আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যাননি ইইউর রাষ্ট্রদূতরা

বিজয় দিবস উপলক্ষে গতকাল সকালে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে যাননি ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূতরা। বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে নিজেদের সমন্বয় সভার 'কারণ' দেখিয়ে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ না দেওয়ার কথা জানিয়েছেন কূটনীতিকরা। তবে গতকাল বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ইইউর রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম হানার গুলশানের বাসায় এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠক থেকে বিকাল ৪টায় বঙ্গভবনের অনুষ্ঠানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তারা। এর আগে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা সভায়ও যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। উল্লেখ্য, কূটনীতিকদের রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান বর্জনের এমন নজির অতীত বাংলাদেশে এর আগে আর ঘটেনি।

এদিকে সরকারের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের মতে, বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া থেকে বিরত থেকে কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন করেছে ইইউর রাষ্ট্রদূতেরা।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি সূত্র জানিয়েছে, ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে গত রবিবার বিকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ফ্যাঙ্রে মাধ্যমে একটি বার্তা পাঠানো হয়। বার্তায় উল্লেখ করা হয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হবে। বংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সদর দফতর ব্রাসেলস থেকে জরুরি ভিত্তিতে একটি রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। ওই রিপোর্ট তৈরির জন্য ইইউর রাষ্ট্রদূতরা কো-অর্ডিনেশন মিটিং করবেন। এই রিপোর্টের ভিত্তিতেই ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন বাংলাদেশে নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠাবে কিনা সিদ্ধান্ত নেবে। সেকারণে জাতীয় স্মৃতিসৌধের অনুষ্ঠানে তারা যাচ্ছেন না। একই সময়ে বঙ্গভবনের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানেও যোগ দিতে পারছেন না বলে জানান তারা। ওই বার্তার পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ইইউর দায়িত্বশীল কূটনীতিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে না গেলেও ভোরে স্মৃতিসৌধে যেতে তাদের অনুরোধ জানানো হয় বলে জানা গেছে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে সব পর্যায়ের অনুরোধ সত্ত্বেও নিজেদের সিদ্ধান্ত পাল্টাননি ইউরোপের কূটনীতিকরা।

জানা গেছে, ইইউর এমন অবস্থানে যে সরকার সন্তুষ্ট নয়, তা উল্লেখ করে রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বার্তা ইইউর কাছে পাঠিয়েছে। ওই বার্তায় উল্লেখ করা হয়, বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান রাষ্ট্রের অনুষ্ঠান। এমন অনুষ্ঠানে যোগ না দিয়ে ইইউর রাষ্ট্রদূতেরা বাংলাদেশের জনগণকে অসম্মান করতে যাচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে নিজ নিজ রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে আলাপ করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ওই সব দেশের শীর্ষ কূটনীতিকদের বলা হয়। এর পরই জার্মানি, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, নেদারল্যান্ড ও সুইডেনের রাষ্ট্রদূতেরা গতকালের বৈঠক থেকে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

উল্লেখ্য, ঢাকায় ইইউর মিশনের দফতরস ইইউর সদস্যদেশগুলোর মধ্যে ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ড, স্পেন, সুইডেন ও যুক্তরাজ্যের মিশন রয়েছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.