আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঐ মহামানব আসে

আনন্দময় জিম, মধুর গৃহকোণ

আমি মাঝে মাঝেই ভাবি, আমাদের বক্সিং জিমটি কেমন অবস্থায় আছে, একসময় এটিকে আমরা ওরল্যান্ডোর পূর্বাঞ্চলের সেন্ট জোসেফস নাম দিয়েছিলাম। এ স্কুলটি আর ডিওসিসির (ডোনাল্ডসন ওরল্যান্ডো কমিউনিটি সেন্টার) দেয়ালগুলো নিয়ে আমার অনেক মধুর স্মৃতি জমে আছে, আগামী অনেক বছর আমি এ স্মৃতির আনন্দ উপভোগ করব। ১৯৫০-এর দশকের প্রথম দিকে আমরা যখন ডিওসিসিতে প্রশিক্ষণ নিচ্ছি, ক্লাবটি তখন শৌখিন ও পেশাদার বক্সার ও কুস্তিগিরদেরও সদস্য করেছিল। জোহানেস (স্কিপ অ্যাডোনিস) মোলোসি৭ নামক একজন সাবেক চ্যাম্পিয়ন ও দক্ষ প্রশিক্ষক তখন ক্লাবটি পরিচালনা করতেন। খেলাটির ইতিহাস, তত্ত্বকথা ও প্রায়োগিক দিকগুলো তাঁর জানা ছিল।

দুর্ভাগ্যজনকভাবে ১৯৫০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে তিনি দায়িত্বে অবহেলা শুরু করেছিলেন। প্রায়ই বেশ লম্বা সময়ের জন্য জিমে অনুপস্থিত থাকতেন। এ কারণেই বক্সাররা বিদ্রোহ করেছিল। দুবার আমি বিষয়টা মিটিয়ে দিয়েছিলাম, কিন্তু বারবার প্রতিবাদ সত্ত্বেও যখন স্কিপ মানতে রাজি হলেন না, তখন স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি ভাঙনের মুখে চলে গিয়েছিল। এবার আমি বিভিন্ন পক্ষকে বুঝ মানাতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হলাম।

বক্সাররা ডিওসিসি ছেড়ে গিয়ে সেন্ট জোসেফেই নিজেদের জিম চালু করল। থেম্বি ও আমিও তাদের সঙ্গেই গিয়েছিলাম। সাইমন ত্শাবালালা—যে এখন বিদেশে রয়েছে—সে ম্যানেজার হয়েছিল; বক্সিংয়ে জেরি উইনজা মলোই ছিল শ্রেষ্ঠ, ‘তারকা মুষ্টিযোদ্ধা’। পরে জেরি ট্রান্সভাল লাইট ওয়েট চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল এবং জাতীয় স্তরে প্রতিযোগিতা করেছিল। জেরি ছাড়াও আমাদের ক্লাব থেকে আরও তিনজন চ্যাম্পিয়ন বেরিয়েছিল।

আমি ও আমার জিম-সঙ্গীরা ছিলাম একটা দৃঢ় সংঘবদ্ধ পরিবারের মতো। সেখানে মায়ের (উইনি ম্যান্ডেলা) উপস্থিত হলে আমাদের জিমের পরিবারটি আরও আন্তরিক হয়ে ওঠে। আমি যখন সময় করতে পারতাম না, জেরি ও এরিক তখন মামকে নিয়ে গাড়ি চালাতে বেরোত। আমাদের বাগদান অনুষ্ঠানে জিমের সবাই উপস্থিত হয়েছিল।

যা হোক, ফ্রেডি আমাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে কেরানির পদে কাজ করত।

খুবই ভালো মানুষ ছিল, প্রতিষ্ঠানের সবাই তাকে পছন্দ করত। কিন্তু একদিন বড়দিনের সন্ধ্যায় অফিসে ফিরে দেখি, অফিসের ঠিক বাইরে পথের পাশে ফ্রেডি নিঃসহায় পড়ে আছে। তার অবস্থা দেখে খুব দুঃখ পেলাম। তাকে তাড়াতাড়ি ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলাম। হাতুড়ে ডাক্তার দ্রুত একনজর দেখেই বললেন, চ্যাম্পিয়ন ভালোই আছে, তবে তার অনেক ঘুম দরকার।

সে আসলে বড়দিনের স্বাভাবিক খুশির জোয়ারে একটু বেশিই জড়িয়ে পড়েছিল। আমি তাকে গাড়িতে করে তাদের পূর্ব ওরল্যান্ডোর বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলাম।

