াে্রন্সাস্
মনজুরুল হক : কদিন আগে ১৯ জন মানুষকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারার চেষ্টার পর সেই ১৯ জনের ২ জনের মৃত্যুর শোক, আহাজারিতে বাতাস ভারী হয়ে থাকা অবস্থায় আবারো ৭২ ঘণ্টার অবরোধের ডাক দিয়েছে বিরোধী দল। একদিকে সেই অগ্নিদগ্ধ মানুষদের নিয়ে চলছে ঘৃণ্য দোষারোপের পালা, অন্য দিকে চলছে তাদের সঙ্গে আরো বেশি মানুষকে হত্যা করে বা হত্যার চেষ্টা করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা। পরিস্থিতি ঘোলাটে হলে, দেশে অরাজক অবস্থার সৃষ্টি হলে অন্য কোনো তৃতীয়পক্ষ ক্ষমতায় আসবে, এসেই তাদের ডেকে এনে মসনদে বসিয়ে দেবে তেমন আশ্বাস না পেলে কেউ দিনের পর দিন এভাবে রাজনীতির নামে রাজনীতিরই বলাৎকার করে না। তাহলে কি ধরে নিতে হবে বিরোধী দল বা বিএনপি সেই ‘তৃতীয় পক্ষ’ থেকে গ্রিন সিগন্যাল পেয়েছে? তাই যদি হয় তাহলে এতো এতো মানুষ মারার নৃশংসতা কেন? আপোসে তাদের ডেকে আনলেই তো হয়! রাজনীতির প্রচলিত কর্মসূচি নিয়ে দেশবাসী কারোই কোনো দ্বিমত নেই। দাবি আদায়ের জন্য ক্ষমতাসীনদের চাপপ্রয়োগ করার যতোগুলো বিধিবদ্ধ উপায় আছে তার প্রয়োগ নিয়েও সাধারণ মানুষের কোনো দ্বিমত নেই।
কিন্তু যে সাধারণ মানুষের ভোটে নির্বাণ হয়, যে সাধারণ মানুষ ভোট দিয়ে তার পছন্দের প্রার্থীকে জয়ী করে, সরকার গড়তে সমর্থন দেয় সেই সাধারণ মানুষকে কেন, কোন অধিকারে পুড়িয়ে মারা হবে? কেনই বা তাদের নির্বিকার পোড়ানোর কর্মসূচিকে ক্ষমতাসীন যারা সাধারণের ভোটে নির্বাচিত তারা প্রতিহত করবে না? এই ক্ষেত্রে দায় সমানভাবে ক্ষমতাসীন এবং ক্ষমতাবহির্ভূত উভয়ের ওপরই বর্তায়।
এ বছর ফেব্রুয়ারি মাস থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত বিরোধী দলের তথাকথিত আন্দোলন (কার্যত যা জামাতের সাজাপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর কৌশল মাত্র), অবরোধ, হরতালে প্রায় ৭৫ থেকে ৮০ জন সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বিভিন্ন হিসাব মতে বিআরটিসির ৩৮টি দোতলা বাস জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। দোকানপাট, কল-কারখানা, বাড়িঘর মিলিয়ে এই দশ মাসে সারা দেশে যে তা-ব হয়েছে তার সঙ্গে তুলনা হতে পারে আফ্রিকার যুদ্ধকবলিত কোনো জনপদের। তুলনা হতে পারে একাত্তরের বিভীষিকার।
দেশে কি আসলেই তেমন কোনো পরিস্থিতি বিরাজ করছে? যদি গৃহযুদ্ধের অবস্থা হয়ে থাকে তাহলেও মেনে নেয়া যায় যে দুপক্ষ যুদ্ধ করছে, তাতে ক্ষয়ক্ষতি তো হতেই পারে। কিন্তু এখানে তো কোনো যুদ্ধ হচ্ছে না! একপক্ষ ক্ষমতায় বসে আছে কিছু আইনি ক্ষমতাবলে, আর এক পক্ষ সেই আইনি ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ করতে না পেরে বা চ্যালেঞ্জ করে জয়ী হতে না পেরে সেই ক্ষোভ ঝাড়ছে সাধারণ মানুষের ওপর। কেন? সাধারণ মানুষ কি দোষ করেছে? পাঁচ বছর পর পর ভোট দিয়ে কিছু মতলববাজ সুবিধাবাদী মানুষকে সাংসদ, মন্ত্রী, নেতা বানানোর অপরাধ? ক্ষমতাসীন দলকে পাঁচ বছর সমর্থন করার অপরাধ? সেটা যদি অপরাধ হয় তাহলে কি তারা ধরেই নিচ্ছে এই সাধারণ মানুষ সবাই আওয়ামী লীগ তথা মহাজোটের সমর্থক? তা না হলে তাদের ওপর বোমা হামলা কেন? তাদের ওপর অত্যাচার কেন? কেন তাদের জ্যান্ত পুড়িয়ে মারার জন্য বাসে, সিএনজিতে পেট্রল ঢেলে আগুন দেয়া? যদি ধরেই নেয়া হয় সাধারণ মানুষ সকলেই মহাজোটের সমর্থক, তাহলে কি এই হিসাব ওঠে না যে আপনাদের সমর্থক কে তাহলে? যারা বোমা মারছে, আগুন দিচ্ছে শুধু কি তারাই? তাই যদি হয় তাহলে এই ভাড়াটে মাস্তান নিয়ে আপনারা কী করে সরকার গঠন করবেন?
