গাজীপুরের কাপাসিয়ায় শীতলক্ষ্যা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনের মচ্ছব চলছে। অপরিকল্পিতভাবে বালু তোলায় দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন। আগামী বর্ষা মৌসুমে ভাঙন ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন স্থানীয়রা। আর এ ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে কাপাসিয়া ও শ্রীপুরের অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ। অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে কাজে আসছে না প্রশাসনের কোনো উদ্যোগ। প্রভাবশালীদের মদদে বরা বার পাড় পেয়ে যাচ্ছেন বালু ব্যবসায়ীরা। জানা গেছে, ৬-৭ বছর আগে দস্যু নারায়াণপুর বাজারের পাশে মাটি দেবে যাওয়ায় জেলা প্রশাসন আশপাশের এলাকায় নদী থেকে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ করে। পরে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা বাদ দিয়ে শীতলক্ষ্যার কয়েকটি এলাকার বালুমহাল ইজারা দেয় প্রশাসন। কিন্তু সীমিত এলাকা ইজারা নিয়ে আগ্রাসী হয়ে ওঠেন বালু ব্যবসায়ীরা। জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, গত ১৪ এপ্রিল কাপাসিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান আরিফ শীতলক্ষ্যার পাঁচটি বালুমহাল ইজারা নেন। অন্য ব্যবসায়ীরা ইজারা ছাড়াই নির্বিঘ্নে ড্রেজার দিয়ে উত্তোলন করছেন বালু। গত সোমবার সরেজমিনে দেখা গেছে, কাপাসিয়ার দক্ষিণে ধান্দিয়া থেকে উত্তরে কুড়িয়াদি পর্যন্ত নদীতে চলছে বালু তোলার ধুম। বিভিন্ন পয়েন্টে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয়রা জানান, বালু উত্তোলনের কারণে তরগাঁও ইউনিয়নের বাঘিয়া এলাকা এখন চরম ঝুঁকিপূর্ণ। ওই এলাকার কৃষক আহমেদ হোসেন জানান, পাড় ভেঙে তার বহু জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এ ছাড়া কল্লোল, মেজবাহ উদ্দিন রাজু, তপু, মাসুদ, শাহীন, লতিফ ও রিয়াজ উদ্দিনসহ অনেক গ্রামবাসীর ফসলি জমি মিশে গেছে নদীতে। ভয়াবহ ভাঙনের আশঙ্কায় গ্রামবাসী বিভিন্ন সময় কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে অভিযোগ করেও প্রতিকার পাননি। ইউএনও বলেন, 'অবৈধ বালু উত্তোলনের খবর পেলে আমি তাৎক্ষণিক অভিযান চালাই। কয়েক বার জব্দ করেছি ড্রেজার ও ট্রলার। ফের কেউ ইজারাবিহীন এলাকা থেকে বালু উত্তোলন করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।