ঘটনাক্রমে আমি হয়তো তোমাকে বলেছি যে, ডিওসিসিতে বিরোধের সময় স্কিপ একদিন বলেছিল জেরি তাকে পিঠে ছুরি মেরেছে, ঠিক মার্ক অ্যান্টনি যেভাবে তার বন্ধু সিজারের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল। থেম্বি জিজ্ঞেস করেছিল, অ্যান্টনি আর সিজার—এরা কে? থেম্বির তখন মাত্র নয় বছর বয়স। ...স্কিপ এতটাই খেপে গিয়েছিল যে ধারণা করি, আমি সেখানে না থাকলে সে ছেলেটার নাড়িভুঁড়ি টেনে বের করে ফেলত।

স্কিপ যথেষ্ট তিক্ততার সঙ্গে বালকটির বেয়াদবি সম্পর্কে আমার কাছে অভিযোগ করেছিল। তখন আমি তাকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলাম যে, বাড়িতে আমি পিতৃতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গিতেই পারিবারিক শাসনকাজ চালিয়ে থাকি। কিন্তু এখানে, এই জিমে আমার তেমন কোনো ক্ষমতা নেই। থেম্বি সদস্য চাঁদা পরিশোধ করেছে, এখানে আমরা সবাই সমান। আমার পক্ষে থেম্বিকে কোনো নির্দেশ দেওয়া সম্ভব নয়।

প্রায় দেড় ঘণ্টা জিমে কাটিয়ে রাত নয়টার দিকে বাড়িতে ফিরতাম। শরীরে তখন আর এক ফোঁটা পানিও থাকত না। মাম তখন আমাকে এক গ্লাস টাটকা ও ঠান্ডা কমলার জুস দিত। রাতের খাবারের সঙ্গে খুব ভালোভাবে তৈরি করা টক দুধ দেওয়া হতো। সেসব দিনে আনন্দে ও স্বাস্থ্যে মাম উচ্ছল ছিল।

পরিবারসহ বাড়িটাকে মৌচাকের মতো মনে হতো। স্কুলের পুরোনো বন্ধুরা, বারা হাসপাতালের৮ সহকর্মীরা, জিমের সদস্যরা, এমনকি মক্কেলরাও মামের সঙ্গে গল্প করতে আসতেন। প্রতিদিনই দুই ঘণ্টার বেশি সময় আমি আর সে যেন মধুচন্দ্রিমায় কাটাতাম। যেসব কাজ অফিসের পরেও আমাকে বাড়ির বাইরে আটকে রাখত, সেগুলো আটকে রাখার চেষ্টা করতাম। তবু সে আর আমি, দুজনেই দুজনকে সতর্ক করে দিয়ে বলতাম যে, আমরা ধার করা সময়ে বেঁচে আছি, শিগগিরই দুঃসময় দরজায় এসে দাঁড়াবে।

তার পরও আমরা বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে মহানন্দে সময় কাটাতাম, আসলে নিজেদের দুঃখের কথা বলার মতো সময়ই পেতাম না। এরপর দুই দশকের বেশি সময় পেরিয়ে গেছে, তবু সবকিছুই খুব স্পষ্ট মনে করতে পারি। মনে হয়, এই তো কালকের ঘটনা।

জিন্ডজি ম্যান্ডেলাকে ৯ ডিসেম্বর ১৯৭৯-এ লেখা ও কারা কর্তৃপক্ষের বাজেয়াপ্ত করা চিঠি

 

সাদা আর কালো

রিচার্ড স্টেঙ্গেল: এ সময়টাতে সামাজিক মেলামেশার কাজটা বেশ জোরেশোরেই চলছিল, তাই না? আপনি আগেই বলেছেন যে, জোহানেসবার্গে আসার পর থেকেই আপনাকে বিভিন্ন সমাবেশে নিয়ে যাওয়া হতো। কমিউনিস্ট পার্টির এক সমাবেশেই মাইকেল হারমেলের ৯ সঙ্গে আপনার প্রথম পরিচয় হয়।

তা ছাড়া, জো স্লোভো ১০ আর রুথ ফার্স্ট প্রমুখের সঙ্গে মেলামেশা সম্পর্কেও অনেক লেখালেখি হয়েছে।

নেলসন ম্যান্ডেলা: না, ঠিক তা নয়, এটা বিশেষ কিছু ছিল না। সাদা ও কালোদের সমাজে যেমন ঘটে, এ দেশে স্বাভাবিক নিয়মে সবই সে রকম ছিল। ব্যতিক্রম ছিল শুধু এই যে, এখানে আপনি সাদা ও কালোদের একত্রে দেখছেন।

স্টেঙ্গেল: কিন্তু এটাই তো ছিল বিশেষ ব্যতিক্রম, তা-ই নয় কি?

