বাংলা আমার দেশ
সংস্কৃতি হলো সংস্কার করা কৃতি। যে কোন জাতির সস্কৃতির উপাদান হলো সে জাতির সাহিত্য, সঙ্গীত, নৃত্য, গণমাধ্যম, ভোজনরীতি, পোষাক, সামাজিক অনুষ্ঠান, ক্রীড়া, পোষাক, উৎসব ইত্যাদি।
সংস্কৃতির সাথে ধর্মের কোন বিরোধ নেই। পৃথিবীর যে কোন দেশের যে কোন মানুষ তার নিজস্ব সংস্কৃতিকে লালন করে ইসলামকে ধর্ম হিসেবে গ্রহণ করতে পারে। মাছে-ভাতে বাঙালি এটা আমাদের সংস্কৃতির অঙ্গ।
মুসলিম হওয়া মানে মাছ-ভাত ছেড়ে দিয়ে খেজুর-রুটি খেতে হবে তা নয়। তাই বাঙালি মুসলিমদের সাথে আরবি মুসলিমদের মিল হবে ধর্মের, সংস্কৃতির নয়। অন্যদিকে, ধর্মের মিল না থাকলেও বাঙালি মুসলিমের সংস্কৃতির মিল হবে হিন্দু-বাঙালি, বৌদ্ধ বাঙালি, খৃষ্টান বাঙালির সাথে।
বাঙালি ধর্ম-বর্ণে বিভিন্ন, কিন্তু সংস্কৃতিতে অভিন্ন। পোশাক-পরিচ্ছদ, খাদ্যাভ্যাস, ঘর-বাড়ির আকৃতি ও নির্মাণ উপাদান, পেশা, চাল-চলন, লোকসঙ্গীত, লোককাহিনী, রূপকথা, ধাঁধাঁ, প্রবাদ-প্রবচন ইত্যাদি সংস্কৃতির অঙ্গ, ধর্মের অঙ্গ নয়; ইত্যাদির সাথে ধর্মের কোন বিরোধ নেই।
সংস্কৃতি গড়ে উঠে প্রকৃতিকে ভিত্তি করে। বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ বলেই আমাদের খাদ্য - মাছ-ভাত। মরুময় আরব দেশের অধিবাসীদের প্রিয় খাদ্য মাছ-ভাত হবার প্রাকৃতিক কারণ নেই। একইভাবে সাইবেরিয়ান মুসলিম, বাঙালি মুসলিম এবং আরবি মুসলিম একই পোশাক পরিধান করতে পারে না, প্রাকৃতিক কারণে। পাজামা-পাঞ্জাবি, লম্বা আলখেল্ল্লা, পাগড়ি-টুপি ইত্যাদি পরিচ্ছদ মুসলিমদের পরিচয় বহন করে না।
মুসলিমদের কোন নির্ধারিত পোশাক নেই, যে কোন রুচিশীল, শ্লীল পোশাকই মুসলিম পরিধান করতে পারে। পোশাক-পরিচ্ছদ আবহাওয়া নির্ভর, ধর্ম নির্ভর নয়। মাছ-ভাত সব সমপ্রদায়ের বাঙালিরই প্রিয় খাবার, ঝোল-ঝাল-ভর্তা কাঁচা মরিচে সব সমপ্রদায়ের বাঙালিরই জিভে জল আসে। লাঠি, হা-ডু-ডু, দাড়িয়া ইত্যাদি সকল সমপ্রদায়ের খেলা, সকলের জীবনযাপন পদ্ধতি ঘর-বাড়ি নির্মাণের কৌশলও অভিন্ন। বাঙালি হিন্দু-মুসলমান সংস্কৃতিতে আগে যেমন অভিন্ন ছিল এখনও তেমনি আছে।
