আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাধা দিলে পরিস্থিতি হবে ভয়াবহ

মার্চ ফর ডেমোক্রেসির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দিলে পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ কঠিন ও ভয়াবহ বলে সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, যত চেষ্টাই করুন না কেন, অবৈধভাবে আপনারা ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। থাকতে দেওয়া হবে না। আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দিলে পরিস্থিতি হবে অত্যন্ত খারাপ, কঠিন ও ভয়াবহ। এর পুরো দায় দায়িত্বও আপনাদের নিতে হবে।

গতকাল রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এরপর তাদের নিয়ে বড়দিনের কেক কাটেন বেগম জিয়া। বেগম জিয়া বলেন, ঢাকায় আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করতে চাই। কিন্তু সরকার বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে। ইতোমধ্যেই সারা দেশে গ্রেফতার শুরু করেছে নেতা-কর্মীদের। একটি গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে বাধা দেবেন না। গণতন্ত্র ও সংবিধানের পথে ফিরে আসতে সরকারের প্রতি আহ্বানও জানান তিনি।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা গাড়িতে আগুন দিয়ে বিরোধী দলের ওপর দোষ চাপাচ্ছে বলে দাবি করে তিনি বলেন, বাসে আগুন দিচ্ছে তারা (আওয়ামী লীগ)। বাস পুড়িয়ে লোকদের দেখানো হচ্ছে, বলছে- অমুক দল করছে, তমুক দল করছে। বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় বিএনপির নেতাদের নামে 'মিথ্যা' মামলা দেওয়া হয়েছে দাবি করে খালেদা জিয়া বলেন, এই হচ্ছে তাদের (সরকারের) কাজ। সমাবেশের আগে এভাবে নেতাদের মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। সারা দেশে আজ গুম, খুন ও চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।

তিনি বলেন, সরকার জানে ভরাডুবি হবে, তাই নির্বাচন করতে চায় না। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে ভয় পায়। দেশের কল্যাণ চাইলে জিদ, প্রতারণা ছেড়ে, তফসিল বাতিল করে সমঝোতায় আসুন। দেশের মধ্যে আজ হাহাকার সৃষ্টি হয়েছে। মানুষ এক শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় সময় পার করছে। সরকারি মন্ত্রী-এমপিরা এখন কোটি কোটি টাকার মালিক। তারা সম্পদের লোভে ক্ষমতা ছাড়ছে না। দেশে জনগণ জুলুম নির্যাতন সহ্য করে আন্দোলন করছে। নির্বাচন কমিশন তাদের ভূমিকা রাখতে পারছে না। এটি একটি ব্যর্থ, মেরুদণ্ডহীন কমিশন। সরকার যা বলছে তাই করছে।

বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, কোনো সম্প্রদায়ের লোকজনই শান্তিপূর্ণভাবে ধর্মকর্ম পালন করতে পারছেন না। বড়দিনের অনুষ্ঠানও ঠিকমতো করতে পারছে না খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের লোকজন। এ জন্য সরকারই দায়ী। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের লোকদের বেশি সংখ্যক লোককে সরকারে নেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দিয়ে তিনি বড়দিন উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষকে শুভেচ্ছা জানান।

বিএনপি নেতা বকুল শাম্মী আকতারসহ ১০ জন আটক : বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ের সামনে থেকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আর এ গনিকে আটক ও ছেড়ে দেওয়ার পর পরই সংরক্ষিত আসনের এমপি শাম্মী আকতারকে আটক করা হয়েছে। গতকাল রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে আটক করে পুলিশ। একই সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আমিনুল ইসলামসহ আরও পাঁচ নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়। এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসার সামনে থেকে সাবেক এমপি সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুলকে আটক করা হয়। এর আগে সকালে বাসভবনের সামনে থেকে অভি নামে তিতুমীর কলেজের ছাত্রদল নেতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ছাড়া বিকল্পধারার ঢাকা মহানগর সভাপতি মাহবুব ইলিয়াস, সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান ও পল্লবী থানা সভাপতি আবদুল মান্নানকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। গুলশান থানার অপারেশন অফিসার শেখ সোহেল রানা বকুলের আটকের খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বিএনপি নেতা সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুলকে আটক করে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার গভীর রাত থেকেই খালেদা জিয়ার বাসভবন ও কার্যালয় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ অবস্থান নেয়। অবস্থান নেয় নারী পুলিশ সদস্যসহ সাদা পোশাকের পুলিশও। খালেদা জিয়ার বাসায় কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না মর্মে অভিযোগ তোলা হয় দলীয় নেতা-কর্মীদের পক্ষে। দুপুরের দিকে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক সেখানে পেঁৗছালে পুলিশ তাকে রীতিমতো অনেকটা ধাওয়া দিলে তিনি গাড়িতে উঠে দ্রুত চলে যান। বেলা আড়াইটার দিকে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য জেবা খান বাসভবনে যেতে চাইলে তাকেও ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.