ম্যান্ডেলা: মেলামেশার এ ব্যাপারটা যথেষ্টই ব্যতিক্রমী ছিল।

কিন্তু সামাজিক অনুষ্ঠানাদিতে ব্যাপারটা এ দেশে নিতান্তই স্বাভাবিক। প্রায়ই এটা ঘটে থাকে। হ্যাঁ, এটা আদৌ নতুন কিছু ছিল না। আর তেমন নিয়মিতভাবে এটা ঘটত না। এখানে মূল বিষয়টা হচ্ছে, এসব গ্রুপকে অবশ্যই (কমিউনিস্ট) পার্টি নতুন সদস্য সংগ্রহের জন্য কাজে লাগাত।

স্টেঙ্গেল: বুঝতে পারছি...অন্তত সাদাদের মধ্যে তো বটেই। আচ্ছা, তাঁরা কি মনে করত না যে, এ ধরনের মিশ্র-সমাবেশে যোগ দিয়ে তারা খুবই দুঃসাহসী ও উত্তেজনাকর কাজ করছে?

ম্যান্ডেলা: না, না, না, আমি সেভাবে ভাবিই না। এমন সাদারাই সেখানে থাকতেন, যাঁরা যথার্থই গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যের পরিবেশে লালিত-পালিত হয়েছেন, যাঁরা নির্যাতিতদের সংগ্রামের সঙ্গী হতে সংকল্প করেছেন। তাই সহজ পরিবেশে সময় কাটানোর জন্যই তাঁরা কালোদের আমন্ত্রণ জানাতেন।

স্টেঙ্গেল: আপনি সেসব পার্টিতে যোগ দিতেন?

ম্যান্ডেলা: হ্যাঁ, দিতাম বৈকি।

তবে পার্টিতে যাওয়ার ব্যাপারে আমি নিয়মিত ছিলাম না। একসময় জো আমার সম্পর্কে ওয়াল্টারের কাছে অভিযোগ করেছিল যে, নেলসন পার্টি পছন্দ করে না।

রিচার্ড স্টেঙ্গেলের সঙ্গে আলাপচারিতা

 

প্রগতি চিন্তা ও কমিউনিস্ট পার্টি

ম্যান্ডেলা: জোহানেসবার্গে বহু রকমের চিন্তাভাবনার সঙ্গে আমার পরিচয় ঘটানো হচ্ছিল।

স্টেঙ্গেল: আপনি যখন কোনো সভায় যেতেন, বসে বসে শুধুই শুনতেন?

ম্যান্ডেলা: আমি কখনো কোনো কথা বলতাম না, কেবল বিতর্কে অংশ নিতাম। না, কোনো রাজনৈতিক বিতর্কে নয়, শুধুই জ্ঞানজাগতিক বিতর্কে।

যেমন, ব্লোমফনটিন থেকে একটি দল আসবে জোহানেসবার্গে, আমাকে জোহানেসবার্গের পক্ষ থেকে আলোচনার নেতৃত্ব দিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়। আমি তাতে অংশ নিয়েছি, কিন্তু এএনসির ইয়ুথ লিগে যোগদানের আগে পর্যন্ত আমি কোনো সভায় কথা বলিনি। তার পরও আমি যথেষ্টই নার্ভাস ছিলাম। সত্যিই খুব নার্ভাস ছিলাম।

স্টেঙ্গেল: নার্ভাস, কেন? সেটা বিরাট কোনো পদক্ষেপ ছিল বলে, নাকি বিপজ্জনক ছিল বলে?

