কুষ্টিয়া ও কুমিল্লায় একুশের অনুষ্ঠানে হামলা এবং কিশোরগঞ্জ ও কুমারখালীতে শহীদ মিনার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
কুষ্টিয়া : প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে মরিচা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভাষা শহীদদের স্মরণে গতকাল বেলা ১১টার দিকে আলোচনা সভা চলাকালে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সাহাজুল মেম্বারের নেতৃত্বে ১০-১২ জন আওয়ামী লীগ কর্মী অনুষ্ঠানে হামলা চালান। এ সময় হামলাকারীরা লাঠিসোঁটা দিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজকদের বেধড়ক মারধর করেন। এ ঘটনায় দুই শিক্ষকসহ অন্তত সাতজন আহত হন। তাদের মধ্যে ২১ ফেব্রুয়ারি উদযাপন অনুষ্ঠানের সভাপতি, দৌলতপুর কলেজের শিক্ষক আবুল হোসেন ও মরিচা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হাসানুজ্জামানকে দৌলতপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে শহীদ মিনারে আবারও হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উপজেলার মহেন্দ্রপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে এ ভাঙচুর চালানো হয়। এ সময় শহীদ মিনারের তিনটি স্তম্ভের মধ্যে দুটি স্তম্ভের মাথা ভেঙে ফেলে তারা। এ ঘটনায় পুলিশ ওই স্কুলের নৈশপ্রহরীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছে ওই স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। স্থানীয়রা জানায়, রাতে শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য দিয়ে বাড়ি চলে যাওয়ার পর মধ্য রাতে দুর্বৃত্তরা সেখানে ভাঙচুর চালায়। এ ঘটনায় স্থানীয় জামায়াত নেতা শামসুল ইসলামকে (৬০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
কুমিল্লা : বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেওয়া নিয়ে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। শুক্রবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। জেলা আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, একুশে উপলক্ষে পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী সকাল সাড়ে ৭টায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিতে জেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জেলা কার্যালয়ে রওনা দেন। তারা জেলা কার্যালয়ে প্রবেশের সময় এমপি বাহার সমর্থিতরা তাদের ধাওয়া করেন। এ সময় ৫-৬ রাউন্ড গুলিবর্ষণ, বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। ইটপাটকেলের আঘাতে জেলা আওয়ামী লীগের পাঁচজন নেতা-কর্মী আহত হন।
কিশোরগঞ্জ : কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার হোগলাকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম ও দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা প্রতি বছরের মতো এবারও মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপনের লক্ষ্যে বিদ্যালয় মাঠে একটি অস্থায়ী শহীদ মিনার তৈরি করে। শুক্রবার সকালে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা শ্রদ্ধা নিবেদন করতে এসে শহীদ মিনারটি ভাঙা দেখতে পায়। এ ব্যাপারে ওসি জানান, শিক্ষার্থীদের নিজেদের মধ্যে মতানৈক্যের কারণে এ ঘটনাটি ঘটেছে। পরে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে নিষ্পত্তি করা হয় বলে তিনি জানান।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।