আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আবাহনী না শেখ জামাল

কে যাবে ফাইনালে? শেখ জামাল ধানমন্ডি না ঢাকা আবাহনী। ওয়ালটন ফেডারেশন কাপ ফুটবলে আজ প্রথম সেমিফাইনালে দুই দল মুখোমুখি হবে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বিকাল পাঁচটায় ম্যাচ শুরু হবে। নির্ধারিত সময়ে ফলাফল নিষ্পত্তি না হলে পরে অতিরিক্ত ৩০ মিনিট বা টাইব্রেকারের ব্যবস্থা করা হবে। গ্রুপ পর্ব লড়াইয়ে শীর্ষে থেকে দুই দল শেষ আটে জায়গা করে নেয়।

শক্তির দিক দিয়ে শেখ জামালকে ফেবারিট বলা গেলেও প্রতিপক্ষ আবাহনী বলেই- কে যে বিজয়ী হবে বলা মুশকিল। সত্যি বলতে কি কাগজে-কলমে এবার স্মরণকালের সেরা দল গড়েছে ধানমন্ডি। কিন্তু গ্রুপ পর্ব ম্যাচে তাদের নৈপুণ্যের স্বাক্ষর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। দেশখ্যাত তারকাদের পাশাপাশি বিদেশির সংগ্রহের দিক দিয়ে তারা এগিয়ে আছে। এরপরও গ্রুপে দুই দুর্বল প্রতিপক্ষ উত্তর বারিধারা ও ফেনী সকারের বিপক্ষে জয় পেতে ঘাম ঝড়াতে হয়েছে।

তবে কোয়ার্টার ফাইনালে প্রতিপক্ষ হিসেবে ঢাকা মোহামেডানকে পেলেও শেখ জামাল যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখেছে। সনি নর্দের চোখ ধাঁধালো নৈপুণ্য শুরু থেকেই সাদা-কালোদের দিশেহারা করে রাখে। প্রায় সমানের দল হলেও মোহামেডানকে সেদিন মাঠেই খুঁজে পাওয়া যায়নি। ৩-১ গোলে জয় পেলেও সনিকে হ্যাটট্রিক করাতে গিয়ে মামুনুলরা গোলের সংখ্যা বাড়াতে পারেনি। শেখ জামালের প্রকৃত শক্তি এ ম্যাচেই খুঁজে পাওয়া যায়।

মামুনুল, রনি, মোবারক, সনি নর্দেরা যদি তাদের যোগ্যতার প্রমাণ দেখাতে পারেন তাহলে ফাইনালে যাওয়াটা তাদের পক্ষে কষ্টকর হবে বলে মনে হয় না।

১৯৭৯ সালে প্রথম বিভাগে অভিষেক ঘটার পর থেকেই ধানমন্ডি ফেডারেশন কাপ খেলছে। কিন্তু ২০০২ সালে সেমিফাইনালে ওঠা ছাড়া দলটির কোনো বড় প্রাপ্তি ছিল না। ২০১০ সালে শেখ জামাল নামকরণ করার পরই চেহারা পাল্টে যায়। শক্তিশালী রূপে আবির্ভূত হওয়ার পরই আসরে ফাইনালের সুযোগ মেলে।

কিন্তু অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী হয়েও তারা আবাহনীর কাছে হেরে যায়। পরের মৌসুমে ফাইনালে ওঠে প্রথমবারের মতো ফেডারেশন কাপে চ্যাম্পিয়ন হয় তারা। গত মৌসুমেও তারা ফাইনালে খেলে কিন্তু শেখ রাসেলের কাছে হেরে ট্রফি হাত ছাড়া করে। অর্থাৎ টানা তিন আসরে শেখ জামালের ফাইনাল খেলার কৃতিত্ব রয়েছে। আজ আবাহনীকে হারাতে পারলেই তারা মোহামেডানের রেকর্ড স্পর্শ করতে হবে।

কেননা ১৯৮০ থেকে ৮৩ পর্যন্ত টানা চারবার ফাইনাল খেলে। অবশ্য ১৯৮৪ সালেও ঐতিহ্যবাহী দলটি ফাইনালে উঠে। কিন্তু হট্টগোলে তা আর শেষ হয়নি। কি হবে আজকের ম্যাচে এ ব্যাপারে শেখ জামালের মামুনুল বলেন, আমরা জয়ের ব্যাপারে পুরোপুরি আশাবাদী। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না প্রতিপক্ষ হিসেবে থাকবে আবাহনী।

এদের সঙ্গে জিততে হলে পুরো দলকেই ভালো খেলতে হবে। অন্যদিকে কাগজে-কলমে আবাহনী তেমন মানসম্পন্ন দল না হলেও ফেডারশন কাপে তাদের নৈপুণ্য চোখে পড়ার মতো। গ্রুপ পর্বের লড়াইয়ে মরিসনের হ্যাটট্রিকে দুর্বল রহমতগঞ্জকে হারালেও পরের ম্যাচে অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী মাহামেডানকে অনেকটা নাস্তানাবুদ করে ছাড়ে। ২-০ গোলে জয়ী হয়ে তারা গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়। কিছুটা বাধার সম্মুখীন হলেও ২-০ গোলে ঠিকই জয় পেয়েছে।

তবে আসল আত্দবিশ্বাসটা বেড়ে গেছে মর্যাদার লড়াইয়ে জিতে। সুতরাং দল হিসেবে আবাহনী তুলনামূলক দুর্বল হলেও শেখ জামালকে ছেড়ে কথা বলবে বলে মনে হয় না। সুজন বলেন, আমরা জেতার জন্যেই মাঠে নামব। প্রতিপক্ষ অবশ্যই শক্তিশালী, কিন্তু তাদের পরাস্ত করার সব কৌশলই আমাদের জানা আছে। কেননা ম্যাচটি যেমন শেখ জামাল-আবাহনীর তেমনি লড়াইটা হতে পারে দুই বিদেশি সনি নর্দে ও মরিসনের মধ্যে।

শেখ জামাল ও আবাহনী এতদূর আসার পেছনে দুই বিদেশি বড় ভূমিকা রাখেন। মুক্তিযোদ্ধার আরেক বিদেশি কিংসলে এলিটার নৈপুণ্য চোখে পড়লেও সনি ও মরিসনের মধ্যে যে কেউ শুধু সর্বোচ্চ গোলদাতা নয় টুর্নামেন্টের সেরা পুরস্কারের দাবি রাখে। অবশ্য সনি আজ কেমন খেলবেন তা দেখার বিষয়। মোহামেডানের বিপক্ষে তিনি ইনজুরির শিকার হন। শঙ্কা ছিল সেমিতে মাঠে নামা নিয়ে।

ক্লাব জানিয়েছে হাইতির এ তারকা অবশ্যই আবাহনীর বিপক্ষে মাঠে নামবে।

 

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.