শীতকালে ত্বক ময়েশ্চারাইজ করা একান্ত জরুরি। পানি দিয়ে মুখ ধোয়ার পর ভেজা মুখে ময়েশ্চারাইজার লাগান। সারাদিন ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে থাকতে চাইলে ব্যবহার করুন ওয়াটার বাইন্ডিং ময়েশ্চারাইজার। এটি ঠাণ্ডা বাতাস থেকে ত্বককে রক্ষা করবে। এ ছাড়া ক্রিমের মতো ঘন ময়েশ্চারাইজার ত্বকের স্বাভাবিক তৈলাক্ত ভাব ধরে রাখতে সাহায্য করবে।
শীতকালে ত্বকের ওপর মরা চামড়া জমতে থাকে। তাই ত্বক নিষ্প্রভ অনুজ্জ্বল দেখায়। হাত-পায়ের ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়। অনেকের পা ফাটার সমস্যা দেখা দেয়। এ সময় প্রতিদিন একটু একটু করে বাড়তি যত্নের প্রয়োজন হয়।
নিয়ম করে একটু বাড়তি যত্ন নিলে শীতেও ত্বক, চুল, হাত ও পা থাকবে সুন্দর।
মুখের যত্ন
মুখের ত্বক ভীষণ স্পর্শকাতর। তাই যত্ন এ ক্ষেত্রে বেশি হবে। যে কোনো ধরনের ত্বকের যত্নে নিয়মিত মধু ও পাকাপেঁপে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেললে মুখে আর টানটান ভাবটা থাকবে না।
সপ্তাহে ২ দিন মুখ ভিজিয়ে এক্সফলিয়েটিং স্কার্ব ম্যাসাজ করুন।
২-৩ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ক্রিম বা দুধ দিয়ে হালকা ম্যাসাজ করুন। ক্রিম বা দুধের প্রোটিন ত্বক মসৃণ রাখবে।
হাতের যত্ন
পায়ের যত্ন ও হাতের যত্ন একই পদ্ধতিতে করুন। তবে হাতের যত্নে নরম ব্রাশ ব্যবহার করতে হবে। স্কার্বিংয়ের সময় আমন্ড অয়েল ও চিনি মিশিয়ে স্কার্বিং করে তারপর নরমাল পানিতে হাত ধুয়ে ভেজা ভেজা থাকা অবস্থায় ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে শেষ করুন।
পায়ের যত্ন
পা ফাটা শীতকালের নিয়মিত সমস্যা। তাই প্রতিদিন পা পরিষ্কার করতে হবে যত্নসহকারে। সপ্তাহে ২ দিন কুসুম কুসুম গরম পানিতে পা ভিজিয়ে রাখুন ১০ মিনিট। এরপর একটা ঝামাপাথর দিয়ে পায়ের গোড়ালি পরিষ্কার করুন।
বাথ সল্ট দিয়ে সার্কুলার মুভমেন্টে ম্যাসাজ করুন ২-৩ মিনিট।
এবার নরমাল পানিতে ধুয়ে এক চামচ মধুতে এক চা-চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে ম্যাসাজ করুন। পরে একটা ভেজা তোয়ালে দিয়ে পা মুছে প্রয়োজন হলে ময়েশ্চারাইজার লাগান।
চুলের যত্ন
মধু ও অলিভ অয়েল সমপরিমাণে মিশিয়ে ১২ ঘণ্টা রেখে দিন। এরপর এই তেলের মিশ্রণ চুলের গোড়ায় ভালো করে লাগিয়ে হালকা ম্যাসাজ করতে হবে। চাইলে তোয়ালে দিয়ে হট কমপ্রেস করতে পারেন।
এরপর এক ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে নিন।
শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনিং করতে ভুলবেন না। চাইলে এ সময় বাড়তি যত্নের জন্য হেয়ার সেরাম ব্যবহার করতে পারেন।
ঠোঁটের যত্ন
গ্লিসারিন, কোকো বাটার যুক্ত লিপ বাম ব্যবহার করুন। রাতে শোয়ার আগে ২ ফোঁটা আমন্ড অয়েল ঠোঁটে ম্যাসাজ করে নিয়ে ১০ মিনিট পর ভেজা টাওয়াল দিয়ে মুছে নিয়ে শুয়ে পড়ুন।
আপনার ঠোঁট সারা দিন আর রুক্ষ হবে না।
সতর্কতা
* অনেকক্ষণ ধরে গোসল করবেন না।
* শীতকালে অতিরিক্ত গরম পানিতে গোসল করলে ত্বক আরও বেশি রুক্ষ হয়ে যায়।
শীতকালে নিয়ম করে এভাবেই একটু নিজের যত্ন নিয়ে দেখুন শীতের রুক্ষতা আপনাকে ছুঁতে পারবে না।
ছবি সৌজন্যে : নগরদোলা
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।