আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাড়ে চার বছরেও চালু হয়নি নেপাল-ভুটান স্থলব

দেশের স্থলবন্দরগুলোতে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো স্বল্পতায় ব্যাহত হচ্ছে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য। দীর্ঘ কয়েক বছরেও বেশির ভাগ স্থলবন্দর চালু না হওয়ায় ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছেন। বিগত সাড়ে চার বছরেও নেপাল এবং ভুটানের সঙ্গে বাংলাদেশের স্থলবন্দর চালু করতে পারেনি সরকার। সব মিলিয়ে করুণ অবস্থায় আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য করছেন ব্যবসায়ীরা। তথ্য সংশ্লিষ্টদের।

দেশের স্থলবন্দরগুলোতে প্রত্যাশিত সুযোগ-সুবিধা নেই বলে মনে করেন এর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ীরা। তবে নৌপরিবহনমন্ত্রী মোহাম্মদ শাজাহান খান বলেন, যেগুলো চালু হয়নি, সেগুলো চালুর বিষয় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ প্রসঙ্গে ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (আইবিসিসিআই) সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমেদ বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ১৭টি স্থলবন্দর থাকলেও, একটিই বেশি ব্যবহার হচ্ছে। অন্যগুলো তেমন ব্যবহার হয় না। প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নেই বলেই ব্যবহার হয় না। তিনি স্থলবন্দরগুলো পুরোপুরি সচল রাখতে একটি টাঙ্ফোর্স গঠনের পরামর্শ দেন। বাংলাদেশ-মিয়ানমার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিএমসিসিআই) সভাপতি কে বি আহমেদ বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানির জন্য যে বিশাল সম্ভাবনা আছে, সে তুলনায় স্থলবন্দরে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নেই। একটি মাত্র স্থলবন্দর দিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে বাণিজ্য সম্ভব নয়।

জানা গেছে, ভারত, ভুটান, নেপাল ও মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের অধিকাংশ আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয় মূলত স্থল পথে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের (বাস্থবক) সার্বিক কার্যক্রম সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দেশে মোট ৮টি স্থলবন্দর চালু আছে। এর মধ্যে ৭টি ভারতের সঙ্গে। একটি মিয়ানমারের সঙ্গে। আর বাকি দশটি কোন প্রক্রিয়ায় চালু হবে সে সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। প্রতিবেদনে আরও দেখা গেছে, বর্তমানে ১৮টি ঘোষিত স্থলবন্দর আছে। একটি প্রস্তাবিত। এ গুলো হলো- বেনাপোল, সোনামসজিদ, হিলি, বুড়িমারী, আখাউড়া, টেকনাফ, বিবিরবাজার, বাংলাবান্ধা, ভোমরা, বিরল, তামাবিল, গোবড়াকুড়া, করইতলী, নাকুগাঁও, দর্শনা, রামগড়, বিলোনিয়া, সোনাহাট ও প্রস্তাবিত থেগামুখ। এ ছাড়াও স্থানীয় জনগণের চাহিদা ও প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য উন্নয়নের স্বার্থে চুয়াডাঙ্গার জীবন নগর, নীলফামারীর চিলাহাটি, কুষ্টিয়ার প্রাগপুর, মেহেরপুরের মুজিবনগর ও রাঙামাটির থেগামুখ শুল্ক স্টেশনকেও স্থলবন্দর হিসেবে ঘোষণার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে দেখা গেছে, সরকারি ব্যবস্থাপনায় বেনাপোল, বুড়িমারী ও আখাউড়া এবং সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) মাধ্যমে সোনামসজিদ, হিলি, টেকনাফ, বাংলাবান্ধা, বিরল ও বিবির বাজার স্থলবন্দর পরিচালিত হয়। তবে বিরল স্থলবন্দরের কার্যক্রম চলমান নয়।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.