প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৩ বছর আগে হুন্দাই কোম্পানি নির্মিত শত বছরের গ্যারান্টি দেওয়া সিরাজগঞ্জ শহররক্ষা বাঁধে শুক্রবার ভোরে ধস দেখা দিয়েছে। এতে জেলখানা ঘাটের উত্তরের ৫০ মিটার এলাকার ব্লক ও জিও ব্যাগ (বালুভর্তি ব্যাগ) বিলীন হয়ে যায়। শুষ্ক মৌসুমে নদীতে ঘূর্ণাবর্ত না থাকলেও হঠাৎ বাঁধের তলদেশে আকস্মিক ধস দেখা দেওয়ায় শহরবাসী বিস্মিত হয়েছে। ভোরে ধস নামতে শুরু করলেও পাউবোর কর্মকর্তা কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে সকাল ৮টার দিকে শুধু ঘটনাস্থল পরিদর্শন করায় শহরবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা আজিজ ও প্রবাল জানান, ভোর সাড়ে ৫টার দিকে নদীর তলদেশে ধস শুরু হয়।
মুহূর্তে সিসি ব্লকগুলো ধসে যেতে থাকে। খবর পেয়ে বাঁধে দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন। পরে তারা বিষয়টি পাউবো ও প্রশাসনের ঊধর্্বতন কর্মকর্তাদের জানালে তারা সকাল ৮টার দিকে ঘটনাস্থলে আসেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে শুধু দেখেই চলে যান। এ সময় স্থানীয়রা আক্ষেপ করে বলেন, পাউবোর কর্মকর্তারা বাঁধ নিয়ে প্রতি বছরই কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য করছেন। তাদের উদাসীনতা ও সংস্কারকাজে গড়িমসির কারণেই প্রতিবার এ ধস দেখা দেয়।
কয়েক বছর ধরে বাঁধের বিভিন্ন পয়েন্টে প্রায় ১০-১৫ বার ধস নেমেছে। এগুলো সংস্কার করতেই পাউবো প্রায় ২০০ কোটি টাকা খরচ করেছে। এদিকে, বিশ্বব্যাংক, নেদারল্যান্ড সরকার ও পাউবোর যৌথ অর্থায়নে ৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে সিরাজগঞ্জ শহররক্ষা বাঁধ 'হার্ড-পয়েন্ট' শক্তিশালীকরণে ২ লাখ ৩৩ হাজার ২৮৮ মেট্রিক টন পাথর ও ১ লাখ জিও ব্যাগ নিক্ষেপের কাজ চলছে। তবে সে কাজেও রয়েছে বিস্তর অনিয়মের অভিযোগ। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মোনায়েম লিমিটেড সঠিক সময়ে পাথর ও জিও ব্যাগ বাঁধ তলদেশে নিক্ষেপ না করায় এ ধস দেখা দিয়েছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড বিশেষায়িত শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম জানান, ধসের কারণে জনজীবনে কোনো প্রভাব পড়বে না। ধস এলাকায় সার্ভে করা হচ্ছে। আতঙ্কের কিছু নেই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।