আমি একজন পর্যটন কর্মী। বেড়াতে, বেড়ানোর উৎসাহ দিতে এবং বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি।
কিস্তি ::৮০:: মেরুদণ্ড
ট্যুরিস্ট সোসাইটিকে মেরুদণ্ড সম্পন্ন একটা সংগঠনে রূপান্তরে আমার নিরন্তর চেষ্টা ছিল এবং আমার সময়ে এটি প্রতিষ্ঠিত ছিল। যার কারণে সংগঠনের সাধারণ সদস্য এবং এক্সিকিউটিভ বডির কেউ উপলব্ধি করতে পারেনি যে সংগঠন চালানো কতটা কঠিন হতে পারে। আমার একটা সিম্পল ব্যাক্তি ইমেজ ছিল, এখনো সম্ভবত আছে।
সম্ভবত বলছি এ কারণে যে এখন ক্যাম্পাসে আমার যাওয়া হয় কম, তবে মানুষ মনে রাখছে। তারপরও নিজের ওপর আস্থাটা কমছে , কারণ বয়স হচ্ছে। তেত্রিশ পার করে ৩৪ এ চলছে তো। তাই এখন আর বলতে পারি না- 'কেউ কথা রাখবে'।
আমি দায়িত্ব ছেড়ে আসি সামীমের কাছে।
বাবু মৌ এর কাছে। সেই দায়িত্ব নেবার পর তারা কতটা সফল ভাবে চালিয়েছে, সেটি আমার জানার সুযোগ হয়নি, বা আমি জানতে চাইনি।
বাইরে থেকে যে টুকু দেখা তাতে মনে হয়েছে, বেশ সমস্যা ওদের ফেস করতে হয়েছে। একটা বিষয় বলি ওরা একটা অনুষ্টানে ভিসি স্যারকে আনতে গেছে। স্যারের পিএস আমাকে ফোন করলেন, যাবেন কিনা।
আমি যাবার বিষযে স্যারকে সবিনয় অনুরোধ করতাম।
একই সাথে স্যারকে কৃতজ্ঞতা জানলাম- এ সংগঠনটির সাথে তার সহযোগিতার জন্য। যেটি অন্য কেউ হলে হয়তো করতো না। তার মানে বিষয়টা এ নয় যে আমি খুব মহান। আমি আসলে নতুন কমিটির ওপর ক্ষিপ্ত হতে পারিনি।
এটাও আমার বদান্যতা নয়। সহজাত।
তবে আমার দায়িত্ব পালনকালে বছরে কমপক্ষে ১০ টি করে ট্যুর করানোর সুযোগ নিয়েছি। তার পরে এটি সম্ভবত আর হয়নি। হয়নি এটা জোর দিয়ে বলছি এ কারণে যে, ডাটসের ফেসবুক পেজটা আমি খেয়াল করি।
সেখানে এ সংক্রান্ত তথ্য পাওয়ার ছিল না।
আমি যে কারণে এ প্রসঙ্গটা উত্থাপন করলাম সেটি হলো - আমি যখন দায়িত্বে- তখন অল মোস্ট সব সংগঠনের নেতারা আমার সাথে দেখ করতে আসতেন। আড্ডায় মাততেন। কিন্তু আমি দায়িত্ব ছাড়ার পর যে সব সংগঠনকে ডাটস খুব গুরত্ব দিচ্ছিলো। জনি মং একটা ট্যুর করিয়েছে ওর সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালনকালে, সেটি করেছে আরেকটি সংগঠনের সাথে।
যেটা ডাটসের সম্মানের সাথে ঠিক যায় না।
সুন্দরবনে একটা ট্যুর করে ওরা সমস্যায় পড়েছিল। সক্কালবেলায় ফোন করলো বাস সরবরাহকারী মফিজ। বললেন, মামা একটু আসেন। আমি বলতে পারলাম না-আমাকে ওরা মানবে না।
তবুও মফিজ মামার অনুরোধে গেলাম।
অবশ্য আমাকে সবাই চিনে। তবে সেটি নেতিবাচকভাবে। কিন্তু সমস্যা সমাধানে কোনো সমস্যা হলো না। মফিজ মামা হ্যাপি।
হ্যাপি ডাটসও। তারপর আর ডাটসের কোনো প্রয়োজনে আমাকে লাগেনি।
যারা ডাটস নিয়ে অনেক ভাবেন, নিজের অনেক দেবার আছে বলে জানিয়ে গেছেন- তারা আর খবর রাখেন না। টাকা পয়সা তো পরের কথা। একটা সংগঠনের অনেক ব্যয়।
এ ব্যয় আমি আমার বেতনের টাকা দিয়ে মেটাতাম বলে আমার সময়টাতে কারো সমস্যা হয়নি। একই সময় আমি ডাটসের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বরাদ্দ ৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩৫ হাজার টাকা করেছিলাম। এ জণ্য আমাকে সবচেয়ে বেশি হেল্প করেছেন ভিসি অধ্যাপাফায়েজ স্যার এবং ট্রেজারারার অধ্যাপক রাশিদুল হাসান স্যার। তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।