আগামীকাল ফের খুলতে যাচ্ছে রুমি-অনন্যার দাম্পত্য কলহের ফাইল। সময়ের অন্যতম সমালোচিত ও বিতর্কিত সঙ্গীতশিল্পী রুমিকে কালও কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। এর আগে গত ২৪ ডিসেম্বর শুনানি হয় এ মামলার। সেইসময় কিছুটা আত্মপক্ষ সমর্থন করে সন্তান ও প্রথম স্ত্রী অনন্যার কাছে প্রত্যাবর্তনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন রুমি। এজন্য তিনিও কিছু শর্তারোপ করেন অনন্যার প্রতি।
কিন্তু এরই মাঝে চিড় ধরেছে এ সম্পর্কে। কারণ সেই হাজিরার পর আবার ডিগবাজি মারেন রুমি। শুধু ডিগবাজি নয়, অনন্যার বাসায় পুলিশও পাঠালেন। জানানো হয়, রুমি ও অনন্যার মধ্যে যে আপোসনামা স্বাক্ষরিত হয়েছিল তা উদ্ধারে তারা এসেছে। পরবর্তীতে আপোসনামা ছাড়াই চলে যায় পুলিশ টিম।
বলে যায়, আপোসনামা না পেলে অনন্যার বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি হবে। এরপর আর কোনও ইতিবাচক সাড়া দেয়নি রুমি ও তার পরিবার। অথচ ২৪ ডিসেম্বরের পর এ দম্পতির শুভাকাঙ্ক্ষীরা প্রত্যাশা রেখেছিলেন এবার হয়তো বরফ গলতে শুরু করেছে। অনেকেই তাদেরকে ফোনে বুঝিয়েছেন। কিন্তু যতটুকু প্রত্যাশা নিয়ে তাদেরকে বোঝানো হয়েছে ঠিক ততটুকু হতাশা নিয়েই ব্যর্থ হতে হয়েছে।
এদিকে, একে অন্যের বিপক্ষে কাঁদা ছোঁড়াছুঁড়িতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন রুমি-অনন্যা। দোষারোপ দিতে থাকে একে অন্যকে। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে অনন্যা বলেন, সেই একই কথা বলতে বলতে আমি নিজেই হতাশ। এছাড়া আমার মানসিক অবস্থাও খুব একটা ভালো নয়। সম্প্রতি আমার নানা মারা গিয়েছেন।
এই কয়দিন সেখানেই ছিলাম। কিছুক্ষণ আগে ঢাকায় ফিরলাম। সকালে আমার উকিলের সঙ্গে কথা বলে আদালতে দাঁড়াবো। জানতে পেরেছি ইতোমধ্যে নাকি রুমির বিরুদ্ধে চার্জশিট হয়ে গেছে, বাকিটা কাল জানা যাবে। গত শুনানির পরে আপোস নিয়ে রুমি যোগাযোগ করেছে কি না জানতে চাইলে অনন্যা আরও বলেন, মাঝে দু'একবার আমার শাশুড়ি (রুমির মা) ফোন করেছিলেন।
ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে সেই একই কথা বলেন। মূলতঃ রুমিকে বিশ্বাস করা খুব কঠিন। এককথায় যে কোনো সময় সে ডিগবাজি মারতে পারে। তবে সে যদি আমার শর্তগুলো পূরণ করে তাহলে চিন্তা-ভাবনা করবো তার ঘরে ফিরবো কি না।
এ ব্যাপারে রুমির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
অন্যদিকে, রুমি-অনন্যার এ দাম্পত্য কলহের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রুমির শুভানুধ্যায়ী ও ভক্তকূল। তাদের প্রত্যাশা এ দম্পতি যেন শীঘ্রই ঝামেলা মিটিয়ে ফেলেন। কারণ তারাও চান না রুমির মতো একজন উদীয়মান শিল্পীকে নিয়ে সঙ্গীত পাড়ায় কোনো রকম তর্ক বিতর্ক উঠুক। এখন দেখার পালা রুমির সুমতি কাল হয় কি না।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।