আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সংকটের শেষ কোথায়

টানা অবরোধ হরতাল সহিংসতায় সারা দেশের মানুষের মধ্যে উদ্বেগ বিরাজ করছে।

অন্যদিকে এক তরফা নির্বাচনের পথেই হাঁটছে সরকারি দল। সংকট নিরসনে বারবার বৈঠক হচ্ছে দুই দলের মধ্যে। কিন্তু বাস্তবে কোনো কিছুই নিরসন হচ্ছে না। দেশের এ জটিল পরিস্থিতিতে উৎকণ্ঠা বাড়ছে নাগরিক সমাজেরও।

এ প্রসঙ্গে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মতামত নিয়েছেন- জুলকার নাইন

 

যেদিন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে সেদিনই নির্বাচন করতে হবে এটি একটি আজগুবি কথা। ইতোমধ্যেই এ নির্বাচন তামাশায় পরিণত হয়েছে। বর্তমান রাজনৈতিক সংকটের উত্তরণ ও সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য দুই দলের সমঝোতার পর নির্বাচন পিছিয়ে দিতে হবে এবং তা আগামী ২৪ জানুয়ারির মধ্যে করতে হবে। বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এসব কথা বলেন।

ব্যারিস্টার রফিক-উল হক বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন সরকার চাইছে, কিন্তু জনগণ চাইছে না।

সরকারের পক্ষ থেকে সাংবিধানিক ধারবাহিকতা রক্ষার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু ধারাবাহিকতার জন্য ৫ তারিখেই নির্বাচন করতে হবে এর কোনো ভিত্তি নেই। ইতোমধ্যেই এ নির্বাচনকে সরকার তামাশায় পরিণত করেছে। বাংলাদেশে নির্বাচন হবে কিন্তু প্রার্থী থাকবেন না, এটা কখনোই সম্ভব নয়। কিন্তু সরকার সে ধরনের একটি তামাশার নির্বাচনের পথে যাচ্ছে।

যদি সত্যিই সংবিধানের কথা ভেবে দেখা হয়, তাহলে প্রধান দুই দলের সমঝোতা করতে হবে। এখন ঘোষিত নির্বাচন পিছিয়ে দিয়ে আবার নতুন করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে আগামী ২৪ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন করতে হবে।

প্রবীণ এই আইনজীবী বলেন, জাতিসংঘের দূত এলেন। দুই দলের আলোচনা শুরু হলো। কিন্তু কি নিয়ে আলোচনা করলেন।

সেই আলোচনা এখন কি অবস্থায় আছে। আরও কতদিন আলোচনা হবে। এ আলোচনা কি কোনো সমঝোতার জন্য নাকি লোকদেখানো। সেসব বিষয়ে সরকার বা বিরোধী দল কোনো পক্ষ থেকেই স্পষ্ট করা হচ্ছে না। নির্বাচনে অংশ নেওয়া না নেওয়া নিয়ে এরশাদ সাহেব নিত্যনতুন অবস্থান নিচ্ছেন।

কিন্তু রাজনীতিবিদদের এ খামখেয়ালিতে চারদিকে এত সংঘাত এত মৃত্যু সহ্য করা যায় না। আমরা সবাই এর ভুক্তভোগী হচ্ছি। আরও কত দিন ভুগতে হবে, কেউ জানে না। তিনি বলেন, পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হচ্ছে উল্লেখ করে নির্বাচন যেভাবে হচ্ছে, তা স্থগিত কিংবা বাতিল করাও এখন কঠিন। কারণ নির্বাচন কমিশন এখন তেমন পদক্ষেপ নিলে যারা ইতোমধ্যে নির্বাচিত হয়ে গেছেন বা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে যাওয়ার পথে, তারা তা চ্যালেঞ্জ করবেন।

তারা আদালতে যাবেন। তা নিয়ে সৃষ্টি হবে আরেক ধরনের জটিলতা। একমাত্র রাজনৈতিক সমঝোতায় এ জটিলতা কাটানো সম্ভব। তবে সেই সমঝোতার কোনো আশা দেখা যাচ্ছে না। দশম সংসদ নির্বাচন যেভাবে হচ্ছে সেভাবে হতে দিয়ে পরের নির্বাচন নিয়ে সমঝোতায় যাওয়ার একটি প্রস্তাবনা রাজনৈতিক বিভিন্ন মহলে আলোচনা হচ্ছে সে প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার রফিক-উল হক বলেন, এগুলো অবান্তর কথা।

যা সামনে আছে তা নিয়েই কিছু হচ্ছে না, যা নেই তা নিয়েই যত কথা।

 

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।