলাপ - বিষয়টা সং সাজিয়ে আলাপের মতো হয়ে গেল শেষাব্দি।
অত:পর -৫ বছরের ধারাবাহিকতায়-পুলিশি এবং শক্তির মদমত্ততায় সব দখলে রাখার, নিজের সকল ইচ্ছা বাস্তবায়নেই সকল কিছূ ঠিক আছে=নইলে সবই ভূল মানসিকতায় চলতে থাকে দমন-পীড়ন এবং গ্রেফতার জেল জুলুম। আর এ যে ইচ্ছাকৃত -তাদের মন্ত্রী নেতার কথায়ই তা প্রমানীত- আলাপ হলেই বা সমঝোতা হলেই সকল নেতাকে ছেড়ে দেওয়া হবে! এই বক্তৃতায়ই তাদের গ্রেফতার যে রাজনৈতিক জুলুমএবং অন্যায় তা পরিস্ফূট!
অপরদিকে
বিরোধীদল- শুরু থেকে দৌড়ের উপর ! বিডিআর ম্যাসাকার নিয়ে তাদের শক্ত এবং তথ্যভিত্তিক, কোন শ্বেতপত্র বা এটাকে আইনিভাবে মোকাবেলায় শতভাগ ব্যর্থ! অত:পর খোদ নেত্রীকে তার বাসভবন থেকে উচ্ছেদ!
তারপর- ক্রমাগত শেয়ার বাজার, ডেস্টিনি, কুইক রেন্টাল, হলমার্ক, পদ্ধাসেতু, দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্ধগতি, শিক্ষা খাতকে পুরাই ভারতীয় বাজারে পরিণত করা থেকে- ট্রানজিট, তিস্তা, টিপাই, রামপাল....
একের পর এক, পায় পায় জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট ইস্যু থাকার পরও শক্ত, শক্তিশালী, গণমূখি আন্দোলন করতে না পারার ব্যর্থতা।
যদিও সরকার শুরুতেই সংসদের চীফ হুইপকে সামান্য একজন পুলিশের হাতে মার দিয়ে তাদের আতংকিত করতে চেয়েছে-সংসদএভং সংবিধঅনকে কলংকিত করা এই ঘটনায় সংসদও কোন ভ্যাখ্যা চায়নি, রুলিং দেয়নি, বিচারের ব্যবস্থা করে নি! অথচ স্পিকারের অনুমতি ছাড়া গ্রেফতারও যেখানে অবৈধ- সেখানে সরাসরি নির্মম ভাবে অত্যাচারের ভিডিও ফুটেজ আজো মনে করিয়ে দেয়- এই সরকার দমননীতিতে কতটা হটকারী এবং স্যভতা বিবর্জিত।
এরপর ক্রমাগত পুলীশী হয়রানি, গত ৫ বছরে বিএনপিকে সামান্য মানববন্ধনেও দাড়াতে দেয়নি- স্বাভাবিক মিছীল সমাবেশে কুত্তার মতো হামলে পড়েছে, পুলীশের পোষাক পড়ে লিগের লোক হামলা করেছে!!
তারা দলগত ভাবে যেমন ব্যর্থ- তেমনি দেশের বিরোধী দল হিসাবে সরকার সমর্থনের বাইরে কোটি কোটি লোকের অধিকার রক্ষায়ও তেমনি ব্যর্থই বলা যায়।
আর তারা ধৈর্য বা শুভ রাজানীতির চেষ্টায়- মানববন্ধন, অনশন, প্রতীক অনশন, সমাবেশ করার যত চেষ্টা করেছে তা রাস্ট্রীয় বাধার মূখে বারবার বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
এবং তারা সময় ক্ষেপন করতে করতে সরকারকে পূর্ণ মেয়াদ সম্পন্ন করার সময় দিয়েছে। অত:পর ক্রমাগত দাবী এবং জনতার বিভিন্ন জরিপ সরকারের গোপন জরিপ সবকিছূর পরও সরকার এক কথঅর মানুষ সেজে আজ জাতিগত ভাবে মূখোমূখি দেশ!!!!
