দেশের ১০টি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত চলতি বছরের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট পরীক্ষার ফল রবিবার প্রকাশিত হয়েছে। আটটি সাধারণ ও কারিগরি এবং মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের এ পরীক্ষায় ১৯ লাখ ২ হাজার ৭৪৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১৬ লাখ ৭৫ হাজার ১০৯ জন। পাসের হার ৮৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ। এ বছর রেকর্ড সংখ্যক পরীক্ষার্থী অর্থাৎ ১ লাখ ৭২ হাজার ২০৮ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। গত বছরের চেয়ে এ বছর পাসের হার তিন শতাংশ বেশি। চলতি বছর ৪ হাজার ৯৯৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শতভাগ পাসের কৃতিত্ব দেখিয়েছে। এই আশাজাগানিয়া কৃতিত্বের পাশাপাশি হতাশার ঘটনা হলো ৫৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে কেউই পাস করেনি। জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার ফলাফলে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা ভালো ফল করেছে। নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে দেশ যে সফলভাবে এগিয়ে যাচ্ছে এটি তারই ইঙ্গিত। রাজনৈতিক সহিংসতা তথা হরতাল-অবরোধের কারণে দফায় দফায় পরীক্ষা পিছানোর অকাম্য ঘটনা ঘটলেও চলতি বছর পাসের হার আগের চেয়ে বেড়েছে। সবচেয়ে আশাপ্রদ হলো প্রায় ৫ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শতভাগ পাসের ঘটনা। শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করে পাসের জন্য। পাসের ক্ষেত্রে ব্যত্যয় ঘটলে বুঝতে হবে পড়াশোনার ক্ষেত্রে কোথাও না কোথাও অনিয়ম ছিল। সেদিক থেকে বলা যায়, প্রায় ৫ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাদের শিক্ষার্থীদের সঠিক পথে পরিচালিত করার ব্যাপারে সাফল্যের পরিচয় দিয়েছে। একইভাবে ৫৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থী পাস না করা হতাশাজনক নজির বলে বিবেচিত হতে পারে। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষয়িত্রীরা তাদের শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলার ক্ষেত্রে যথার্থভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন কিনা সে সংশয় ফুটে উঠেছে অকাম্য ওই ফলাফলে। আমরা মনে করি যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কেউ পাস করেনি সেগুলোর অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা উচিত কিনা ভেবে দেখা দরকার। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তি বাতিল করার কথাও ভাবতে হবে। জুনিয়র স্কুল ও দাখিল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ছোটমণিদের প্রতি আমাদের অভিনন্দন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।