আমরা বারেবারে একথা বলে আসছি যে, সাধারণ মানুষের ওপর হামলা, আগুন, খুন বন্ধ করুন। তারা আপনাদের বা সরকারের কেনা গোলাম নয়। তারা নিজেদের শ্রম দিয়ে নিজেদের রুটি রুজি করা সাধারণ মানুষ।
তারা আপনাদের মতো রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকে কোটি কোটি টাকা বেতন-ভাতা নিয়ে বাঁচে না। তারা আপনাদের মতো রাষ্ট্রের টাকায় ফুটানিও করে না। তারা আপনাদের মতো রাষ্ট্রীয় আনকূল্য নিয়ে দিন গুজরানও করে না। আপনাদের মতো তাদের কেউ পাহারা দিয়ে রাখে না। আপনাদের মতো সোনার চামচ মুখে দিয়ে তাদের জন্ম হয়নি।
তারা এতোটাই হতভাগা যে তাদের হত্যা করার পর একে অপরকে দোষারোপ করতে করতে এক সময় দেখা যায় কেউ কোনো কিছু করেনি। আজকে যারা সাধারণ মানুষকে আগুন-গুলি প্র্যাকটিস করার চাঁদমারি বানিয়েছে সেই তারাই ক্ষমতাসীন হলে এসব হত্যাকারী পুরস্কৃত হবে। এদের কেউ বড় সড় নেতা-টেতাও হয় যেতে পারে। সাধারণ মানুষের এই বিভীষিকাময় দুর্বিপাকে দেশের রাজনীতির ওপর মহলে যে বাতাস বইছে সেটা কোনোভাবেই কোনো সুশীতল বাসাত বয়ে আনবে না।
‘সর্বদলীয় সরকারে যোগ দিয়ে বিএনপিকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার আহ্বান আবারো জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, নির্বাচন নির্দিষ্ট সময়েই হবে এবং অসাংবিধানিক কোনো শক্তিকে ক্ষমতায় আসতে দেয়া হবে না। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমিই তাকে ফোন করলাম। আমি মনে করলাম, আমার নমনীয় হওয়া উচিত। আমি নমনীয় হয়ে ফোন করলাম। আসলে উনি (খালেদা) ইলেকশনই চান না।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যতোই চেষ্টা করুক, আল্লাহর রহমতে নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না। দেশে অসাংবিধানিক ধারা চলবে না, আসতে দেবো না। ’ বিরোধী দলের কর্মসূচিতে গাড়িতে আগুন ধরিয়ে মানুষ পোড়ানোর ঘটনায় বিএনপি চেয়ারপারসনের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উনার মানবতা বলে কিছু নেই। ক্ষমতার জন্য উন্মাদ হয়ে গেছেন। একের পর এক ঘটনা ঘটানো হচ্ছে।
এই পোড়ানোর খেলা বন্ধ করেন। বাংলাদেশের মানুষ ক্ষেপলে, যারা পোড়ানোর হুকুম দিচ্ছেন, তাদের পোড়ানোর জ্বালা সহ্য করতে হবে। তিনি আরো বলেন; ‘উনি যখন ক্ষমতায় ছিলেন- তখন আমার ক্যান্টনমেন্টে ঢোকা নিষেধ ছিল। ’ (ভোরের কাগজ, ৩০.১১.২০১৩)
অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে সরকারপ্রধান তার নেয়া পদক্ষেপ নিয়ে বেশ সন্তুষ্ট। কিন্তু অপরদিকে বিএনপিদলীয় প্রধানের বক্তব্য কি? তিনি বলছেন : ‘একতরফা প্রহসনের নির্বাচনের তফসিল স্থগিত করার জন্য আমি নির্বাচন কমিশনের প্রতি দাবি জানাচ্ছি।
সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে আটক নেতাকর্মীদের মুক্তি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান রেখে তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, স্বৈরশাসকের পথ বেছে নেবেন না। অন্যথায় পরিণতি স্বৈরশাসকদের মতোই হবে। সরকারকে বলবো, সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করে সংলাপের মাধ্যমে নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের পথ খুলে দিন। শান্তি, স্থিতি, নিরাপত্তা ও গণতন্ত্র অব্যাহত রাখুন। খালেদা বলেন, ‘সংলাপ ও সমঝোতার আহ্বান তারা (সরকার) বরাবর উপেক্ষা কিংবা চাতুর্যের মাধ্যমে এড়িয়ে যাচ্ছে।