প্রকৃতির প্রতিটি উপাদান - জলবায়ু, আবহাওয়া, পাখি, নদী নির্মাণ করে সংস্কৃতি। প্রকৃতির সাথে সঙ্গতি রেখেই ধারাবাহিক চর্চার মাধ্যমে মানুষ সৃষ্টি করে সংস্কৃতির অন্যান্য উপাদান। যেমন - রাস্তা-ঘাট, বাদ্যযন্ত্র, সঙ্গীত, খেলা ইত্যাদি। তাই - একতারা, দোতারা, ডুগডুগি; পালা, জারি, ভাওয়াইয়া, মুর্শিদি, মারফতি গান; মাটির পুতুল, মিঠাই মন্ডা, রেশমি চুড়ি; বাঘবন্দী, ষোলঘর, ডাংগুলি, মার্বেল, লুকোচুরি, ওপেনটি বায়োস্কোপ, চোর-পুলিশ, মোরগ লড়াই, লাঠি খেলা, নৌকা বাইচ ইত্যাদি সবকিছুই এখন বাঙালি সংস্কৃতির উপাদান। কোন মানুষই পারে না তার সংস্কৃতিকে অস্বীকার করতে।
তাই, জীবন ও জীবিকার ঘূর্ণিপাকে বাঙালি যে দেশেই যাক না কেন, তাকে এক প্রগাঢ় নিবিষ্ঠতায় ছুঁয়ে থাকে বাঙালিত্ব। বাংলার প্রকৃতি নিবিড় আলিঙ্গনে জড়িয়ে রাখে বাঙালিকে, টানে। এ টানকেই বলে নাড়ির টান। নাড়ির এ টানকে অবহেলা করে ধর্মচর্চা করা যায় না। সংস্কৃতি আদি, তাই ধর্মকে মানার পর্যায়ে আনতে হলে তাকে সংস্কৃতি নির্ভর হতেই হবে।
ইসলাম ধারণ-লালন-পালন করতে হলে মাতৃভাষার মাধ্যমে জানা ও বুঝা ব্যতীত তা সম্ভব নয়। তোতাপাখির মতো না বুঝে কুরআন মুখস্থ করলে তা কখনও জীবনাচরণে প্রতিষ্ঠিত করা যায় না। কুরআনকে মানতে হলে প্রথমে তা মাতৃভাষায় বুঝতে হবে। মানুষ যে ভাষায় চিন্তা করে সে ভাষা ব্যতীত অন্য কোন ভাষায় ধর্মকে জানতে-বুঝতে এবং পালন করতে পারে না।
আত্মপরিচয়ই আত্মশক্তির ভিত্তি।
আরব-ইরান-ইরাকের ঐতিহ্যে তৃপ্ত হবার কোন কারণ বাঙালির নেই। এমনটি যারা করে, বাংলার মাটি পানি আকাশ বাতাসে তাদের কোন অধিকার থাকে না। বাঙালি মুসলমানের দৈন্যতা এখানেই। ইতিহাস বলে, এদেশে সূফী সাধকদের সেবা ও মহানুভবতায় মুগ্ধ হয়ে নিম্নবর্ণের ও নিম্নবিত্তের নির্যাতিত হিন্দু ও বৌদ্ধরা ইসলাম গ্রহণ করেছে। কিন্তু তুর্কী ও মোঘল আমলে এসব নিম্নবিত্তের ধর্মান্তরিত মুসলমানরাই নিজেদেরকে বাদশাহর জাত বলে পরিচয় দিতে থাকে।
কালক্রমে বাঙালি মুসলমান তার আত্মপরিচয় মুছে দিতে থাকে, বিসর্জন দিতে থাকে বাঙালিত্বকে। বাঙালি মুসলমান পাল্টে দেয় তাদের নাম। চাঁদ, সুরুজ, তোতা, বানু, গোপাল থেকে বাদশাহর জাতে উঠার জন্য নিজেদেরকে সৈয়দ, কাজী, গাজী, শেখ, খান, ভূঁইয়া, কোরাইশ, হাশেমী, ফাতেমী, ওসমানী, বাগদাদী, বুখারী পরিচয় দিতে থাকে। অবশ্য পরবর্তীকালে হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে বিভেদকে উস্কে দিতে বাঙালি মুসলমানের আরবি নাম প্রচলনে ইংরেজরাও বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। বাঙালি মুসলমান নামের সাথে যে মিথ্যা পরিচয় মিশিয়ে দিয়েছে তা এখন আত্মপরিচয় আবিষ্কারের ক্ষেত্রে সৃষ্টি করছে প্রতিবন্ধকতার।
