আজ আপনাদের একটা মেয়ের গল্প বলি। আমি তাকে চিনতাম নীল পরি হিসেবে। কারন যখন তাঁকে প্রথম দেখি তখন সে নীল শাড়ি পড়ে এসেছিল। এসে তাঁর হাতের মুঠোফোনে হয়তো মেসেজ লিখে কোন এক অপেক্ষিত ছেলের কাছে জানিয়ে দিল তাঁর আগমনি বার্তা। ভাল লাগছিল পকেট থেকে বাদাম বের করে খেতে আর মানব মনের রিদ্যতা দেখতে।
তিন মাস পর। আমার বন্ধু অর্ক মাঝ রাতে ফোন দিয়ে
-তুই এখনি একবার ঢাকা মেডিকেলে আয়।
-কেন? কি হয়েছে?
-আমার ...আমা....র বোন, মনে হয় আর বাঁচবে না? ওর ব্লাড লাগবে এবি পজিটিভ। তোর ও তো এবি পজিটিভ। প্লিজ আয়।
-আমি আসছি।
খুব বেশি সময় লাগেনি যেতে। জানতে চাইলাম কি হয়েছিল? "সাইবার ক্রাইম "খুব অল্পস্বরে বলে উঠল অর্ক। আমি স্থির হয়ে গেলাম। এক ছেলের সাথে তাঁর ফোনে কথা, সেখান থেকে বন্ধুত্ব।
বন্ধুত্বের জের ধরে ব্লুটুথ দিয়ে ছবি নেয়া। তারপর ছেলেটির কু প্রস্তাব। বেড়িয়ে এলো ভেতরের রুপ। আমার লক্ষি বোন টি ভয়ে আমাকে কিছুই বল্ল না। তারপর ফটোশপ -এডিট -নুড ছবি -ইন্টারনেট।
তারপর আবার ব্লাকমেইল। .......আমার বোনের সহ্য না করা এবং হাতের শিরা কেটে ফেলা ......আমার বোনটি মনে হয় বাঁচবেনারে দোস্ত। আমি তখনো স্থির। ডাক্তার এলো -আমরা দু:খিত। আমি স্থির।
শেষবারের মতো দেখতে চাইলাম মেয়েটিকে। আজও সে নীল শাড়ি পড়া। শুধু একটু লালচে। আজও মুখোভয়ব সেই নাজুক বধূর রুপে, কিন্তু রক্ত হিন মুখ খানা নীলচে হয়ে আছে। .....আমি স্থির ......শুধুই স্থির!
#তবে তোকে হারাতে চাইনা রে বোন।
কাউকে বিশ্বাস করে সব সমর্পনের পুর্বে ভাল করে জেনে নিস।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।