আমি এমন এক সাধারন মানুষ হতে চাই যে অসাধারন হবার পেছনে দৌঁড়ায়না এবং বিনা প্রশ্নে কিছু গ্রহন করেনা । পথ পেরিয়ে
অবশেষে আমি
তাকে স্পর্শ করলাম ,
দীর্ঘ সেই পথের
দোঁআশ মাটিকে
স্পর্শ করলাম ।
কোন এক সময়ে
যাকে ফেলে এসেছিলাম ,
তবু ছেড়ে আসিনি ।
ধুলো পড়ে যাওয়া সময়ের
হিসেব অনেক বাকী আছে জানি ,
তাকে তবু ফেলে রাখি এই মাহেন্দ্রক্ষণে ।
অনভ্যাসের অজস্র দিনের অকেজো দৃষ্টির
প্রাচীর জিম্মি করে রেখেছে জানি ,
তবে একের পর এক রাস্তা চোখকে
নিমেষে অতীতে টেনে নেয় , ক্রমশ ।
চারপাশে ছোট ছোট জংলার সমাহারে
জায়গাটি নিজ স্বকীয়তা হারায়নি এখনো ,
ঠিক এই উপলব্ধির মুহূর্তে
আমি তাকে স্পর্শ করে চলেছি ,
আমি স্মৃতি রোমন্থন করে চলেছি
চকিতে মনে পড়া কাঁদামাখা অতীতের ।
পলেস্তারা খসে পড়া প্রতিটি দেয়াল ,
অতীত সামনে চলে আসে , আরো কাছে ।
বিস্তীর্ণ মাঠের ধুলো উড়ছে তো উড়ছেই ,
চঞ্চলতা ফিরে এলো বুঝি বহুদিন পর ।
পুনরায় স্পর্শ করছি বেলে – দোঁআশের
সংমিশ্রনের প্রতিটি খেলাঘর ,
দীর্ঘদিন পর মুখোমুখি ,
অতীত – বর্তমান , পরস্পর ।
নক্ষত্র খচিত অজস্র রাত
চোখকে ফাঁকি দিয়ে পালিয়েছে ,
পেছনের সেই পুকুর তবু নয় ,
বর্ষাস্নাত কত সন্ধ্যায়
রয়ে গেছি খটখটে ,
অতীতের রোমন্থনে
তবু আজ সিক্ত ।
আমার সাথে এখন কেউ নেই ,
নিজ ছায়াও অতীতের প্রকান্ড রুপে
আমায় সাহচর্যহীন করে পালিয়েছে ।
ঘড়ির কাঁটায় প্রহর ক্রমশ
সন্ধ্যা থেকে রাত হচ্ছে ।
অতীতের প্রতাপে বর্তমান
তার শীর্ণকায় অবয়ব ঢেকে রাখতে
আমায় ছেড়ে গিয়েছে ।
ছায়াহীন দেহটি কখনো
গ্রীষ্মের খিটখিটে রোদে
চৌরাস্তায় নিথর হয়ে পড়ে থাকবে ।
সাহচর্যহীন মানুষটির গলিত লাশ
এঁদো গলিতে কখনো পড়ে থাকবে ।
কদাকার বর্তমান
অন্ধকার ভবিষ্যতের সাথে
বন্ধুত্ব পাতিয়ে চারপাশকে
কখনো ক্লিশে করে তুলবে ।
তবু বেলে – দোঁআশের স্পর্শে
বারবার চোখ আমার ,
পলেস্তারা খসা , ছোট ছোট জংলা ঘেরা
স্বর্ণমন্ডিত শৈশবের চারপাশে ফিরে যাবে ।
কুঁচকে যাওয়া জোড়া ভ্রু
অহর্নিশ পোড়া ইটের মাঝে
নিজেকে দেখে প্রশ্ন করবে ,
তবে কি এখনই সেই সময় ?
ফেরারীর প্রত্যাবর্তনের ? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।