আগামীকাল ফের কাঠগড়ায় দাঁড়াবেন সাম্প্রতিককালের আলোচিত ও বিতর্কিত কণ্ঠশিল্পী আরফিন রুমি। প্রথম স্ত্রী অনন্যার দায়ের করা মামলার পরবর্তী শুনানি আগামীকাল। গত ১১ নভেম্বর এ মামলার শুনানি হয়। সে সময় আইনি মারপ্যাঁচ থেকে বের হওয়ার প্রত্যাশা রাখেন এ সংগীতশিল্পী। কিন্তু দাবি অনুযায়ী আপসে না আসলে কোনো ছাড় দেবেন না বলে জানিয়েছেন অনন্যা।
এর আগে গত ১২ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা দায়ের করেন প্রথম স্ত্রী অনন্যা। অভিযোগ ছিল তাকে নির্যাতন ও যৌতুকের জন্য মানসিক চাপ প্রয়োগ। সে সময় একটি আপসনামার ভিত্তিতে জামিন দেওয়া হয় রুমিকে। গত ১১ নভেম্বর আদালতে দুই পক্ষের শুনানি শেষে পরবর্তী তারিখ দেওয়া হয় ৪ ডিসেম্বর। আগামীকাল সে মামলার শুনানি।
এ সময়ের মধ্যে অনন্যার দায়েরকৃত অভিযোগ ও জিডি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে তদন্ত করে আদালতে দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু গত শুনানির পর এখন পর্যন্ত এ দম্পতির কোনো সুরাহা হয়নি বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ প্রতিদিনকে অনন্যা বলেন, এখন পর্যন্ত রুমির পক্ষ থেকে কোনো রকম আপসের লক্ষণ দেখা যায়নি। এরই মধ্যে একবার টেলিফোন করেছিলাম। ফোন ধরেন আমার শাশুড়ি।
উল্টো আমাকে চোখ রাঙানো হয়েছে। আমি ফোন করেছিলাম মূলত আমার সন্তানের কিছু জামাকাপড় ও নিজের কিছু জরুরি জিনিসপত্র চাওয়ার জন্য। কিন্তু রুমির মা জানান, এই মুহূর্তে কোনোকিছুই দেওয়া যাবে না, উল্টো মামলা তুলে নেওয়ার কথা বলেন। তার মতে, আমি কিছুই করতে পারব না। এ ঘটনার পর আমি আর যোগাযোগ করিনি।
বাদবাকি আদালতের ওপর ছেড়ে দিয়েছি।
আপস অনুযায়ী চলতি মাসের ১২ তারিখের মধ্যে অনন্যাকে ২০ লাখ টাকা দেওয়ার কথা রয়েছে রুমির। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অনন্যা আরও বলেন, গত হাজিরার তারিখে তাদেরকে বেশ নমনীয় মনে হয়েছে। আইনি মারপ্যাঁচ থেকে বের হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছিল তারা। কিন্তু এ সময়টাতে তারা আগের অবস্থানে ফিরে গেছে।
আপস অনুযায়ী ১ টাকাও তারা আমাকে দেয়নি। অথচ জামিন নেওয়ার আগে মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে রুমির মা ও ভাবী আমাকে ম্যানেজ করেছিল। এমনকি তারা আমার কাছে করজোড়ে ক্ষমাও চেয়েছিল। আর এখন তারা আদালত দেখাচ্ছেন। তবে আমিও সিদ্ধান্তে অটল।
১২ তারিখের মধ্যে শর্ত পূরণ না করলে নতুন করে আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব।
অন্যদিকে, এ বিষয়ে জানার জন্য যোগাযোগ করা হলে আরফিন রুমির মুঠো ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। আরফিন ও অনন্যার এই কলহ আগামীকাল কোনদিকে মোড় নেয় সেটাই দেখার অপেক্ষা।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।