আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একতরফা নির্বাচন জমিয়েছেন আওয়ামী লীগের বি÷

আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীরাই জমিয়ে তুলছেন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। প্রধান বিরোধী দল বিএনপি নির্বাচনে না থাকলেও ৫৪টি আসনে নির্বাচন হচ্ছে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বনাম দলের বিদ্রোহীদের মধ্যে। এর মধ্যে বেশির ভাগ আসনেই শক্তিশালী অবস্থানে আছেন বিদ্রোহীরা। ধারণা করা হচ্ছে, পাঁচ বছর জনবিচ্ছিন্ন আওয়ামী লীগের একটি অংশ এবার ধরাশায়ী হবেন দলের বিদ্রোহীদের কাছে। প্রধান বিরোধী দলের নির্বাচন বর্জন ও জাতীয় পার্টির নির্বাচন নাটকের মধ্যে নিরুত্তাপ ও নিষ্প্রাণ এই নির্বাচনেও ঘাম ঝরছে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের। অন্যদিকে জোর প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা। ঢাকাসহ বেশ কয়েকটি জেলায় খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের প্রার্থী অনেকেই ক্ষমতার পাঁচ বছরে নিজ এলাকা থেকে যোজন যোজন দূরে। কর্মীদের অবমূল্যায়ন, দলীয় পদপদবি উপেক্ষা, নির্বাচনী অঙ্গীকার পূরণে ব্যর্থতার কারণে এখন বেকায়দায় পড়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। অনেকেই এখন নির্বাচনী প্রচারণায় যেতে সাহস পাচ্ছেন না। বর্তমান এমপি ও আওয়ামী লীগের নেতারা ক্ষমতার পাঁচ বছরে এলাকায় কম যাওয়ায় তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে তাদের সমর্থন আদায়ে এগিয়ে গেছেন একই দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরা। তারা তৃণমূলকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনী মাঠ জমিয়ে তুলছেন। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামের দুই সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী ও কাজী জাফর উল্লাহ বেশ বেকায়দায় পড়েছেন। নিজ দলের শক্তিশালী দুই বিদ্রোহী প্রার্থী তাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভোটের মাঠে থাকায় এ অবস্থা তৈরি হয়েছে বলে জানা গেছে। শেরপুর-২ আসনে বর্তমান এমপি ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর বিপক্ষে আনারস মার্কা নিয়ে লড়ছেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা বদিউজ্জামান বাদশা। ভোটারদের সঙ্গে ব্যাপক গণসংযোগ করে সাড়া জাগাতে সক্ষম হয়েছেন বদিউজ্জামান বাদশা। তিনি রীতিমতো চষে বেড়াচ্ছেন নালিতাবাড়ী ও নকলা উপজেলার গ্রাম থেকে গ্রামে। তিনি এলাকায় নির্বাচন জমিয়ে তোলায় নির্বাচনী প্রচারণায় বেশ বেকায়দায় আছেন আওয়ামী লীগের এ প্রভাবশালী নেত্রী। ফরিদপুর-৪ আসনে কাজী জাফর উল্লাহর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন জাতীয় সংসদের হুইপ লিটন চৌধুরীর ছোট ভাই মজিবুর রহমান নিঙ্ন চৌধুরী। নিঙ্ন চৌধুরীও যথারীতি নিজের অবস্থান তৈরি করেছেন বলে জানা গেছে। কাজী জাফর উল্লাহর পাশাপাশি সমানতালে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবুর রহমান। ঢাকা-৭ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি হাজী মো. সেলিম। আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীন। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন এ আসনের প্রভাবশালী দুই প্রার্থী। জানা গেছে, এ আসনে সমানে সমান প্রতিযোগিতা হবে। দুজনই শক্তিশালী প্রার্থী হওয়ায় ঢাকার অন্য আসনগুলোর চেয়ে এ আসনে নির্বাচনী হাওয়া বেশ জমে উঠেছে।