ম্যান্ডেলা: আপনি কি জানেন, আমি রাজনীতি বুঝতাম না? রাজনৈতিক দিক থেকে আমি পশ্চাত্পদ ছিলাম।

আমি শুধু সেসব লোকের সঙ্গেই কথা বলতাম, যাঁরা রাজনীতি বুঝতেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় আর দক্ষিণ আফ্রিকার বাইরে কী ঘটছে, সেসব বিষয়েও তাঁরা বলতে পারতেন। তাঁদের কারও কারও কেবল চতুর্থ মান পর্যন্ত শিক্ষা ছিল, অর্থাত্ শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল খুবই কম, কিন্তু তাঁরা আমার চেয়ে অনেক বেশি জানতেন। ...ফোর্ট হেয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি স্নাতক পর্যায়ে ইতিহাসের দুটি কোর্স করেছি, খুবই গভীরভাবে পড়েছি আফ্রিকার ইতিহাস, ইউরোপের ইতিহাসও পড়েছি। কিন্তু আমি যা জনতাম, গাউর রাদেবে১১ জানতেন তার চেয়ে অনেক বেশি।

কারণ, তাঁর শুধু তথ্যই জানা ছিল না, তথ্যের পেছনের সত্যটাও তিনি জানতেন। তাই তিনি যেকোনো দৃষ্টিভঙ্গির কারণও ব্যাখ্যা করতে পারতেন। আমি সবে ইতিহাস পড়েছি আর তখনই তাঁদের অনেকের সঙ্গে আমার যোগাযোগ হয়েছিল। আপনি জানেন, মাইকেল হারমেলের কয়েকটা এমএ ডিগ্রি ছিল, রাস্টি বার্নস্টাইন১২ উইটওয়াটারস্ট্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএ করেছিল—এঁরাও ইতিহাস বিষয়ে ভালো জ্ঞান রাখতেন। আমি অবশ্য কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য ছিলাম না, তবু খুব মনোযোগ দিয়ে তাঁদের কথা শুনতাম।

তাঁদের কথা শোনার অভিজ্ঞতা সত্যিই আকর্ষণীয় ছিল।

স্টেঙ্গেল: আপনি প্রথম কখন কমিউনিস্ট পার্টিতে গিয়েছিলেন, তখন কি আপনি কমিউনিস্টবিরোধী ছিলেন?

ম্যান্ডেলা: হ্যাঁ, তখন আমি কমিউনিস্টবিরোধী ছিলাম।

স্টেঙ্গেল: তাহলে যখন আপনি কমিউনিস্ট পার্টিতে যেতে শুরু করেছিলেন, তখনকার অভিজ্ঞতা কি আপনাকে কমিউনিস্ট পার্টির প্রতি সহানুভূতিশীল করে তোলেনি?

ম্যান্ডেলা: না, না, মোটেই না। আমাকে আমন্ত্রণ করা হতো বলেই আমি যেতাম। পর্যবেক্ষণের ব্যাপারে আমার আকর্ষণ ছিল।

সেটা ছিল একটা নতুন সমাজ—ইউরোপীয়, ভারতীয় ও আফ্রিকানসহ সব মানুষই সেখানে একত্র হতো। বিষয়টি আমার কাছে নতুন লাগত। এমনটা আমি আগে কখনো জানতাম না। এটিই ছিল আমার আকর্ষণের প্রধান কারণ।

স্টেঙ্গেল: রাজনীতির চেয়ে সামাজিক পর্যবেক্ষণের দিকেই আপনার আকর্ষণ বেশি ছিল।

ম্যান্ডেলা: আসলে রাজনীতিতে আমার কোনো উত্সাহই ছিল না। আমার আকর্ষণ ছিল, হ্যাঁ, আপনি যেমনটি লক্ষ করেছেন, সামাজিক অনুষঙ্গের দিকেই। ...কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যদের দ্বারা আমি প্রভাবিত হয়েছিলাম। সাদা মানুষেরা বর্ণবাদী চেতনা সম্পূর্ণরূপে পরিহার করছেন, এটা সত্যিই...আমার জন্য নতুন অভিজ্ঞতা ছিল।

স্টেঙ্গেল: এটা কি কোনোভাবে মুক্তির চেতনা সঞ্চার করছিল, নাকি উন্মত্ততা?

ম্যান্ডেলা: না, সেটা আকর্ষণীয় ছিল।

আমি বলব না যে বিষয়টি মুক্তির চেতনা সঞ্চার করছিল। তাই রাজনীতিতে জড়িত হওয়ার পর, আপনি জেনে থাকবেন, আমি কমিউনিস্টদেরও আক্রমণ করতাম। আমি তখনকার ঘটনাবলিকে কোনোভাবেই মুক্তির চেতনাসঞ্চারী বলে মনে করিনি। আমি মনে করতাম, মার্ক্সবাদী চিন্তাই আমাদের বিদেশি আদর্শে আচ্ছন্ন করে ফেলছে।

রিচার্ড স্টেঙ্গেলের সঙ্গে আলাপচারিতা



সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.