বাকী রইল মিডিয়া-যা জাতিকে এই দুই শক্তির চেয়েও বেশি প্রভাবিত করতে পারে। কিন্তু অদ্ভুত ভাবে ৯০ ভাগ মিডিয়া প্রকাশ্যে বা গোপনে আওয়ামী প্রীতি প্রবণ্! বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে সকলেই হালুয়া খায়- কিন্তু কাজে আওয়ামী প্রেম গোপন আর থাকে না।
বিগত বিএনপি বিরোধী আন্দোলনের রিপোর্ট গুলো যে কেউ দেখুন।
তার উপস্থাপনা, ভাষা ষ্টাইলে সব জনস্বার্থে করছে-সরকারই একগুয়ে তাই বিরোধীদের একান্ত বাধ্য হয়ে এসব করতে হচ্ছে এমন ভিউজ নিত্য ছিল!
কিন্তু একণকার নিউজে বিরোধী দলকে ক্রিমিনাল, সকল অপকর্শের দায়ে দোষী, সরকারের হাজার হাজার ব্যর্থতাও -এইতো সামান্য টাইপ ভেবে এড়িয়ে যাওয়া, ঘুরায় প্যাচায়া যত দোষ নন্দঘোষের নীতিতে চলছে।
ফলে মানুষ বিভ্রান্ত। মানুষ খুব ভাল করে বোঝে। বোঝে বলেই তারা বারবার নিজেদের ভাগ্যের বদলে লোক বদলায় শাসক বদলায়! কিন্তু যে যায় লংকা সে হয় রাবনের শেষ ভার্সনে আজ আওয়ামীলীগ শুধূ রাবন নয়- পুরা লংকাই পটেতে পুরতে উদগ্রীব।
তাই পুড়ছে স্বদেশ।
পুরছে মানুষ। পুরছে আমজনতা।
কেউ সাহস করে বলছে না রাজা তুই ণ্যাংটো!!!!
কেউ বলছেনা - এনাফইজ এনাফ। সংবিধান আর আদালতের রায়ের ভিত্তিতেই সমাধার হবে। যখন কোন বিষয়ে দু পক্ষ সমাধানে পৌছাতে না পারে- তখন তৃতীয় পক্ষকেই শক্ত হাতে মধ্যস্ততার দায়িত্ব নিতে হয়।
যে দেশ এবং জনতার প্রতি দায় থেকেই দায়িত্ব নিয়ে থামিয়ে দিতে পারে এই অচলাবস্থা।
আছে কি কোন বীর। দেশ এবং মাটিকে ভালবেসে সাহসের সাথে দায়িত্বপালনের। সুশীল থেকে ধরে আইজদ্দিনের মতো আম কেউ।
হযতো সিনেমায় এসব হয়-বাস্তবে বোধকরি এই যন্ত্রনাই নিয়তি।
ভয় হয়- গত ৫ বছরে আওয়ামীলীগ ভারতরে বিনা মাশূলে এত মধূ খাওয়াইছে- যে তারা (ভারত) কূটনীতির ভাষা, ব্যকরণ সব ভুলে সরাসরি আওয়ামীলীগের রক্ষকের ভূমিকায় নামতেও লজ্জা বোধ করে না!!!!!!!
৭১এ পাকিদের অধিপত্যবাদ শোষনের বিরুদ্ধে ছিল যুদ্ধ-আজা আবার মনে হচ্ছে-ভারতীয় আধিপত্যবাদ এবং দালাল/রাজাকারদের বিরুদ্ধে আরেকটি যুদ্ধ আসন্ন!!!
আপনি কোন দলে?
দেশপপ্রেমিক?
না ভাদা/ রাজাকার?
সবশেষে প্রার্থনা -
হে আল্লাহ আমাদের রক্ষা কর। তুমিই একমাত্র রক্ষাকারী।
আমাদের এই অচলাবস্থা থেকে মুক্তি দাও। তুমিই মুক্তিদাতা।
তোমার রহমত হিসাবে আমাদের ভাগ্যে একজন সু-শাসক দাও
তুমিই সকল কিছূর নিয়ন্তা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।