ঢাকা-১৫ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কামাল আহমেদ মজুমদারের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন ঢাকা-১৬ আসনের এমপি ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লার বড় ভাই এখলাসউদ্দিন মোল্লা। এ আসনে দুজন প্রার্থীর প্রচারণাই চোখে পড়ার মতো।

ঢাকা-৪ আসনে মহাজোটের প্রার্থী হয়েছেন জাতীয় পার্টির সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা। তাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক বিশেষ সহকারী ড. আওলাদ হোসেন। ড. আওলাদ হোসেনের পক্ষে নির্বাচনী এলাকার শ্যামপুর-কদমতলী থানার আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের নীরব সমর্থন আছে বলে জানা গেছে। এ আসনেও বেশ জোরেশোরেই বইছে নির্বাচনী হাওয়া। ঢাকা-১৬ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লার বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও বিজিএমইএ নেতা এস এম মান্নান কচি। নির্বাচনী প্রচারণায় একজন আরেকজনকে ছাড় দিতে নারাজ। দুজনই নিজ অনুকূলে বিজয় অর্জনে জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় নির্বাচনী প্রচারণা বেশ জমে উঠেছে। পাবনা-১ আসনে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকুর বিপক্ষে নির্বাচন করছেন আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ। আবু সাইয়িদ এখন নিয়মিত নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তার প্রচার-প্রচারণা চলছে বলে জানা গেছে। ময়মনসিংহ-৩ আসনে সাবেক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মজিবুর রহমান ফকিরের পথের কাঁটা হয়ে আছেন নিজ দলের নাজনীন আলম। নাজনীন আলম এখন নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এ ছাড়াও আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে নির্বাচন জমিয়ে তুলছেন ময়মনসিংহ-১১ আসনে আওয়ামী লীগ নেতা সাহাদাত উল্লাহ চৌধুরী। এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আমান উল্লাহ। নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা শওকত আলী। এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী। গাইবান্ধা-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক সৈয়দা খুরশীদ জাহান। আওয়ামী লীগের প্রার্থী মঞ্জুরুল ইসলামের সঙ্গে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। গাইবান্ধা-২ আসনে বর্তমান এমপি মাহবুব আরা গিনির বিরুদ্ধে লড়ছেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মকদুবুর রহমান। গাইবান্ধা-৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোয়ার হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ। এখানে তুমুল লড়াই হবে বলে জানা গেছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে গোলাম মোস্তফা বিশ্বাসের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা খুরশিদ আলম। সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে সরকারি দলের প্রার্থী হলেন আবদুল মজিদ মণ্ডল। তার বিরুদ্ধে লড়ছেন বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান। ঝিনাইদহ-১ আসনে সাবেক মৎস্য প্রতিমন্ত্রী আবদুল হাইয়ের বিপক্ষে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক নায়েব আলী জোয়ারদার। ঝিনাইদহ-২ আসনে শফিকুল ইসলামের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন স্বাধীন বাংলা ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের অন্যতম নেতা ও ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নূর এ আলম সিদ্দিকীর ছেলে তানজীব আলম সিদ্দিকী। ঝিনাইদহ-৩ আসনের বর্তমান এমপি শফিকুল আজম খান মনোনয়ন পাননি। তিনি দলীয় প্রার্থী নবী নওয়াজের বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।

