সোমবার দিবাগত রাতে রাজনগর উপজেলায় ১ কিশোরীকে মুখ ও হাতপা বেধে গনধর্ষন কারিদের পাহারা দিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দিল এলাকাবাসি।
এলাকাবাসি ও এজাহার সুত্র জানায় ফতেহপুর ইউপির শাহবাজপুর গ্রামের ১৫ বছরের এক কিশোরীর পিতামাতা সোমবার কিশোরীর নানার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার সময় তার খালাকে বাড়িতে রেখে যায়।
এ খবর পেয়ে এলাকার আব্দুছ ছত্তারের ছেলে রাজন মিয়া (২৮), মৃত কমর উদ্দিনের ছেলে মাহমুদ আলী(২৯), আমজদ আলীর ছেলে দিরদার আলী(২৯), আরজু মিয়ার ছেলে সাইফুর রহমান (২১), আলকাছ মিয়ার ছেলে ছিদ্দেক আলী (২৫) রাতে একত্রিত হয়ে কৌশলে ঘরের দরজা খুলে কিশোরীর মুখ ও হাতপা বেধে পাশ্ববর্তি কাউয়াদীঘি হাওর এলাকায় নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষন করে পুনরায় তার পুকুর পাড়ে ফেলে চলে যায়।
এদিকে খালা হঠাৎ জেগে উঠে তাকে না পেয়ে চিৎকার শুরু করলে এলাকার লোকজন জড়ো হয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্যকে খবর দেয়। রাত ৩ টায় ইউপি সদস্য আমীর আলী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে স্থানীয়রা তাকে পুকুর পাড়ে পেয়ে উদ্ধার করার পর ইউপি সদস্য তার জবানবন্দি শুনে এলাকাবাসিকে নিয়ে ধর্ষকদের বাড়ি ঘেরাও করে পাহারা শুরু করেন। ভোরে থানাপুলিশকে খবর দিয়ে রাজন ও মাহমুদকে ধরতে সমর্থ হলেও বাকিরা রাতের আধারেই পালিয়ে যায়।
রাজনগর থানার ওসি তদন্ত আব্দুল জলিল ঘঁটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ ঘটঁনায় কিশোরীর মা বাদি হয়ে ৫ জনকে অভিযুক্ত করে মামলাদায়ের করেছেন এবং এলাকাবাসির সহযোগিতায় ২ জনকে আটক করা হয়েছে। কিশোরীর ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।