চাঁদপুর সদর উপজেলার হানারচর ইউনিয়নের গোবিন্দিয়া গ্রাম থেকে চান্দ্রা ইউনিয়নের আখনের হাট পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে শুষ্ক মৌসুমেও অব্যাহত রয়েছে মেঘনার ভাঙন। অতীতে শুষ্ক মৌসুমে ভাঙন দেখা না গেলেও এবার যেন অসময়ে ভাঙন আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। ক্রমান্বয়ে ফসলি জমি ভেঙে মেঘনা প্রায় গিলতে শুরু করেছে বসতবাড়ি। এসব এলাকার অধিকাংশ মানুষ কৃষিনির্ভর। আর কৃষিজমি বিলীন হওয়ায় তারা হারাতে বসেছে শেষ সহায়-সম্বলটুকুও।
সরেজমিন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, এবারের ভয়াবহ ভাঙন কখন নদী তীরবর্তী মানুষগুলোর বসতঘর কেড়ে নেয় এমন আতঙ্কে দিন কাটছে গোবিন্দিয়া গ্রামবাসীর। ওই ইউনিয়নের চাঁদপুর-শরীয়তপুর ফেরিঘাট এলাকাও মেঘনার ভাঙনে দীর্ঘদিন হুমকির মুখে রয়েছে। ফেরিঘাট এলাকায় পাউবো সম্প্রতি কিছু বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে পাড় সংরক্ষণের চেষ্টা করছে। কিন্তু বর্ষা এলে এ বাঁধ কত দিন টিকবে তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। গোবিন্দিয়া গ্রামের সিরাজ ঢালী ও লতিফ শেখ জানান, 'এ এলাকায় গত ২০ বছরে বহুবার ভাঙন দেখা দিয়েছে।
এসব ভাঙনে নদীগর্ভে চলে গেছে ৩০টি বাড়ি। এ অঞ্চলে ভাঙন নতুন নয়। সরকার আসে, সরকার যায়। কিন্তু ভাঙন রোধে কেউ এগিয়ে আসে না। এখন অনেক মানুষ রাস্তার পাশে ও আত্দীয়-স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে বসবাস করছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, মেঘনার হাইমচর উপজেলায় ৭৮৯৮ ও সদর উপজেলায় ৫৬৭৬ মিটার এলাকায় ভাঙন প্রতিরোধে বাঁধ তৈরি করা হয়েছে। এ দুটি বাঁধ হওয়ায় ওইসব এলাকার শত শত বাড়িঘর, ফসলি জমি, চাঁদপুর সেচ প্রকল্প ও পুরানবাজার বাণিজ্যিক কেন্দ্র আপাতত রক্ষা পেয়েছে। কিন্তু এই দুটি প্রকল্পের মধ্যে বাঁধ না হওয়ায় বড় ধরনের হুমকিতে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জীবন কৃষ্ণ জানান, হরিনা ফেরিঘাটসহ অন্য এলাকার ভাঙন রোধে এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে। প্রকল্প অনুমোদন পেলে কাজ শুরু করা যাবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।