বশংবদ নির্বাচন কমিশন এই আগুনে ঘি ঢেলেছে। তড়িঘড়ি করে একতরফা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে জনগণ শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন ও প্রতিবাদ শুরু করলে সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বেআইনিভাবে ব্যবহার করে এবং গোয়েন্দা ও দলীয় সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের মাঠে নামিয়ে পরিস্থিতিকে সংঘাতপূর্ণ করে তুলেছে। ’ (ঐ)
বেগম খালেদার এই বক্তব্যটি প্রণিধানযোগ্য : ‘তড়িঘড়ি করে একতরফা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে জনগণ শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন ও প্রতিবাদ শুরু করলে সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বেআইনিভাবে ব্যবহার করে এবং গোয়েন্দা ও দলীয় সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের মাঠে নামিয়ে পরিস্থিতিকে সংঘাতপূর্ণ করে তুলেছে। ’ অর্থাৎ তিনি এখনো মনে করছেন ‘জনগণ শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন ও প্রতিবাদ’ শুরু করেছে! তাহলে তিনি এসব বোমা নিক্ষেপকারী, অগ্নিসংযোগকারীদের ‘জনগণ’ বলছেন! ওই যে, আগেই বলেছি; এসব ভাড়াটে খুনিরাও এক সময় নেতা হয়ে যাবেন।
তার মানে জনগণ এখানে দুভাবেই ব্যবহৃত হচ্ছে।
একপক্ষ বলছে নিরীহ ‘জনগণকে’ অত্যাচার করা হচ্ছে, পুড়িয়ে মারা হচ্ছে। আর এক পক্ষ বলছে নিরীহ ‘জনগণ’ শান্তিপূর্ণ আন্দোলন-সংগ্রাম করছে! তাই যদি হয় অর্থাৎ এই দুপক্ষের বক্তব্যই যদি সঠিক হয় তাহলে উঠে আসে সেই কোটি টাকার প্রশ্ন: এই যে যারা পুড়ছে, মরছে, মায়ের বুক খালি হচ্ছে, পঙ্গু হচ্ছে এরা কারা? প্রশ্নটি দুপক্ষের কাছেই তোলা রইলো।
শেষ খবর হচ্ছে খালেদা জিয়া চাইলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও দিতে রাজি প্রধানমন্ত্রী।
বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়াকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খালেদা জিয়া যদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েরও দায়িত্ব চান তা আমি দিতে রাজি আছি। তবুও নির্বাচনে আসেন।
আগেই বলেছি যতোগুলো মন্ত্রণালয় চান দিতে রাজি আছি। এখনো বলছি নাশকতা পরিহার করে নির্বাচনে আসেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মনের আগুন মনে রাখুন। সেই আগুনে যানবাহন পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করবেন না। তাহলে আপনিও রক্ষা পাবেন না।
তিনি বলেন, নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে। কেউ নির্বাচন বানচাল করতে পারবে না। দেশবাসীকে বলবো নির্বাচনের প্রস্তুতি নেন। বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে শেখ হাসিনা বলেন, আন্দোলন করলে রাস্তায় নামেন। আন্দোলন দিয়ে লুকিয়ে থাকবেন না।
