আমি পথহারা পথিক...পথে পথে ঘুরে বেড়াই, পথের নেশায়....লোকের কথা শুনি, কখনো কখনো বলার চেষ্টাও করি। আমার কথা সবার ভাল লাগবে এমনটা আশা করি না। আমি বিশ্বাস করি, যে পথের নেশায় পথে পথে ঘুরে বেড়াই, সেই পথের দেখা আমি পাবই........
কোথায় মহারানী... আর কোথায় **তমারানী। কোথায় মিশর....আর কোথায় বাংলাদেশ (বাংলাদেশ কে ছোট করার অর্থে নয়) কোথায় ব্রাদারহুড আর কোথায় শিবির। আচ্ছা কেউ কি বলতে পারেন এত বেশি বুদ্ধিনিয়ে এরা ঘুমায় ক্যামনে.... স্বপ্ন দেখা ভাল তবে অতি স্বপ্ন দেখলে শেষে পিতাজীর মত স্বপ্নদোষ হওয়া শুরু হইবেক....
খবরে এসেছে, মিশরের তাহরির স্কয়ারের আদলে বাংলাদেশেও অভ্যূত্থান ঘটানোর স্বপ্ন দেখছে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ এর ছাত্র সংগঠন ছাত্রশিবির।
এ লক্ষ্যে তারা নেতাকর্মীদের প্রশিক্ষণও দিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ কোন ইস্যুতে অভ্যূত্থান ছাড়া রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়া সম্ভব নয় বলে মনে করে শিবির। তাই সারাদেশে বিশেষ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মীদের প্রস্তুত করছে সংগঠনটি। মিশরে গণঅভ্যূত্থানের মাধ্যমে হোসনী মোবারকের পতন ও ইসলামী ব্রাদারহুডের ক্ষমতা দখলের নানা দিক তুলে ধরে উজ্জীবিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে নেতাকর্মীদের। গত মঙ্গলবার সিলেট নগরীর দরগামহল্লায় শিবিরের একটি গোপন আস্তানায় অভিযানে উদ্ধারকৃত বইপত্র, নথি ও প্রশিক্ষণ সামগ্রী থেকে এমন তথ্যই পেয়েছে পুলিশ।
অভিযানের পর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিবির নেতাকর্মীদের সন্ধানে নেমেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। দরগামহল্লা পায়রা ৮২ নম্বর বাসায় শিবিরের গোপন আস্তানায় অভিযানকালে শিবিরের নতুন রণকৌশল ও অর্থের উৎসের তথ্য পায় পুলিশ। উদ্ধার করা হয় অর্থের যোগানদাতাদের তালিকা। উদ্ধারকৃত কাগজপত্রের মধ্যে কিছু বই ও সিডি ছিল মিশরের তাহরির স্কয়ারের গণঅভ্যূত্থানের উপর তৈরি।
এর মধ্যে ছাত্র শিবিরের গবেষণা বিভাগের প্রস্তুতকৃত ‘মিশরে ইসলামের পুনর্জাগরণ’ নামক একটি প্রশিক্ষণ বইয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল ও বাংলাদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠায় নেতাকর্মীদের বিভিন্ন কৌশল বর্ণনা করা হয়েছে।
বইটির ভূমিকাতেই তুলে ধরা হয়েছে ১৯২৮ সালে মিশরে ‘আল ইখওয়ানুল মুসলিমিন’ বা ‘ইসলামী ব্রাদারহুড’ গঠনের পঠভূমি। বইটিতে মিশরে ক্ষমতাসীনদের নির্যাতন-নিপিড়ন সহ্য করে ইসলামী ব্রাদারহুডের চূড়ান্ত বিজয়ের কথা তুলে ধরা হয়েছে। বইটির বিভিন্ন পর্বে ইসলামী ব্রাদারহুডের মতো প্রতিকূল পরিস্থিতিতে শিবির নেতাকর্মীদের মনোবল চাঙ্গা রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
বইটির শেষের দিকে ব্রাদারহুড থেকে শিবির নেতাকর্মীদের ৯টি শিক্ষা নিতে বলা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- ‘ইসলাম প্রতিষ্টা ও রাষ্ট্রক্ষমতায় যেতে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকা।
সকল প্রকার জুলুম নির্যাতন ধৈর্য্য ও সাহসিকতার সাথে মোকাবেলা করে গঠনমুলক জবাব দেয়া। প্রয়োজনবোধে সাংগঠনিক পরিচয় গোপন রেখে জনগণের পাশে থাকা এবং দলীয় পরিচয়ের বাইরে অনেকগুলো স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গঠন করে তৎপরতা চালানো, সেনাবাহিনী, মিডিয়া, জনপ্রশাসন ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে জনশক্তি তৈরি ও তাদের প্রয়োজনীয় সমর্থন আদায় নিশ্চিত করা ইত্যাদি। ’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শিবিরের দায়িত্বশীল এক নেতা জানান, সরকার বিরোধী আন্দোলনে নেতাকর্মীদের সক্রিয় রাখতে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। এই প্রশিক্ষণে মিশরে গণঅভ্যূত্থানের চেতনাকে কাজে লাগিয়ে কর্মীদের উজ্জীবিত করার চেষ্টা চলছে। এছাড়া সরকারের বিরুদ্ধে গণঅভ্যূত্থানের ক্ষেত্র তৈরিতে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্নরকম পোস্ট ও ছবি দিয়ে প্রচারণা চালানো হচ্ছে বলে জানান ওই নেতা।
তথ্য সুত্র: Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।