নওগাঁ-৩ আসনে আকরাম হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে মহাদেবপুর থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছলিম উদ্দিন ও নওগাঁ-৫ আসনে আবদুল মালেকের বিরুদ্ধে জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম দাঁড়িয়েছেন। আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির সভাপতি ও বর্তমান এমপি মেরাজউদ্দিন মোল্লা এবার রাজশাহী-৩ আসনে দলীয় মনোনয়ন পাননি। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন দলের মনোনীত প্রার্থী আয়েন উদ্দিনের বিরুদ্ধে। রাজশাহী-৬ আসনে শাহরিয়ার আলমের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন দলের সাবেক সংসদ সদস্য রায়হানুল হক (রায়হান)। মেহেরপুর-১ আসনে দলীয় প্রার্থী ফরহাদ হোসেনের বিরুদ্ধে শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইয়ারুল ইসলাম, মেহেরপুর-২ আসনে আবদুল খালেকের বিরুদ্ধে গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন, কুষ্টিয়া-১ আসনে আফাজউদ্দিনের বিরুদ্ধে দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রেজাউল হক চৌধুরী, কুষ্টিয়া-৪ আসনে আবদুর রউফের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য ও খোকসা উপজেলা চেয়ারম্যান সদরউদ্দিন খান স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। সুনামগঞ্জ-২ আসনে মোয়াজ্জেম হোসেনের প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ রফিকুল হক। আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা আবদুস সামাদ আজাদের ছেলে আজিজুস সামাদ দলের মনোনয়ন পাননি। তিনি সুনামগঞ্জ-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে লড়ছেন দল মনোনীত প্রার্থী এম এ মান্নানের বিরুদ্ধে। আর হবিগঞ্জ-৪ আসনে মাহবুব আলীর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সৈয়দ তানভীর আহমেদ।

কুমিল্লা-১ আসনে বর্তমান এমপি মেজর জেনারেল (অব.) সুবিদ আলীর ভূঁইয়ার প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ নেতা হাসান জামিল সাত্তারের ছেলে নাইম হাসান। কুমিল্লা-৬ আসনে এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিনের বিপরীতে দাঁড়িয়েছেন দলে তার দীর্ঘদিনের প্রতিপক্ষ আফজল খানের ছেলে কুমিল্লা উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মাসুদ পারভেজ খান। নোয়াখালী-৬ আসনে আয়েশা ফেরদৌসের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন আমিরুল ইসলাম।

যশোর-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী রফিকুল ইসলাম ও যশোর-৪ আসনে দলীয় প্রার্থী রণজিৎ কুমার রায়ের বিরুদ্ধে সংসদের বর্তমান হুইপ শেখ আবদুল ওহাব স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। যশোর-৫ আসনে এমপি খান টিপু সুলতানের প্রতিপক্ষ নিজ দলের স্বপন ভট্টাচার্য। নেত্রকোনা-১ আসনে মনোনয়ন পাননি বর্তমান এমপি মোস্তাক আহমেদ। এ আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে ছবি বিশ্বাসকে। এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন মোস্তাক আহমেদ এবং আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য জালাল উদ্দিন তালুকদারের ছেলে শাহ কুতুবউদ্দিন তালুকদার। নেত্রকোনা-২ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আরিফ খান জয়। এখানে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা নূর খান।

নির্বাচনী লড়াইয়ে মাগুরা-১ আসনে এম এস আকবরের প্রতিপক্ষ শ্রীপুর উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি কুতুবুল্লাহ হোসেন বর্তমান এমপি অধ্যাপক ডা. মিয়া ও মাগুরা-২ আসনে এমপি বীরেন শিকদারের প্রতিপক্ষ মোহাম্মদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান। বাগেরহাট-৪ আসনে মো. মোজাম্মেল হোসেনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন নিজ দলের দুজন মনিরুল হক ও আবদুর রহিম খান। মনিরুল হক মোরেলগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক আহ্বায়ক। আর আবদুর রহিম খান জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। সাতক্ষীরা-২ আসনে মীর মোস্তাক হোসেনের বিরুদ্ধে ছাইফুল করিম, টাঙ্গাইল-৬ আসনে খন্দকার আবদুল বাতেনের বিরুদ্ধে কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা আনিসুর রহমান, জামালপুর-২ আসনে ফরিদুল হক খানের বিরুদ্ধে আতিকুর রহমান শক্তিশালী বিদ্রোহী প্রার্থী।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.