যথাসময়ে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশন প্রস্তুত রয়েছে বলে মনে করে সফররত ইউরোপিয়ান প্রতিনিধি দল। এদিকে রাজনৈতিক বিষয়ে না জড়িয়ে রেফারির ভূমিকায় থাকতে চায় নির্বাচন কমিশন। সিইসি বলেন, সবার অংশগ্রহণে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক সমঝোতা হবে বলে আশা করছি। তবে আমরা তো রেফারি। ওইসব বিষয়ে আমাদের না জড়ানোই ভালো। আমরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। গতকাল সকালে প্রাক-নির্বাচন প্রস্তুতি নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করেন ইইউ রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম হানা। তবে বৈঠকে কোনো নির্বাচন কমিশনার ছিলেন না। ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে ১০ মিলিয়ন ইউরোর জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান, ভোটার তালিকা হালনাগাদসহ সার্বিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। বৈঠক শেষে উইলিয়াম হানা বলেন, ইসির সঙ্গে আমাদের অনেক বছর ধরে বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে কাজ চলছে। এগুলোর ধারাবাহিকতা ও তাদের কার্যক্রম নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট। দশম সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রাক-নির্বাচনী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে আসে এ প্রতিনিধি দল। এ বিষয়ে হানা সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি নির্বাচন কমিশন যথাসময়ে নির্বাচন করতে প্রস্তুত। তাদের অনেক নির্বাচন প্রস্তুতির কাজ রয়েছে। সব কিছু এগোচ্ছে। আগামী নির্বাচনে ইইউর পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয়ে সংস্থাটির সদর দফতরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানান সফররত এই রাষ্ট্রদূত। উইলিয়াম হানা বলেন, নির্বাচনে ইইউ অনেক পর্যবেক্ষক মোতায়েন করে। আমরা এখানে আলোচনা করার পর সার্বিক বিষয়ে প্রতিবেদন পাঠাব ইইউ সদর দফতরে। সেখানকার শীর্ষ পর্যায় তা পর্যালোচনা করে পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ আয়োজনে কোনো ভূমিকার কথা ইইউ বলেছে কি না- জানতে চাইলে তা এড়িয়ে যান তিনি। হানা বলেন, ইসির সঙ্গে কীভাবে নির্বাচন আয়োজন করা হয়, কীভাবে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন করা যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তফসিলের পর আমন্ত্রণ : বৈঠকের বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ জানান, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ইইউর বড় একটি পর্যবেক্ষক দল আসবে। সে বিষয়ে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করাই আমাদের লক্ষ্য। তাদেরও তা-ই চাওয়া। নির্বাচন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে তফসিল ঘোষণার পর বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আমন্ত্রণ জানাব। ইইউ প্রতিবারের মতো এবারও পর্যবেক্ষক পাঠাবে। এর আগে ইইউর সঙ্গে এ নিয়ে স্মারক সমঝোতাও হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হলেও ইসির সঙ্গে একেবারেই কারিগরি বিষয়ে বৈঠক হয়েছে বলে জানান সিইসি। কোনো পরামর্শ বা তাগিদ দিয়ে কিছু বলার এখতিয়ারও সফররত প্রতিনিধি দলের নেই বলে মনে করেন তিনি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।