বুধবার রাত দেড়টার দিকে উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের ধুলিরচর গ্রামের এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।
নিহত আলমগীর হোসেন (২৫) ধুলিরচর গ্রামের জসিম উদ্দিন বুদ্দুর ছেলে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ২ আওয়ামী লীগ কর্মীকে আটক করেছে। তারা হলেন, বওড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রুবেল রানা ও চরদুলগাগরাখালি গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে আমিন উদ্দিন।
বেলকুচি থানার ওসি আব্দুল হাই সরকার জানান, বৃহস্পতিবার সকালের দিকে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সংঘর্ষের জন্য আওয়ামী লীগ ও জামায়াত একে অপরকে দায়ী করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত বছর সরকার বিরোধী আন্দোলন চলাকালে বিএনপি-জামায়াতের সমর্থকরা ধুলিরচর গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মজিদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। এরপর থেকে আব্দুল মজিদ ও একই গ্রামের জামায়াত নেতা আসলাম উদ্দিনের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল।
এরই জেরধরে বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকরা আসলাম উদ্দিনের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় জামায়াত ও বিএনপির নেতাকর্মীরা সংঘবদ্ধ হয়ে তাদের উপর চড়াও হলে আওয়ামী লীগ সমর্থকরা পিছু হটে।
রাত দেড়টার দিকে আওয়ামী লীগ সমর্থকরা ফের হামলা চালালে উভয় পক্ষের কর্মী ও সমর্থকদের সংঘর্ষ বাধে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে শিবিরকর্মী আলমগীর হোসেনকে হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত পাঁচ জনকে হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম ইউসুফজী খান জানান, রাতে জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা হামলা চালালে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
অবশ্য জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি শহীদুল ইসলাম জানান, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা রাতে পরিকল্পিতভাবে দু’দফায় হামলা চালায়। প্রতিরোধ গড়ে তুলতে গেলে সংঘর্ষে শিবিরকর্মী আলমগীর হোসেনের মৃত্যু হয়।
এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে রোববার বেলকুচি উপজেলায় অর্ধদিবস হরতালের ডাক দিয়েছে জামায়াত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।