আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শঙ্কিত নয় বিসিবি

যুদ্ধপরাধী কাদের মোল্লার ফাঁসির পর থেকেই সম্পর্কের টানাপড়েন শুরু হয়েছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে। কাদের মোল্লাকে সে দেশের একনিষ্ঠ সমর্থক বলে শোকপ্রস্তাব গ্রহণ করে পাকিস্তান সংসদ। তার প্রতিবাদে ফুঁসে উঠে এদেশের জনসাধারণ। পাকিস্তানের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করতে আহ্বান জানায় সরকারের প্রতি। এদেশের জনগণের পাকিস্তানি বিদ্বেষ দেখে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, আগামী বছরের এশিয়া কাপ ও টি-২০ বিশ্বকাপে অংশ না নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে পাকিস্তানের।

অবশ্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সিইও নিজামুদ্দিন সুজন স্পষ্ট করেই জানিয়েছেন, অংশ না নেওয়ার বিষয়ে পিসিবি আনুষ্ঠানিক কোনো চিঠি দেয়নি বা মৌখিকভাবে কিছুই জানায়নি। এছাড়া এশিয়া কাপ ও টি-২০ বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে শঙ্কিত নয় বিসিবি। কেননা টি-২০ বিশ্বকাপ আইসিসির এবং এশিয়া কাপ এসিসির টুর্নামেন্ট।

গত পরশু ভারতীয় মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে, যুদ্ধপরাধীর বিচারের পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে পাকিস্তান সরকার। পাকিস্তান সংসদে যুদ্ধপরাধীকে সেদেশের সমর্থক অভিহিত করে শোক প্রস্তাব পাস করানোয় এদেশের জনগণ পাকিস্তানের প্রতি ক্ষুব্ধ।

এসব বিবেচনা করে আসন্ন এশিয়া কাপ ও টি-২০ বিশ্বকাপে অংশ না নেওয়ার বিষয় ভাবছে। এশিয়া কাপ হবে ২০১৪ সালে ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ মার্চ এবং টি-২০ বিশ্বকাপ হবে ১৬ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল। ভারতীয় মিডিয়ায় পাকিস্তানের বিষয়টি প্রকাশিত হওয়ার পর বিসিবির সিইও বলেছেন, 'সরকারিভাবে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) আমাদের কিছুই জানায়নি। এমনকি মৌখিকভাবেও জানায়নি। এশিয়া কাপ ও টি-২০ বিশ্বকাপের আয়োজক আমরা।

কিন্তু এর মূল নিয়ন্ত্রক আমরা নই। এশিয়া কাপ হচ্ছে এসিসির এবং টি-২০ বিশ্বকাপ হচ্ছে আইসিসির। পাকিস্তান যদি অংশগ্রহণে তাদের অনীহা প্রকাশ করে, সেটা আমাদের নয় জানাবে এসিসি ও আইসিসিকে। সত্যি বলতে আমরা টুর্নামেন্ট দুটি আয়োজন নিয়ে শঙ্কিত নই। কেননা নিরাপত্তার আপডেট আমরা প্রতিমুহূর্তেই আইসিসিকে জানাচ্ছি।

'

পাকিস্তানের সঙ্গে ক্রিকেট রাজনীতি চলছে অনেকদিন ধরেই। যদিও ২০১১ সালের ডিসেম্বরে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলে গেছে বাংলাদেশে। ২০১২ সালের মার্চে খেলেছে এশিয়া কাপ এবং চ্যাম্পিয়নও হয়েছে। সেই পাকিস্তান আবার বাংলাদেশ সফরও বাতিল করেছে। নিরাপত্তার অজুহাতে পাকিস্তান সফর বাতিল করেছে বাংলাদেশও।

পাকিস্তান সফর বাতিল করায় ক্ষিপ্ত পিসিবি। পিসিবি দীর্ঘদিন ধরে ছুতো খুঁজছিল প্রতিশোধ নেওয়ার। এবার নিরাপত্তার অজুহাতে না আসার চিন্তাভাবনা করছে। অবশ্য আইসিসির ক্লজে আছে নিরাপত্তাহীনতার অজুহাতে ২১ দিন আগে ভেন্যু পরিবর্তন করতে পারে ক্রিকেটের শাসকগোষ্ঠী। এখন আইসিসি সেই পথে হাঁটে কিনা সেটাই দেখার বিষয়।

অবশ্য বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এরকম আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছেন, 'এশিয়া কাপ ও টি-২০ বিশ্বকাপ আয়োজন করতে এখনো অনেক সময় বাকি। আশা করি রাজনৈতিক পরিস্থিতি সেরকম থাকবে ভবিষ্যতে। সরকারি ও বিরোধী দলের কাছে আমার আবেদন ক্রিকেটকে এর বাইরে রাখতে। '

 

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.