shohoj shorol vabe shob kichu vabi /jotil vabe vabte parina / .
নাজমুন নাহার | জানুয়ারি ০৪, ২০১৩ | ১৭:৫১
এ কদিন শীতের প্রকোপ একটু কমে এসেছে। ২/৩ দিন আগেই প্রচণ্ড শীত ছিল। শীত কাল টা খারাপ লাগে না। কিন্তু এত শীতও ভাল লাগে না। তবে গ্রামে যদিও শীত বেশী পড়ে তবে ওখানে শীতের একটা মনোরম ব্যপার থাকে।
প্রকৃতির মধ্যেও একটা মায়াময় ব্যপার আছে মনে হয়। খুব ভাল লাগে। প্রায় দেখা যায় সকালে সবাইকে রোদে এসে রোদ পোহাতে। আর পিঠা বানানোর ব্যপার স্যপার তো থাকেই। একটা ছোট বাচ্চাকে দেখেছি ওর মা লুঙি পেঁচিয়ে গলায় গিঁট দিয়ে দিয়েছে।
রোদে দাঁড়ানোর পর ও ঠক ঠক করে কাঁপছিল সে। গরীবের জন্য শীতকাল টা সত্যিই কষ্টের।
মেয়েরা আসলে নিজের কাছেও মনে হয় বন্দী। আমার কাছে তাই মনে হয়। ইচ্ছে করলেও যখন তখন ঘর থেকে বের হতে পারে না।
যেমন এই আমার ইচ্ছে করল বাইরে ঘুরে আসি। আমি পারবো না। আমাকে ড্রেস পরিবর্তন করতে হবে। আরো কত কি। বের হয়ে কারো সাথে যে হাঁটতে হাঁটতে গল্প করবো সেটা হবে না।
আমি ইচ্ছে করলে যে তা করতে পারি না তা না। কিন্তু তবু মনের কাছে বাঁধা। কত ঝামেলা। অথচ ছেলেরা ইচ্ছে করলেই যেন তেন একটা সার্ট পড়ে বের হতে পারে। পাড়ার কোন ছেলে অথবা প্রতিবেশীর সাথে সময় কাটিয়ে আসতে পারে।
আবার মেয়ে হওয়ার একটা সুবিধাও আছে। আমার কর্তাকে কাঁচাবাজার করতেই হবে। আমার ভাল লাগবে না তাই আমি যাব না। মানে বিষয় টা আবশ্যিক না। রান্না তো কাজের লোক দিয়েও করাতে পারি।
তাই এখানে আমি বাঁচোয়া।
একটা সময় আমরা মানে আমার আম্মা আব্বার সাথে কুমিল্লা কোটবাড়ীতে ছিলাম। আমাদের পাশে এক প্রতিবেশীর অনেক সুইট একটা মেয়ে ছিল। মাছুরা নাম। ৮/৯ বছর বয়স হবে তার।
মেয়েরা নাকি ছোটকালে শুয়োপোকা থাকলেও বড় হয়ে প্রজাপতি হয়ে যায়। বাচ্চাটা ছোটকালেই প্রজাপতি ছিল। হঠাৎ একদিন বিকেলে শুনছি মাছুরা কে পাওয়া যাচ্ছে না। নাই নাই কোথাও নাই। অবশেষে রাত ৮ টার দিকে তাকে পাওয়া গেল।
বাসা থেকে প্রায় দু মাইল দূরে একটা সেফটি টাংকির ভেতর তার লাশ ভাসছিল । ওর মাকে দেখেছি কেমন পাথর হয়ে গিয়েছিলেন। না কান্না না কোন কথা। আর ওর আব্বুর সেই মাটিতে গড়াগড়ি করে কান্নার দৃশ্য মনে হলে এখনো চোখ ভিজে আসে। আমার প্রায় মনে হয় এই ছোট মেয়েটা এত দূরে কেন গিয়েছিল।
ঐ সময় সবাই বলাবলি করছিল হয়তো কোন আলগা দোষ ছিল। আলগা দোষ বলতে সবাই বোঝাচ্ছিল জীন ভুতের কারবার। আমার বয়স কম ছিল। আমিও তাই ভেবেছি। কিন্তু বড় যারা ছিলেন তারা এই বিষয়টার কোন খোঁজ নিল না কেন সেটা এখনো ভাবি।
আমার ছোটবোনকে বলেছিলাম সংশয়ের কথা। ও বলল আসলে এটা হতে পারে কেউ হয়তো রেপ করে মেয়েটাকে ওখানে ফেলে দিয়েছে। জানিনা কি রহস্য। পৃথিবীতে অনেক কিছু থাকে যা আসলে অজানাই থেকে যায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।