যাত্রী ও পণ্যবাহী দূরপাল্লার যানবাহনের চাপে কিছু দূর পরপরই জট সৃষ্টি হওয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যান চলছে ধীরে ধীরে। রাজধানীর প্রবেশপথগুলোর পাশাপাশি বিভিন্ন সড়কেও দেখা গেছে যানজট।
গত শনিবার সকাল থেকে সারাদেশে ১৮দলীয় জোটের ছয় দিনের অবরোধ শেষ হয় বৃহস্পতিবার বিকালে। এরই মধ্যে শনিবার ভোর থেকে আরো তিন দিনের অবরোধ ডাকে বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধীদল। মাঝখানের মাত্র একটি দিন থাকায় অনেকেই আটকে থাকা কাজ সারতে শুক্রবার পথে নামেন।
আর দূর পাল্লার যাত্রীরা বৃহস্পতিবার রাতেই গন্তব্যের পথে রওনা হন।
কিন্তু যানজটের ফলে সবাইকেই দীর্ঘ সময় পথে আটকে থাকতে হয়। দূর পাল্লার যাত্রীদের পড়তে হয় ব্যাপক ভোগান্তিতে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিনিধিরা জানান, অধিকাংশ স্থানে সড়ক-মহাসড়কে গাড়ির উপস্থিতি অন্যন্য দিনের চেয়ে অনেক বেশি। ফলে যানবাহন চলছে খুব ধীরে।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ি, সায়েদাবাদ, সদরঘাট এলাকা, মহাখালী, ফার্মগেইট, গাবতলী, মিরপুর, কল্যাণপুর এলাকায় শুক্রবার সকাল থেকেই বিক্ষিপ্ত যানজটের খবর পাওয়া গেছে।
দুপুরে জুমার নামাজের পর কল্যাণপুর, কলাবাগান, সায়েন্সল্যাব ও আসাদগেইট যানজট তীব্র আকার নেয় বলে আমাদের প্রতিবেদক গোলাম মুজতবা ধ্রুব জানান।
কুমিল্লার ময়নামতি হাইওয়ে থানার ওসি মো. মসিউর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, সকালের দিকে দাউদকান্দি থেকে পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড পর্যন্ত মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে যানজটের সৃষ্টি হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা কমে এলেও মহাসড়কে গাড়ি চলছে মন্থর গতিতে।
অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে রাজধানীর সংযোগ রক্ষাকারী বঙ্গবন্ধু সেতুর দুই পাশে ঢাকামুখী ও ঢাকা থেকে বিভিন্ন জেলার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার যানবাহনের চাপে তীব্র জটের সৃষ্টি হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ওসি এটিএম আমিনুল ইসলাম শুক্রবার দুপুরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অবরোধ শেষ হওয়ার পর গতকাল সন্ধ্যা থেকেই মহাসড়কে গাড়ির চাপ বাড়তে থাকে। গভীর রাতে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে ভোরের দিকে তা কিছুটা কমে আসে। এখনো গাড়ি চলছে থেমে থেমে।
আমাদের বগুড়া প্রতিনিধি জানান, অন্যদিন সকাল ৮টার মধ্যে ঢাকার পত্রিকা বগুড়ায় পৌঁছালেও শুক্রবার তা আসে দুপুর সাড়ে ১২টার পর।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ওসি আলী ফরিদ আহমেদ জানান, উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের ২০টি জেলার সংযোগস্থল এই হাটিকুমরুল মোড়। এর মধ্যে চারটি মহাসড়কের মধ্যে তিনটিতে যান চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক হলেও ঢাকার দিকের সড়কে যানবাহনে চলছে খুব ধীর গতিতে। অন্যান্য সড়কেও যানবাহনের চাপ রয়েছে।
নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার গঠন, গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের মুক্তি এবং দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল স্থগিতের দাবিতে গত ২৪ অক্টোবর থেকে টানা আন্দোলনে রয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট।
২৪ অক্টোবরের পর দুই দফা হরতলা কর্মসূচি দিলেও গত ২৫ নভেম্বর তফসিল ঘোষণার পর একের পর এক রাজপথ, রেলপথ ও নৌপথে অবরোধ কর্মসূচি দিচ্ছে বিরোধী দল।
সহিংস আন্দোলন ও নাশকতায় ইতোমধ্যে রেললাইনে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। যানবাহনে আগুন ও ভাংচুরের কারণে অনেকটাই অবরুদ্ধ থাকতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। সারাদেশে সহিংসতায় ইতোমধ্যে অর্ধশতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।