বাঙালি মুসলমানকে শ্রদ্ধার সাথে মেনে নিতে হবে - আমরা প্রথমে বাঙালি তারপর মুসলমান।
প্রাচীনকাল থেকে বাঙালি সংস্কৃতি আমাদের মধ্যে মিশে আছে, সেই কারণে বাঙালি সংস্কৃতি কখনো পরাজিত হয়নি। বহু বিদেশি এসেছে, তাদের অনেক শব্দ ও বহু ধারণা আমাদের সংস্কৃতিতে মিশে গেছে। কিন্তু কখনো বাংলা সংস্কৃতি হারিয়ে যায়নি। এ বাংলা অন্য রকম।
আমরা ভালো জিনিস গ্রহণ করেছি এবং করছি। এখানে পূর্ব বাংলার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য আছে। বাংলাদেশ, বাঙালির সংস্কৃতি সম্পূর্ণ আলাদা সাবেক ভারতবর্ষ থেকে। পশ্চিমবঙ্গে ঊনবিংশ শতাব্দীতে যে রেনেসাঁ হয়েছিল তার সঙ্গে পূর্ব বাংলার নবজাগরণের মিল নেই। সম্পূর্ণ আলাদা।
ওই সময় সেখানে যে জাগরণ হয়েছিল তার সঙ্গে যুক্ত ছিল সেখানকার হিন্দু ও শিক্ষিত লোকরা। পূর্ব বাংলার মানুষ যুক্ত হতে না পারলেও এখানে এক অসাধারণ কা- ঘটে গেছে। এখানেও লোকায়ত মানসিক গণতান্ত্রিক প্রভাব এসে গিয়েছিল। মিল না থাকলেও রেনেসাঁর প্রভাব পূর্ব বাংলায় ব্যাপক ছিল। এখানে সমন্বয়বাদী, যুক্তিবাদী, মানবতাবাদী চিন্তা জাগ্রত হয়েছে।
এখানে বাইরে থেকে যারা এসেছে, তাদের ভালো দিকটা গ্রহণ করার চিন্তা ছিল।
বাঙালির গর্ব বাংলাভাষা। বাংলা ভাষার মতো এতো সমৃদ্ধ ভাষা পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি নেই। বাংলা ভাষার প্রতিটি বর্ণে আছে বাঙালির ইতিহাস ও ঐতিহ্য। বাংলা ভাষার প্রতিটি বর্ণ ও শব্দ গভীর অর্থ বহন করে, বাংলা ভাষার প্রতিটি বর্ণ বাঙালির জীবন-জীবিকার সাথে সম্পৃক্ত।
বাংলা এক ঐতিহাসিক মহাভাষা। মহামানব গৌতম বুদ্ধ বাংলা শিখেছিলেন, জৈনরা ধর্ম প্রচার করেছিলেন বাংলা ভাষায়। চর্যাপদ, শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন, ইউসুফ-জুলেখা, মৈমনসিংহ গীতিকা, বেতাল পঞ্চবিংশতি, সারদামঙ্গল, মেঘনাথ বধ, বিষাদ-সিন্ধু, গীতাঞ্জলি, অগ্নিবীণা, পুতুল নাচের ইতিকথা’র মতো অনেক মহাগ্রন্থ সৃষ্টি হয়েছে বাংলা ভাষায়।
