ইচ্ছে করে পানকৌড়ির মতন অবেলায় অবহেলায় জীবনটাকে কাটিয়ে দিতে!!
দোল পূর্ণিমার জ্যোৎস্না রাতে
অরণ্য জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে
অপেক্ষায় থাকা রাতা জাগা পরিযায়ী পাখির বিবাগী ডাক!
আমি তবু জোছনার মালা হাতে রমণীর খুব কাছেই বসে থাকি।
নাক-ফুল ছুঁয়ে
চাঁদের আলোর ঝিলিক পড়ে আনত চোখে;
বিভব বিস্ময় নিয়ে দেখি
সেই চোখে একটি নদী তার সকল দুঃখের পসরা সাজিয়ে বসে আছে
অথচ এই চোখে উড়ে বেড়িয়েছে চৈত্রের মহুয়া মাখা দুপুরের শতেক প্রজাপতি!
নারকেলের চিরল পাতার ফাঁক গলে
চাঁদটা একসময় সাদা রঙের একটা টিপ হয়ে
রমণীর কপাল-জুড়ে আভা ছড়াতে থাকে! নক্ষত্রের মতন তার ঝুমকো দুল নেচে উঠে! বুনো শালিক এক ঝটকায় পাখা মেলে;
রমণী হাত বাড়িয়ে জোছনার মালাটি ধরতেই স্পষ্ট হতে থাকে বুকের জমিন;
বেভুলো পথিক খুব করে মনে করতে চায় সভ্যতার চেনা মানচিত্রের রেখাগুলো!
সপ্তর্ষির চোখ ফাঁকি দিয়ে এলোমেলো চৈতালী বাতাস
রমণীর নিরাভরণ শরীর-জুড়ে মেখে দিয়ে যায় মুকুলের কাচা ঘ্রাণ,
নতুন গজিয়ে উঠা পাতাদের মৃদু ফিসফাস
মথিত স্পর্শে নাচে যুগল কবুতর;
বিস্তৃত এলো-চুলে রাত পাশ ফিরে শোয়!
মদির রাত জুড়েই
জোছনার মালাটি আলো দিতে থাকে বেভুলো পথিক আর সিক্ত রমণীকে! শিশিরের ভেজা জলে আদিম সন্তরণে কাটে প্রণয়ের পুরো রাত!
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।