রুমি তার বিছানায় শুয়ে কান্না করছে। কারণ আজ তার মা প্রথম তার গায়ে হাত তুললো। রুমির বয়স মাত্র পাঁচ বছর। সে মনে মনে ভাবলো আজকে বাপি এলে বাপিকে সে বলে দিবে যেন বাপি মাকে মেরে দেয়। গালটা এখনো ব্যথা করছে।
রুমি ভেবেই পেলনা তার মা কেন এত রেগে গেলেন। সে তো কিছুই করেনি। শুধু তাদের বাসায় আসা একটি বুয়ার কোলে চড়েছে। তাও এই বুয়া অনেক দিন পর পর আসে। রুমির তো ভালই লাগে যখন কেউ তাকে কোলে নিয়ে আদর করে।
আর এই বুয়াতো রুমিকে অনেক অনেক আদর করে। কখনো কখনো রুমির মনে হয় মার থেকে এই বুয়াই বেশি আদর করে। তাহলে মা রাগ করলেন কেন? যাক অনেকক্ষণ কান্না করাতে ব্যথাটা মনে হয় কমেছে। রুমি তার ভালুটাকে বুকে নিয়ে আর লাল গাড়িটাকে বালিশের উপর রেখে কি যেন ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে গেল।
ঘুম থেকে উঠে রুমি এদিক সেদিক তাকায়।
ঘুম ভাংলেই রুমির মন খারাপ লাগে। অন্য সময় “মা” বলে ডাকলেই তার মা ছুটে চলে আসে তার কাছে। কিন্তু আজকে রুমি তার মাকে ডাকলো না। প্রথমেই তার বাপির কথা মনে হল। এতক্ষণে নিশ্চয়ই তার বাপি চলে এসেছে।
রুমি বিছানা থেকে নেমে তার বাবা মায়ের রুমের দিকে এগিয়ে গেল। দরজাটা বন্ধ দেখে রুমি থমকে দাঁড়ায়। এই দরজা বন্ধ থাকা মানে হল তার এখন ওই রুমে ঢোকা বারণ। রুমি দরজার কাছে দাঁড়িয়ে থাকে এবং সে একটু খেয়াল করাতে ভিতর থেকে তার মায়ের কান্নার শব্দ শুনতে পায়। কিছুক্ষণ পর রুমি শুনতে পায় তার বাপি্র কথা
“তোমাকে তো বলেছি আমরা আবার বাসা বদল করবো।
কিন্তু এখন তো সম্ভব না। আমার অফিসে এখন অনেক কাজ। একটু সামলে নিয়েই আমরা বাসা বদলে ফেলব। এমন জায়গায় বাসা নিব যে এই মহিলা আমাদের খুঁজে পাবেনা। “
“যা করার এখনই কর।
এই মহিলা খুব খারাপ। ওকে তো আগেই বলেছি যে ও যেন আর কখনোই রুমির কাছে না আসে। এত টাকা দিয়েছি। তারপরও কেন আমার রুমির কাছে আসে”।
“ কি করবে বল? মা তো।
না দেখে থাকতে পারে না…………”
রুমির হঠাৎ মনে পড়ে যে একদিন বাপি বলেছিল বড়রা কথা বললে তা শুনতে হয়না। রুমি কিছুক্ষণ চিন্তা করে তার রুমে চলে আসে। ওর লাল গাড়িটা নিয়ে খেলা শুরু করে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।