বাঙালি লড়াকু জাতি। বাঙালি লড়েছে আর্যদের বিরুদ্ধে, তুর্কিদের বিরুদ্ধে, পাঠান-মুঘলদের বিরুদ্ধে।
আর্যরা বাঙালিকে বশ করতে পারেনি। তাই তারা বাঙালিদের অবজ্ঞা, উপহাস আর অবহেলা করেছে। তারা তাদের অবজ্ঞার প্রমাণ রেখে গেছে তাদের লেখাতে। বাঙালি জাতি বার বার আগ্রাসনের শিকার হয়েছে। বাঙালি লড়েছে বীরের মতো।
মুঘল শাসকদের কাছে বাংলার পরিচয় ছিল ‘বিদ্রোহী বাংলা’। বাঙালি লড়েছে বৃটিশদের বিরুদ্ধে, পাক হানাদারদের বিরুদ্ধে। বাঙালি যে গৌরবময় শহীদ মিনারের জন্ম দিয়েছে তা আজ অভিসিক্ত হয়েছে বিশ্বসভ্যতার স্বীকৃতিতে। বাঙালি বারবার রক্ত দিয়ে প্রমাণ করেছে এরা স্বতন্ত্র, এরা পরাজয় জানে না, পরাভব মানে না। তাই বাঙালি গর্বিত তার আত্মপরিচয়ে।
বাঙালি জাতিসত্তা নির্মাণে সহায়তা করেছে ব্যাস-বাল্মীকি, কালিদাস, বুদ্ধ, রামায়ণ-মহাভারত, বেদ-উপনিষদ, গীতা, চর্যাপদ, শ্রীকৃষ্ণকীর্তন, মঙ্গলকাব্য, বৈষ্ণব পদাবলী, বাউল আর সূফী সাহিত্য। মলুয়া-মহুয়া, চন্দ্রাবতীর ছায়াতলে বেড়ে উঠেছে বাঙালি, মুগ্ধ হয়েছে বেলি, কেয়া, শিমুল, পলাশের সৌরভে। জারুল-পারুল, মাধবী-মালতী-রজনীগন্ধা, পলাশ, জবা, কৃষ্ণচূড়া, দোপাটি আর কনক চাঁপার গুচ্ছ বাঙালির চেতনায় সৃষ্টি করে আশ্চর্য শিহরণ। বাঙালি নবজীবনের স্পন্দনে আন্দোলিত হয় কোকিলের দুষ্টু ডাকাডাকিতে। ঘুঘুর ডানা ঝাপটানি দোলা দেয় বাঙালির প্রাণে।
বাংলায় অতিবৃষ্টি হয়, অনাবৃষ্টি হয়, দুর্ভিক্ষ হয় কিন্তু বাংলার মাটি হারায় না উর্বরতা। দিন যায়, বছর যায়, হাজার বছর যায় তবু বাংলার মাটিতে ফলে সোনালী ফসল। বাংলার মাটি পলিস্নাত হয়ে নবায়ন করে নিজেকে তাই অনন্ত যৌবনা।
বাঙালি তার ঐতিহ্যের জ্যোতিতে জ্যোতির্ময়। নালন্দা, পাহাড়পুর, ময়নামতি, মহাস্থানগড়, উয়ারি-বটেশ্বর - বাঙালি ঐতিহ্যের সাক্ষী।
কুমারজীব, অতীশ দীপংকর, শীলভদ্র, অভয়াকর গুপ্ত, বিদ্যাপতি-চ-ীদাস বাংলার সন্তান। ভগবদ্গীতার রচয়িতাও ছিলেন বাঙালি, তাঁর নাম ছিল পদ্মনাভ। মহাভারতের টীকাকার অর্জুন মিত্রও বাঙালি। ‘প্রবোধচন্দ্রোদয়’ নাটকের রচয়িতা কৃষ্ণমিশ্র ছিলেন বাঙালি। রবীন্দ্র-নজরুল, জগদীশচন্দ্র বসু, জয়নুল আবেদীন, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, রামমোহন রায়, মেঘনাদ সাহা, সত্যেন্দ্রনাথ বসু, সত্যজিৎ রায় বাঙালি।
