আগামী বাজেটে বিদ্যুৎ, জ্বালানি, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও যোগাযোগ খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি আরও বলেন, দেশের বেসরকারি খাতে চাকুরেদের পেনশনের আওতায় আনার একটা ধারণা দেওয়ার কথা ভাবছি। কীভাবে তাদের ভবিষ্যৎ জীবনকে অনিশ্চয়তার হাত থেকে রক্ষা করা যায় সে বিষয়ে আগামী বাজেটে একটি দিকনির্দেশনা থাকতে পারে।
গতকাল সচিবালয়ে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক প্রাক-বাজেট আলোচনায় অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, এবারের বাজেটে চারটি খাতকে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এগুলো হচ্ছে_ মানবসম্পদ উন্নয়ন, অবকাঠামো, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি এবং কৃষি খাত। বাজেটের আকার হতে পারে আড়াই লাখ কোটি টাকার মতো। বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক ৩ শতাংশ নির্ধারণ করা হবে। গত পাঁচ বছরে প্রশাসনিক সংস্কারের ক্ষেত্রে তেমন কিছু করা সম্ভব হয়নি। আগামী বাজেটে এ খাতেও গুরুত্ব দেওয়া হবে। অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, চলতি অর্থবছর শেষে মূল্যস্ফীতির গড় হার দাঁড়াবে ৭ শতাংশ এবং আগামী অর্থবছরে এটা ৬ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে। এ ছাড়া চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের আকার ২ লাখ ১১ হাজার কোটি টাকা হবে বলে জানান অর্থমন্ত্রী। আলোচনা সভায় অর্থসচিব ফজলে কবীর, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব আসলাম আলম, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান উপস্থিত ছিলেন। আরও বক্তব্য রাখেন গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হাফিজ উদ্দিন খান, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, অ্যাকশন এইডের প্রধান নির্বাহী ফারাহ কবীর, সুজনের সাবেক সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সভাপতি আবু নাসের খান, সাধারণ সম্পাদক এম এ মতিন, নগর পরিকল্পনাবিদ নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়শা খানম প্রমুখ। প্রাক-বাজেট আলোচনায় বক্তারা বলেন, বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ বন্ধ করতে হবে। তামাকজাত পণ্যের ওপর দ্বিগুণ হারে করারোপ করার প্রস্তাব করেন তারা। এ ছাড়া শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতকে অধিক গুরুত্ব দেওয়ার দাবি জানানো হয়। কেননা গ্রাম ও শহরের মানুষের মধ্যে বৈষম্য বাড়ছে প্রতিনিয়ত। এ জন্য সুষম উন্নয়নের বাজেট ঘোষণার দাবি জানান তারা।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।