দেশের বর্তমান পরিস্থিতি যে কি তা বিশ্বের অজানা থাকার কথা নয়। সুতরাং এমন অবস্থায় বাংলাদেশে এশিয়া কাপ ও টি-২০ বিশ্ব কাপ আয়োজন করা যাবে কিনা তা নিয়ে আমিও শঙ্কিত। গতকাল বেসরকারি এক চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে একথা বলেন, এসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিসিবির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল হক। তিনি বলেন, ১৯৮৮ সালে ঢাকায় এশিয়া কাপ আয়োজনের সময় দেশের পরিস্থিতি অনেকটা এমনই ছিল। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মিলে তখন এরশাদ সরকার হঠাতে আন্দোলনে ব্যস্ত ছিল।
পরিস্থিতি এতটা নাজুক ছিল যে এশিয়া কাপ আয়োজন নিয়ে আমরা চিন্তায় পড়ে যাই। ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে তখন আমিও তান্নাসহ সবাই মিলে শেখ হাসিনা ও বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে তাদের বুঝানোর চেষ্টা করি বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ক্রিকেটের এত বড় আয়োজন হচ্ছে। এই অবস্থায় আন্দোলন চলতে থাকলে কোনোভাবেই দেশগুলো খেলতে আসবে না। এতে দেশেরই ইমেজ নষ্ট হবে। পুরো ব্যাপারটি দুই নেত্রী ভালোভাবে উপলব্ধি করেন এবং তারা আমাদের প্রতিশ্রুতি দেন এশিয়া কাপ চলাকালে কোনো আন্দোলনের কর্মসূচি দেবে না।
তাদের এ প্রতিশ্রুতিতেই আমরা স্বার্থকভাবে এশিয়া কাপ আয়োজন করতে সমর্থ হই। আশরাফুল বলেন, এখন যে অবস্থা দেখছি তাতে ক্রিকেট বোর্ডের উচিত হবে দেরি না করে দ্রুত প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলের নেতা, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এমনকি জামায়াত নেতাদের সঙ্গে দেখা করে পুরো ব্যাপারটি বোঝানো। আমার মনে হয় দেশের কথা ভেবে অবশ্যই তারা আন্দোলনের কর্মসূচি স্থগিত রাখবে। বিসিবি এ ক্ষেত্রে যত দেরি করবে ততই শঙ্কা বাড়বে। তিনি বলেন, ৪ জানুয়ারি কলম্বোতে এসিসির যে সভা রয়েছে সেখানেই নির্ভর করবে বাংলাদেশে এশিয়া কাপ হবে কিনা।
আশরাফুল বলেন, বাংলাদেশি হিসেবে আমিও মনেপ্রাণে চাই আমার দেশে এশিয়া কাপ ও টি-২০ বিশ্ব কাপ হোক। কিন্তু আমিতো চাইলে হবে না। যদি ৪ জানুয়ারি বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে এশিয়া কাপের ভেন্যু সরিয়ে নেওয়া হয় তাহলে টি-২০ বিশ্ব কাপও হবে না। দুটো বড় ইভেন্ট বাতিল হয়ে গেলে বাংলাদেশের পরিণতি পাকিস্তানের মতো হতে পারে। এমনিতে নানা প্রতিকূলতায় দেশগুলো বাংলাদেশে আসতে চায় না।
এক্ষেত্রে নিরাপত্তার ব্যাপারটি যোগ হলে বাংলাদেশকে তখন পাকিস্তানের মতো নিরপেক্ষ ভেন্যু বাছাই করতে হবে। পুরো ব্যাপারটি দেশের জন্য কতটা যে লজ্জাকর যে হবে তা কি কেউ ভেবে দেখেছে। সুতরাং আমি মনে করি বিসিবির উচিত হবে সময় নষ্ট না করে এখনই ঝাঁপিয়ে পড়া।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।