এ বাংলাতেই জন্ম নিয়েছে - তিতুমীর, সুভাসচন্দ্র বসু, ক্ষুদিরাম, সূর্যসেন, ভাসানী, শেখ মুজিব। আধুনিক মালয়েশিয়ার স্থপতি মাহাথির মোহাম্মদের পূর্বপুরুষেরাও বাঙালি ছিলেন, তারা চট্টগ্রাম থেকে মালয় উপদ্বীপে গিয়ে বসবাস শুরু করেছিলেন।
বাঙালি জাতির বিরুদ্ধে এখনও দেশী-বিদেশী চক্রান্ত চলছে। বিদেশীদের সহযোগিতায় ধর্মের নামে কিছু মীরজাফর বাংলাকে আরব, পাকিস্তান বানাবার তৎপরতায় লিপ্ত। এখনও কিছু মানুষের ঘাড়ে চেপে আছে পাকিস্তানী ভূত।
কিছু ধর্মভিত্তিক দলের মানুষ নিজেদের বাঙালি পরিচয় দেয় না। তারা থাকে বাংলাদেশে, বড় হয় বাংলার আলো-বাতাসে কিন্তু নিজেদেরকে মনে করে আরবি। ইসলামের নামে এরা মুছে দিতে চায় নিজেদের আত্মপরিচয়। বাংলার আকাশ থেকে ধর্মান্ধতার এ মেঘ উড়ে যাবে বৈশাখের ঝড়ে। কয়েকজন আত্মপরিচয়বিমুখ মীর জাফর কেড়ে নিতে পারবে না জাতির স্বপ্ন।
কেউ রোধ করতে পারবে না বাঙালির গতি। মোহমুক্তি ঘটবে বাঙালি মুসলমানের। দেড় হাজার বছর আগের সাহারা মরুভূমিতে নয়, বাঙালি মুসলমান নিজেকে আবিষ্কার করবে নিজের পলিমাটিতে। যে মাটিতে আমরা দাঁড়িয়ে আছি, যে মাটি চষে ফসল উৎপাদন করি, যে মাটিতে মিশে আছে আমাদের পূর্বপুরুষের লাশ, যে মাটিতে একদিন আমরাও মিশবো সে মাটিতে পা রেখেই জানতে হবে সত্য। আরব-ইরানি-তুর্কী-মুঘলের বৃত্ত থেকে মুক্ত হয়ে আমাদের পৌঁছতে হবে আমাদের লক্ষ্যে।
যে জাতির ঐতিহ্যে এতো জৌলুস আর উজ্জ্বল্য সে জাতির ভবিষ্যৎ অন্ধকার হতে পারে না। বাঙালি তার হাজার বছরের শিক্ষা অভিজ্ঞতা জ্ঞান ও বীরত্বের ঐতিহ্যে দাঁড়িয়ে আবার বিষ্মিত করবে বিশ্বকে। এটা সম্ভব, যদি বন্ধ হয় - অপচয়, পাচার, চোরাচালান, ঘুষ-দুর্নীতি, লুন্ঠন, শোষণ, মিথ্যাচার, ধর্মঘট-হরতাল। প্রয়োজন শুধু পরিবর্তনের। সৎ ও যোগ্য নেতৃত্বের।
বাঙালি জাতির দুর্ভাগ্য যে, স্বার্থান্বেষী ও সুযোগ সন্ধানী রাজনীতিকরা বারবার জাতির সাথে প্রবঞ্চনা করার সুযোগ পাচ্ছে। জাতি অপেক্ষা করছে একজন সৎ ও সাহসী বাঙালির জন্য যার নেতৃত্বে আবার জাগ্রত হবে বাঙালি সত্তা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।