আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নিভৃতচারী ভাষা-কারিগরঃ এলফ্রিদে ইয়েলিনেক

জঞ্জাল যত আটকে থাকুক হৃদয়ের মাঝখানে, কিছু সুর ফেরাতে পারে সম্ভাবনার তানে, তাই সঙ্কুচিত কোরোনা হে অফুরন্ত ডালা, প্রাণে খুশির ঢেউ জাগিয়ে সাজাও নতুন পালা



অস্ট্রিয়ান লেখিকা এলফ্রিদে ইয়েলিনেক ১৯৪৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা চেক বংশোদ্ভূত ইহুদী এবং মাতার পূর্বপুরুষ ক্যাথলিক রোমানিয়ান-জার্মান। স্টাইরিয়াতে জন্ম হলেও ইয়েলিনেক বেড়ে উঠেন রাজধানী ভিয়েনাতে।

ইয়েলিনেকের রচনায় অস্ট্রিয়ান সাহিত্যের ঐতিহ্য লক্ষণীয়। রবার্ট মুসিলের বিষণ্ণতা এবং ফ্রাঞ্জ কাফকার রসবোধ দ্বারা তিনি অনুপ্রাণিত।



তার প্রথম উপন্যাস বের হয় ১৯৬৯ সালে। বছর দুয়েক পর অস্ট্রিয়ান কম্যুনিস্ট পার্টির সাথে জড়িয়ে পড়েন। পরবর্তী দেড় দশক সক্রিয়ভাবে এই যাত্রা অব্যাহত থাকে।

১৯৭৫ সালে ইয়েলিনিকের চতুর্থ উপন্যাস ‘উইমেন এজ লাভার্স’ দর্শকপ্রিয়তা লাভ করে। উপন্যাসের কাহিনী ব্রিজিত ও পলা নামক দুই রমণীকে নিয়ে।

তারা উভয়েই স্বামী, সন্তান নিয়ে ভবিষ্যতের সুখী জীবনের স্বপ্ন দেখে। ব্রিজিতের স্বপ্ন সত্যি হয় এবং সে সামাজিক মর্যাদা অর্জন করে। যদিও ব্যক্তিস্বাধীনতাকে চিরতরে বিসর্জন দিয়েই ব্রিজিত তা লাভ করে। অন্যদিকে পলার বিশ্বাস ভালবাসা নামক ভ্রম দ্বারা চূর্ণ হয়ে যায়।

১৯৮৩ সালে প্রকাশিত ‘দ্য পিয়ানো টিচার’ ইয়েলিনেকের সম্ভবত শ্রেষ্ঠ উপন্যাস।

মাতা, কন্যা এবং কন্যার প্রেমিকের মধ্যে এক ত্রিভুজ প্রেমের দ্বন্দ্ব তিনি তুলে ধরেন এই উপন্যাসে। নারীজীবনের কঠিন বাস্তবতার পাশাপাশি নারী চরিত্রের নিষ্ঠুরতাও ইয়েলিনেক আশ্চর্য শৈলীতে বর্ণনা করেছেন।

এছাড়া তার অন্যান্য উপন্যাসের মধ্যে ‘ওয়ান্ডারফুল, ওয়ান্ডারফুল টাইম্‌স’; ‘গ্রিড’ এবং নাটকের মধ্যে ‘সাইলেন্স’; ‘ক্লাউডস,হোম’ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। তার অধিকাংশ লেখায় যৌনতা, নারীদের উপর পীড়ন, শোষণ, নির্যাতনের বিষয়টি পাওয়া যায়।
ইয়েলিনেক ২০০৪ সালে সাহিত্যে নোবেল পদক লাভ করেন।

নিভৃতচারী এই লেখিকা পদক গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগদান না করে কেবল শুভেচ্ছা জানিয়ে একটি ভিডিও পাঠিয়ে দেন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।