ইউরোপ আমেরিকার পর এবার টার্গেট হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্য। তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে নতুন বাজার হিসেবে তেলসমৃদ্ধ আরব রাষ্ট্রগুলোকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, এই মুহূর্তে জনশক্তি রপ্তানির পাশাপাশি পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রেও অন্যতম বাজার হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যকে।
সূত্র জানায়, আরব দেশগুলোর কাছে বাজার সুবিধা চাওয়ার জন্য প্রাথমিকভাবে ৩৫টি পণ্য বাছাই করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৬টি আইটেমই হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের তৈরি পোশাক। এখান থেকে শুল্ক ও কোটামুক্ত বাজার সুবিধার জন্য পণ্যের তালিকা চূড়ান্ত করে আরব দেশগুলোর সংস্থা গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিলে (জিসিসি) পাঠানো হবে। আগামীকাল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠেয় এক বৈঠকে পণ্যের তালিকাটি চূড়ান্ত করা হবে। মধ্যপ্রাচ্যে রপ্তানি সম্ভাবনা সম্পর্কে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য হচ্ছে, আরব দেশগুলোতে প্রচুর বাংলাদেশি কাজ করে। পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশেগুলোরও অভিবাসী রয়েছে। তুলনামূলক কম দামের তৈরি পোশাক বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হলে ওইসব অভিবাসীদের কাছে সেটি আকর্ষণীয় হবে। জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে কেবল সৌদি আরবের কাছে শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা চাওয়া হয়। উত্তরে দেশটি জানায়, তারা (সৌদি আরব) জিসিসি কাস্টমস ইউনিয়নের সদস্য বলে শুল্ক সুবিধার জন্য ওই কাউন্সিলে আবেদন জানাতে হবে। সৌদির ওই উত্তরের পর জিসিসি সদস্যভুক্ত মধ্যপ্রাচ্যের ৮ আরব দেশের কাছেই শুল্ক সুবিধা চাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
জিসিসির যে আট দেশের কাছে বাজার সুবিধা চাওয়া হচ্ছে তার মধ্যে সৌদি আরব ছাড়াও রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, ওমান, কাতার, ইয়েমেন, কুয়েত ও জর্ডান। আর এই দেশগুলোর কাছে যেসব পণ্যে বাজার সুবিধা চাওয়া হবে তার মধ্যে তৈরি পোশাকের আইটেম সবচেয়ে বেশি। যার মধ্যে মেনস/ বয়েজ ট্রাউজার্স, ওমেন/ গার্লস ট্রাউজার্স, শর্টস, সুইম ওইয়ার, আন্ডার প্যান্টস, শার্টস, ব্লাউজেস, শিশুদের পোশাক, টি-শার্টস, জার্সি, পুলওভার্স, কার্ডিগ্যানস, ট্র্যাক স্যুটস ইত্যাদি। এ ছাড়া মাছ, হালাল মাংস, শাক-সবজি, ফুলহীন সবজি, বাদাম, পিয়াজসহ বিভিন্ন ধরনের মসলা, পাউরুটি, পেস্ট্রি, কেক, বিস্কুটসহ বিভিন্ন ধরনের বেকারি খাদ্য, নিরাপদ পানি ইত্যাদি।
এ ব্যাপারে বাণিজ্য সচিব মাহবুব আহমেদ বলেন, দেশের রপ্তানি আয় বাড়ানোর লক্ষ্যে ইউরোপ-আমেরিকার বাইরে নতুন বাজার অনুসন্ধান করা হচ্ছে। তারই অংশ হিসেবেই মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে শুল্ক সুবিধা চাওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, তেল সমৃদ্ধ আরব দেশগুলোতে শুল্ক সুবিধা পাওয়া গেলে গার্মেন্টসহ সবজি ও ফলমূল রপ্তানির নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। এর ফলে কেবল রপ্তানি আয় বাড়বে এমন নয়, তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে ইউরোপ-আমেরিকার ওপর নির্ভরশীলতাও কমবে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।