প্রতিষ্ঠার ৩৪ বছরেও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট কাটেনি। প্রায় প্রতি বছর বাড়ছে বিভাগ, বাড়ছে আসন কিন্তু বাড়ছে না আবাসন সুবিধা। সাড়ে ১৪ হাজার শিক্ষার্থীর ৮২ ভাগই আবাসন সুবিধাবঞ্চিত। থাকার জায়গার অভাবে ক্যাম্পাসের পার্শ্ববর্তী ও কুষ্টিয়া ঝিনাইদহ শহরের মেসগুলোতে কষ্টে দিন পার করছে শিক্ষার্থীরা। কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ শহর থেকে যথাক্রমে ২৪ ও ২২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এ বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ৩৪ বছরে নির্মিত হয়েছে মাত্র ৬টি আবাসিক হল।
নির্মাণাধীন রয়েছে একটি ছাত্রী হল। এ হলগুলোতে আবাসন সুবিধা রয়েছে প্রায় মাত্র দুই হাজার ৫০০ জন শিক্ষার্থীর। ফলে মাত্র ১৮ ভাগ ছাত্র-ছাত্রী আবাসন সুবিধা পাচ্ছে। বাকি ৮২ ভাগ শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন শেষ হচ্ছে অনাবাসিক হিসেবে অথচ তাদেরও গুনতে হচ্ছে আবাসিক হলের ফি। তারা ক্যাম্পাস পাশর্্ববর্তী এলাকাগুলো ছাড়াও ২২ ও ২৪ কিলোমিটার দূরের শহর ঝিনাইদহ ও কুষ্টিয়ায় মেসে অবস্থান করে।
আবাসন সংকটে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা বেশি ভুগছে। হলের অনেক রুমে ছাত্রীরা ডাবলিং করে থাকে। হলে নতুন ছাত্রীদের জন্য রয়েছে বিশেষ গণরুমের ব্যবস্থা। প্রতিটি গণরুমে ৩০ থেকে ৪০ জন ছাত্রী থাকে।
হলের বড় আপুরা প্রথম বর্ষের ছাত্রীদের গণরুমে থাকতে বাধ্য করে বলে অভিযোগ রয়েছে।
বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের আবাসিক ছাত্রী ফাতিমা, রুপা, সাফিয়া, রত্না, মিথিলা, অনন্যা বলেন, থাকার সমস্যা নিয়েই বেশি ভাবতে হয়। এ জন্য পড়ালেখায় মনোযোগ দিতে পারছি না। কর্তৃপক্ষ ছাত্রীদের আবাসনের চরম সংকটের বিষয়টি আমলেই নিচ্ছে না। এদিকে শেখ হাসিনা হল নামে নতুন একটি হলের নির্মাণকাজ শেষ হলেও তা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেনি। এ হলে ৩৮০ জন ছাত্রী থাকতে পারবে।
ছাত্র হলগুলোতেও আবাসন নিয়ে হাহাকার চলছে। প্রথম বর্ষের কোনো শিক্ষার্থীকে হলে আবাসন সুবিধা দেওয়া হয় না। আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে শিক্ষার্থীদের আবাসন সুবিধা মেলে তৃতীয় অথবা চতুর্থ বর্ষে। অনেক ক্ষেত্রে মাস্টার্স শেষ করলেও হলের সিট ভাগ্যে জোটে না। বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান বলেন, আবাসন সংকট একেবারে নিরসন অসম্ভব ব্যাপার।
তবে সংকট কমিয়ে আনতে ছাত্রদের জন্য দুটি ও ছাত্রীদের জন্য একটি হল নির্মাণ জরুরি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. আবদুল হাকিম সরকার বলেন, ছাত্রীদের জন্য নবনির্মিত শেখ হাসিনা হলে শীঘ্রই আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। নতুন হলের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।