রাস্তায় নামলেই দেখা হবে কার আন্দোলনে কতো জোর আছে। (ঐ)
তারও পরের খবর : আগামী দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী। শনিবার দুপুরে আইনজীবী ড. ইউনুস আলী আকন্দ এই রিট আবেদনটি করেন। রোববার রিটটি শুনানির জন্য আদালতে উপস্থাপন করা হতে পারে।
এর আগে গত মঙ্গলবার দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান ইউনুস আলী আকন্দ।
এতে একই সঙ্গে তফসিল বাতিলেরও দাবি জানানো হয়েছিল।
এবং সর্বশেষ পরিস্থিতি : ‘সমঝোতার সুস্পষ্ট প্রস্তাব পেলে পুনঃতফসিল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মোঃ আবু হাফিজ। শনিবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সমঝোতার জন্য আমরা অনেক অপেক্ষা করেছি। এখন যদি সুস্পষ্ট প্রস্তাব আসে কমিশন সভায় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। ’
আর এরপর পরই আর এক গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ প্রকাশ করেছেন যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেছেন : ‘রাজনৈতিক সমঝোতা যখন হবে তখন আর বিরোধী দলের কেউ কারাগারে থাকবে না। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমান যুগে লেভেল প্লেইং ফিল্ড সৃষ্টি করার সুযোগ নেই। সবাই আচরণবিধি মেনে চললে লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি সম্ভব। ’
তার মানে আমাদের ধরে নিতে হবে এখনো সমঝোতার পথ খোলা রয়েছে! এখনো সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভবনা রয়েছে! এখনো আমে-দুধে মিশে যাওয়ার পসিবিলিটি রয়েছে! এখনো ওপরে ওপরে লাঠালাঠি ফাটাফাটি করলেও ভেতরে ভেতরে মাসতুতো ভাই ফ্লেভার রয়েছে! বেশ তো! তা হলে তো সবার জন্যই মঙ্গল হয়। তাই যদি হয় তাহলে এই ক্ষমতায় থাকা বা যাওয়াকেন্দ্রিক টাগ অব ওয়ারে কেন শত শত সাধারণ মানুষকে প্রাণ দিতে হলো? কেন তারা আপনাদের ‘ক্ষমতা ক্ষমতা খেলা’র ঘুঁটি হলো? কেন তাদের অকাতরে প্রাণ দিতে হলো? এদের প্রাণ কি খোলামকুচির মতো ভেসে ভেসে বেড়ায়? এদের প্রাণ কি এতোটাই সস্তা যে একটা কিনলে আরেকটা ফ্রি? প্রশ্ন উঠতে পারে ‘তারা আমাদের খেলা দেখতে আসে কেন?’ খুবই সঙ্গত প্রশ্ন।
সন্দেহ নেই এমন প্রশ্ন ওঠাটাই স্বাভাবিক। সে প্রশ্নের উত্তরটা কি আপনারা জানেন না? খুব সোজা। জানতে চাইলেই জানা যেতো। তারা কেউই আপনাদের ‘খেলা’ দেখতে যায় না। কারোরই আপনাদের ‘খেলা’র ক্রীড়ানক হতে সাধ করে না।
তারা তাদের জীবিকা নির্বাহের তাগিদেই ঘর থেকে বেরোয়। পেটের অন্নের জোগান দিতেই প্রাণকে হাতের মুঠোয় নিয়ে বেরোয়। তারা যদি জানত পেট বাঁচাতে গেলে প্রাণ বাঁচবে না তাহলে বিশ্বাস করুন, কেউ বের হতো না। তাতে করে আপনাদের হরতাল-অবরোধ শতভাগ সফল হতো। বেশ তো! এবার আপনারা ‘আরো কঠোর’ কর্মসূচির নামে এমন এক কর্মসূচি দিন যাতে করে সাধারণের পেট-প্রাণ দুই-ই শেষ হয়।
তারপর দেখবেন আর কোনো ভেতো বাঙ্গাল পথে বেরুনোর ‘বেয়াদবি’ করছে না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।